জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মানুষ মারা যাওয়ার পর তার সব আমলের দ্বার বন্ধ হয়ে যাবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﺇﺫﺍ ﻣﺎﺕ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﺍﻧﻘﻄﻊ ﻋﻨﻪ ﻋﻤﻠﻪ ﺇﻻ ﻣﻦ ﺛﻼﺛﺔ : ﺇﻻ ﻣﻦ ﺻﺪﻗﺔ ﺟﺎﺭﻳﺔ، ﺃﻭ ﻋﻠﻢ ﻳﻨﺘﻔﻊ ﺑﻪ، ﺃﻭ ﻭﻟﺪ ﺻﺎﻟﺢ ﻳﺪﻋﻮ ﻟﻪ
তরজমা- তিনি বলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “মানুষ মরে গেলে তার আমল বন্ধ হয়ে যায়; তবে তিনটি আমল ব্যতীত: সদকায়ে জারিয়া, উপকারী ইলম কিংবা নেক সন্তান; যে তার জন্য দুআ করে।”[সহিহ মুসলিম (১৬৩১)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বাবা মারা যাওয়ার সাথে সাথেই তার সম্পদের মালিকানা তার থেকে চলে গিয়েছে।
আপনার উপর আর যাকাত,সদকায়ে ফিতর কিছুই ফরজ হবেনা।
মৃত ব্যাক্তির উপর সদকায়ে ফিতর আসেনা।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মৃত বাবার সদকায়ে ফিতর দিতে হবেনা।
এটি আবশ্যক নয়।
তার নামে ঈসালে ছওয়াব হিসেবে দান খয়রাত করতে পারেন।
সদকায়ে জারিয়াহ করতে পারেন।
★আপনাদের পরিবারে বর্তমানে সদস্য সংখ্যা যেহেতু ৩ (তিন) জন।
এক্ষেত্রে প্রাপ্ত বয়স্ক দের মধ্যে যারা নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক,তাদের ফিতরা আদায় করতে হবে।
বাবা নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হলে তার নাবালেগ সন্তানের সদকায়ে ফিতরও বাবাই আদায় করবে।
সদকায়ে ফিতর এর সর্বনিম্ন পরিমান ১১৫ টাকা।
যবের মূল্য দিয়ে সদকায়ে ফিতর দিলে ৪০০ টাকা করে প্রত্যেকের দিতে হবে।
সদকায়ে ফিতর এর সর্বোচ্চ পরিমান ২৯৭০ টাকা।