আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
112 views
in সাওম (Fasting) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।
মেয়েরা কি  ইতিকাফের জন্য পুরো ঘরকে নির্দিষ্ট করতে পারবে?? যদিও বেশি সময় একটা নির্দিষ্ট রুমেই থাকে?? এটাচ ওয়াশরুম থাকলে,  সর্দি বা কাপড়ে ময়লা লাগলে তা পরিষ্কারের জন্য ওয়াশরুমে গেলে ইতিকাফ ভেঙে যাবে??

পারিবারিক সমস্যার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে, রাগের বসে যদি বলে, তাহলে আমি ইতিকাফ ছেড়ে উঠে যাবো?? তাহলে আমি ইতিকাফ থেকে বের হয়ে যাবো। ১০ দিনের মধ্যে মাত্র তিনদিন হলো। এক্ষেত্রে কি ইতিকাফ ভেঙে যাবে?? যদিও ইতিকাফ ভাঙার বা ছাড়ার ইচ্ছা না থাকে?? এ অবস্থায় কি করবে??

পেশাব পায়খানা না করলেও ওয়াশরুমে যাওয়ার নিয়তে ওয়াশরুমে অন্য কাজে যাওয়া যাবে?? যেমন কাপড় চেন্জ করার জন্য???
ইতিকাফ অবস্থায় একাডেমিক পড়ালেখা করা যাবে?? করলে কি ভেঙে যাবে?

নফল ইতিকাফ ভাঙলে কি কাজা করা লাগবে??

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
وليس لها أن تعتكف في غير موضع صلاتها من بيتها وإن لم يكن فيه مسجد لا يجوز لها الاعتكاف فيه ولا تخرج من بيتها إذا اعتكف فيه قال - رحمه الله - (ولا يخرج منه إلا لحاجة شرعية كالجمعة أو طبيعية كالبول والغائط) لما روينا من الأثر عن عائشة - رضي الله عنها - ولما روي عنها أنها قالت «كان النبي - صلى الله عليه وسلم - لا يدخل البيت إلا لحاجة الإنسان إذا كان معتكفا» متفق عليه تريد البول والغائط هكذا فسره الزهري 
ঘরের মসজিদ ব্যতীত অন্যত্র এ'তেক্বাফ করা নারীদের জন্য জায়েয নয়।যদি ঘরে কোনো মসজিদ না থাকে তথা নামাযের জন্য নির্দিষ্ট কোনো জায়গা না থাকে।তাহলে উক্ত ঘরে এ'তেক্বাফ করা জায়েয  হবে না। যখন মহিলা কোনো কামরায় এ'তেকাফ শুরু করে দিবে তখন সে মহিলা আর ঐ কামরা থেকে বাহিরে যেতে পারবে না।তবে শরয়ী প্রয়োজনে যেমনঃ জুম্মার সালাত(এটা তখনকার বিধান যখন ফিৎনা ছিলনা), এবং প্রকৃতিগত প্রয়োজন যেমন প্রস্রাব পায়খানা ইত্যাদির জন্য ঐ কামরা থেকে বাহিরে যাওয়া যাবে।যেমন হয়রত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এ'তেক্বাফ অবস্থায় জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত মসজিদ থেকে ঘরে আসতেন না।জরুরী প্রয়োজন বলতে প্রস্রাব-পায়খানা উদ্দেশ্য। (তাবয়ীনুল হাক্বাঈক্ব-১/৩৫০) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 1322 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)সমস্ত ঘরকে যেহেতু মসজিদ বানানো সম্ভব নয়, তাই সমস্ত ঘরকে ইতিকাফের জন্য নির্দিষ্ট করাও সম্ভব হবে না। বরং শুধুমাত্র নামাযের জন্য নির্দিষ্ট জায়গাকেই ইতিকাফ স্থল হিসেবে বাঁচাই করে নিতে হবে। সর্দি বা কাপড়ে ময়লা লাগলে তা পরিষ্কার করার জন্য ওয়াশরুম যাওয়া যাবে না। বরং ইতিকাফ স্থলে বসেই সেটা দূর করার বিকল্প রাস্তা খুজতে হবে। কেউ যদি ওয়াশরুমে যায়, তাহলে তার ইতিকাফ ফাসিদ হয়ে যাবে।
(২)পারিবারিক সমস্যার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে, রাগের বসে যদি কেউ বলে, "তাহলে আমি ইতিকাফ ছেড়ে উঠে যাবো, তাহলে আমি ইতিকাফ থেকে বের হয়ে যাবো।" এদ্বারা ইতিকাফ ভঙ্গ হবে না। 
(৩) কাপড় চেঞ্জ ইতিকাফ স্থলেও করা যাবে, তাই ওয়াশরুমে যাওয়া জায়েয হবে না। 
(৪)ইতিকাফ অবস্থায় একাডেমিক পড়ালেখা করা যাবে। 
(৫)নফল ইতিকাফ ভাঙ্গলে কাজা করা লাগবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...