আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
116 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ্।
একজন বোন প্রশ্ন করেছেন,,,

১/আমার নানু ইতিকাফে বসতে চাই। ঘরে আমার নানু আর মামা আছে।  নানু যেই রুমে ইতিকাফে বসবেন সেই রুমের সাথেই রান্নাঘর কিন্তু রান্নাঘরে গেলে সেই রুম থেকে বের হয়ে রান্নাঘরে যেতে হবে   এক্ষেত্রে  ইতিকাফ হবে?
নানুর ঘরটায় ৯টা রুম রান্নাঘরসহ। যদি নানু পুরু ঘরটা ইতিকাফের জন্য নেয় তাহলে ইতিকাফ হবে?? শুধু ঘরে মামা থাকেন আর যদি কোনো মেহমান আসে তাহলে নানু অন্য ঘরে চলে যাবে। রান্না করার জন্য কেউ নেই।

২/ গীবত   মারাক্তকভাবে  শুনতে হয়,  হাসি ঠাট্টার ছলে অট্টহাসি দেয়া যেখানে গুনাহের পরিমাণ বেশি হয়ে যায়  মরণের চিন্তা খুব কম হয় নিজের আমলে ঘাটতি হয় সেখানে কাউকে দ্বীনি কাজে সাহায্য করার জন্য থাকা কি উচিত হবে???? যেমন কেউ ইতিকাফে বসল আমি রান্নার কাজে সাহয্য করলাম। গৃহের কাজগুলোতে সাহয্য করালাম।
৩/ কেউ নিয়ত করেছিল ইতিকাফে বসার কিন্তু  তার পিরিয়ড শেষ  হবে ২১ রমাদানে তখন কি সে ইতিকাফে বসতে পারবে?? নিয়ত অনুযায়ী না বসার কারণে কি,, পরে  ইতিকাফে বসে কাযা করে নিতে পারবে??

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
وليس لها أن تعتكف في غير موضع صلاتها من بيتها وإن لم يكن فيه مسجد لا يجوز لها الاعتكاف فيه ولا تخرج من بيتها إذا اعتكف فيه قال - رحمه الله - (ولا يخرج منه إلا لحاجة شرعية كالجمعة أو طبيعية كالبول والغائط) لما روينا من الأثر عن عائشة - رضي الله عنها - ولما روي عنها أنها قالت «كان النبي - صلى الله عليه وسلم - لا يدخل البيت إلا لحاجة الإنسان إذا كان معتكفا» متفق عليه تريد البول والغائط هكذا فسره الزهري 
ঘরের মসজিদ ব্যতীত অন্যত্র এ'তেক্বাফ করা নারীদের জন্য জায়েয নয়।যদি ঘরে কোনো মসজিদ না থাকে তথা নামাযের জন্য নির্দিষ্ট কোনো জায়গা না থাকে।তাহলে উক্ত ঘরে এ'তেক্বাফ করা জায়েয  হবে না। যখন মহিলা কোনো কামরায় এ'তেকাফ শুরু করে দিবে তখন সে মহিলা আর ঐ কামরা থেকে বাহিরে যেতে পারবে না।তবে শরয়ী প্রয়োজনে যেমনঃ জুম্মার সালাত(এটা তখনকার বিধান যখন ফিৎনা ছিলনা), এবং প্রকৃতিগত প্রয়োজন যেমন প্রস্রাব পায়খানা ইত্যাদির জন্য ঐ কামরা থেকে বাহিরে যাওয়া যাবে।
যেমন হয়রত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এ'তেক্বাফ অবস্থায় জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত মসজিদ থেকে ঘরে আসতেন না।জরুরী প্রয়োজন বলতে প্রস্রাব-পায়খানা উদ্দেশ্য। (তাবয়ীনুল হাক্বাঈক্ব-১/৩৫০) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1322


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
একটি ঘরের কয়েকটি রুম থেকে কোনো একটি রুমের একাংশকে বা পুরো রুমকে ইতিকাফের জন্য নির্দিষ্ট করতে হবে। সম্পূর্ণ ঘর বা বাসাকে ইতিকাফের জন্য নির্দিষ্ট করা যাবে না। ইতিকাফে বসার পর ইতিকাফ স্থল থেকে বিনা জরুরতে বের হওয়া যাবে না। বের হলেই ইতিকাফ ফাসিদ হয়ে যাবে। ইতিকাফ বসে রান্না ঘরে গিয়ে খানা পাকানো যাবে না। অন্যকে খানা খাওয়ানোর জন্য যাওয়া যাবে না।গেলে ইতিকাফ ফাসিদ হয়ে যাবে। আপনার নানীর অন্য কেউ না থাকলে, উনি নফল ইতিকাফ করবেন। যত সময় ইচ্ছা করবেন।

(২)  কেউ ইতিকাফে বসলো,তার জন্য যদি আপনি রান্না করে দেন, তাহলে এর জন্য আপনিও সওয়াব পাবেন।

(৩) নিয়ত করা দ্বারা ওয়াজিব হবে না।কাযা করা লাগবে না। সে চাইলে নফল ইতিকাফ করতে পারবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...