জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
রোযা রাখা অবস্থায় অযু গোসলের ক্ষেত্রে গড়গড়িয়ে কুলি করা যাবেনা।
নাকের নরম স্থান পর্যন্ত পানি পৌছানো যাবেনা।
লাকিত ইবনে সাবিরা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
بالغ في الاستنشاق، إلا أن تكون صائما.
‘(অযু-গোসলের সময়) ভালোভাবে নাকে পানি দাও তবে রোযা অবস্থায় নয়।’-সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ২৩৬৩ সুনানে তিরমিযী, হাদীস : ৭৮৫
সুফিয়ান সাওরী রাহ. বলেন, ‘রোযা অবস্থায় কুলি করতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে গলার ভেতর পানি চলে গেলে রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং তা কাযা করতে হবে।-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস : ৭৩৮০
আরো দেখুন : মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৯৮৪৪-৯৮৪৭; ফাতাওয়া শামী ২/৪০১
আরো জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
মানুষের সামনা সামনি হওয়ার সময় ঠোঁটের যতটুকু অংশ বাহির থেকে দেখা যায়,অযু অবস্থায় ততটুকু অংশে পানি পৌছানো ফরজ।
পানি পৌছাতেই হবে।
প্রয়োজনে পরবর্তীতে সেই স্থান মুছে নিবেন।
(০২)
পানি খেয়ে ফেললে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
(০৩)
মসজিদ চাই জামে মসজিদ হোক বা নন-জামে মসজিদ হোক,বিধান একই।
এক্ষেত্রে স্থানীয় মসজিদগুলোতে যদি তাতে নির্ধারিত ইমাম থাকে, তাহলে স্থানীয় লোকজনের জন্য নিয়মিত দ্বিতীয় তৃতীয় জামাত করে নামায পড়া মাকরূহ।
,
চলাচলের রাস্তায়, যানবাহনের স্টপিজ ইত্যাদি স্থানের মসজিদ হলে এসব মসজিদে দ্বিতীয় জামাত করাতে কোন সমস্যা নেই।যদিও তাতে নির্ধারিত ইমাম থাকে।
★সুতরাং আপনার জন্য উত্তম হলো একতাবস্থায় মসজিদে একাকি নামাজ পড়া।
মসজিদ বা অন্যত্রে জামাত করা মাকরুহ।
প্রশ্নে উল্লেখিত জামাত মাকরুহ বলে বিবেচিত হবে।
আদ্দুররুল মুখতার (২/২৮৯) গ্রন্থে আছেঃ
ويكره تكرار الجماعة..... فى المسجد أو غيره
যার অর্থ হলো মসজিদ বা অন্যত্রে ২য় জামাত মাকরুহ।
বিস্তারিত জানুনঃ