আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
89 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)
আসসালামু আলাইকুম
>> একটি ছেলে (ছাকিব) প্রায় ১০ বছর আগে যখন কলেজে পরত তখনকার ঘটনা। তখন সে দ্বীনের পথে ছিল না।  তখন তার মেয়ে সহপাঠী ছিল। একদিন তার এক মেয়ে সহপাঠী তার কাছে তার জীবনের একটি ঘটনা বলে যে মেয়েটির একটি ছেলের সাথে রিলেশন ছিল। কিন্তু সেই ছেলেটি মেয়েটিকে ধোকা দেয়। কিন্তু মেয়েটি ওই ছেলেটিকে ভুলতে পারে না। এমনবস্থায় মেয়েটি ছাকিব কে রিকুয়েষ্ট করে ছাকিব যেন কবিরাজ এর কাছে যায়, এবং এমন কোন তদবীর নিয়ে আসে যাতে মেয়েটি ছেলেটিকে ভুলে থাকতে পারে। পরে ছাকিব এক কবিরাজ এর কাছে যায় এবং ঘটনা খোলে বলে, এবং কবিরাজ এর কাছে এমন তদবীর চায় যেন মেয়ে ছেলেটিকে ভুলে থাকতে পারে এবং ছেলেটি উল্টো মেয়ের জন্য পাগল হয়ে যায়। পরে কবিরাজ ছাকিবের কাছ থেকে মেয়ে এবং ছেলের নাম, বাবা মায়ের নাম ঠিকানা আনুসাঙ্গিক জিনিস জিজ্ঞেস করে। কিছুক্ষণ পরে কবিরাজ ছেলেটির কাছে বাশের ছিলকার মত একটি জিনিস দেয় এবং তার মাথায় সুতার মত কিছু পেছানো ছিলো। এবং ছাকিব কে বলে এই জিনিসটি তিন রাস্তার মোড়ের মধ্যে পোতে দিতে। এবং ছাকিব কবিরাজ এর কথা মত রাত্রে এমন এক যায়গায় পোতে আসে। এখন ১০ বছর পর এসে ছাকিবের অনুশোচনা হচ্ছে। এখন সে দ্বীনের পথে থাকার চেষ্টা করে। ছাকিব ওই ছেলেটিকে চিনতোও না, এখন তার মেয়ে সহপাঠীর সাথে যোগাযোগ ও নেই। ছাকিব জানেও না এই তদবীর এর কোন প্রভাব ছেলে মেয়ের উপর পরেছে কিনা বা তাদের কোন ক্ক্ষতি হইছে কিনা। ছাকিব এখন বুঝতে পারছে এই কাজ টি করা ঠিক হয়নি।
১। এখন ছাকিব এর কি করণীয়?

>> আমি একটি সমস্যায় ভুগতেছি:
দিন কয়েক আগে, কোরা'আন পড়ার সময়, ফালাক শব্দ এর জায়গায় ভুল করে ওই শব্দ টি উচ্চারণ করে ফেলি। তার পরে অনেক পেরেশান লাগে। তারপর এক ভাইয়ের সাথে এই বিষয়ে এ কথা বলি, ভাই বলেছে, "তালা*, তো কি হইছে, কিছুই হয়নাই।" পরে আমি বললাম ভাই আমিও বুঝতেছি কিছুই হই নাই, কিন্তু আমার খালি এইসব চিন্তা আসে। পরে ভাই বলে কোর'আন পড়ার ক্ষেত্রে কিছু হয় না। পরে ভাই এর কাছ থেকে আসার পর আমার মনে হইছে, ভাই যখন আমাকে আমার প্রশ্নের জবাব দিল, তখন আবার আমি হ্যা বললাম কিনা বা মাথা নাড়লাম কিনা। এতে কি আবার কোন সমস্যা হল কিনা?
২। এগুলিতে কি কোন সমস্যা হয়, নাকি শুধুই ওসওয়াসা?

>>আমি প্রতি রাতে ঘুমানো সময় কিছু তসবিহ পড়ার চেষ্টা করি। কালকে রাত্রে যখন তসবিহ হাতে দূরুদ পরতে ছিলাম শুয়ে শুয়ে, এক পর্যায়ে প্রচন্ড ঘুম চলে আসে, তখন ঘুমের মধ্যে জিকির গুলি জড়িয়ে যাচ্ছিল। আমি একটু একটু বুঝতে ছিলাম দূরুদের শব্দ গুলির যায়গায়, "রশি, দড়ি" এইরকম কি কি যেন বলতেছিলাম মাঝে মাঝে। কিন্তু ওই রকম কোন শব্দ যেটা আমার মাথায় ঘুড়ে এইটা বলি নি নিশ্চিত।  তার পরেও আজকে মনের মধ্যে আসতেছে, ঘুমের তালে আবার ওইরকম কিছু বলে ফেললাম কিনা?
৩। আমি এই সমস্যা থেকে কিভাবে পরিত্রান পাবো?

>> গতকাল আমার এক কলিগ আমাকে জিজ্ঞেস করতেছিল, আমার বিবিকে বাড়িতে রেখে আসছি কিনা।  কারণ সে সন্তান সম্ভবা। পরে আমি বললাম বাড়িতে তো আর বসিয়ে খাওয়াবে না। মানে বুঝাইতে চাইছি বাড়িতে আরো কাজ বেশি। এই কথা বলার পর আবার পেরেশানি লাগতেছে, এই কথায় আবার কিছু হলো কিনা।
৪। এতে কি কোন সমস্যা নাকি শুধুই ওসওয়াসা। আমার এখন কি করনীয়?

>> আজকে অফিসে কাজ করার সময়, কলিগদের কাজের সিরিয়াল দিচ্ছিলাম, যখনই সংখ্যা জাতীয় কিছু বলতে যাই তখনই আমার মাথায় আজেবাজে চিন্তা আসে।
৫। আমি এখন কি করবো?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...