আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
96 views
in পবিত্রতা (Purity) by (11 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
দয়া করে আমাকে অপারগ ব্যক্তির বিধান জানান। আমার সমস্যা  ধরন হলো আমি কোন কাজ করার পর ভুলে যাই।যার জন্য একবার কোনো কাজ করার পর ভুলে যাই পরে একশ বার সেই কাজ করার পরো মনে হয় করি নি। এই  ভুলে যাবার সমস্যা আমার মানসিক সমস্যাতে পরিনত হয়েছে। প্রতিটি সময় ইস্তিন্জার সময় মনে হয় ইস্তিন্জা করি নি। ওজুর পর মনে হয় ওজু করি নি,গোসলের পর মনে হয় গোসল করি নি, নামাজে সুন্নত ফরজ পড়ার পর মনে হয় সুন্নত বা ফরজ পড়ি নি। আজকেও মনটা ভীষন খারাপ এই সমস্যার জন্য।কারন রমাদানের এই পবিত্র মুহূর্তে আমার নামাজ কাজা হয়ে গেলো। সমস্যা হল আমি নামাজ পড়া, ওজু গোসল,কাপড় ধোয়া, ইস্তিন্জা করার পর একদম ই মনে থাকে না কাজ গুলো করেছি কি না! পিরিয়ডের সময় টুকু আমি সম্পূর্ন সুস্থ থাকি এই সমস্যা থেকে। পবিত্রতার দিন গুলোতেইশুধু এমন হয়। যার জন্য কোনো আমল, ইবাদাতে মন দিতে পারছি না।দুআ, যিকির, কোরান তিলাওয়াত, সকল প্রচেষ্টা করেও এটা থেকে বেরিয়ে আসতে পারি নি তিনচার বছর যাবত। এখন আমি অপরাগ ব্যক্তির মাসআলা জানতে চাই -

১.যেহেতু আমি মারাত্মক শুচিবাই আক্রান্ত তাহলে আমি
 যদি অপবিত্র কাপড়  ধৌত করার পর তিনবার ধৌত
করলাম কি না  ভুলে গেলে বা সন্দেহে পড়ে গেলে যদি আর ধৌত না করি শুচিবাই কে পাত্তা না দেয়ার জন্য তবে কি আমার সেই সন্দেহযুক্ত  কাপড়ে নামাজ পড়লে নামাজ কবুল হবে তো? এ ক্ষেত্রে শরিয়তের বিধান কি?

২.ইস্তিন্জা ওজু বা গোসলের পর যদি সন্দেহ আসে বা ভুলে যাই আর শুচিবাইয়ের বিপদ থেকে বাচতে যদি
 পুনরায় সেই ইস্তিন্জা, ওজু গোসল না করি তাহলে কি আমি শরিয়তের দৃষ্টিতে পবিত্র হতে পারবো?

৩. নামাজের সুন্নত ফরজ পড়ার বিষয়ে ভুলে গেলে
আমি যদি আবার এটা পুনরায় পড়া থেকে বিরত থাকি তাহলে কি আমি গোনাহগার হবো!
আমি সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছি যে এই ওয়সওয়াসা বা ভুলে যাবার সমস্যার জন্য আমি নামাজ তরক করছি,নামাজে দেরি করছি, আল্লাহর কোনো ইবাদাত আর বান্দার হকও আদায় করতে পারছি না।নিজেও অসুস্থ অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি ওজু,গোসল আর কাপড় ধৌত করতে করতে।তাইআমি যদি এই সব বিষয়ে সন্দেহ আসার পর পাত্তা না দেই বা পুনরায় সেই পবিত্র অর্জনের কাজ থেকে বা নামাজ পুনরায় পড়া থেকে  নিজেকে বিরত রাখি তাহলে কি আল্লাহ আমার ইবাদাত কবুল করবেন বা শাস্তি দিবেন ? অথবা যদি আমি কাপড় শরির সত্যি সত্যি পবিত্র করতে, নামাজ পড়তে ভুলে যাই তাহলে আল্লাহ কি আমাকে এবিষয়ে মাজুর হবার দরুন ক্ষমা করবেন? কারন এই কাজ গুলো যদি আমি আরেকবার পুনরায় করতে যাই তাহলে আমার সন্দেহ আর ভুলে যাবার মাত্রা বাড়তেই থাকে বাড়তেই থাকে। কিছুতেই সন্দেহমুক্ত হতে পারি না।ফলে এককাজ একশবার করার পরও মনে হয় কাজটা করি নি! এভাবে ছুটে যায় ফরজ সুন্নত নফল আমল। চলে যায় নামাজের ওয়াক্ত।  যদিও লম্বা হয়ে গেছে লিখা।আমাকে ক্ষমা করবেন। আমি কি যে বিপদে আচি আল্লাহ ছাড়া কাউকে বোঝাবার নয়। দয়া করে এই বিষয়ে মাসআলা জানিয়ে উপকৃত করবেন। জাযাকাল্লাহু খইরান।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...