আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
111 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহ। আমার বিয়ের ৫ মাস হয়েছে। শশুর বারিতে পর্দার পরিবেশ ঠিক না থাকার কারনে আমার স্বামী সেখানে নিয়ে যায় নি। বাবা মার সাথেই ছিলাম, যার কারনে বিয়ের পর পর ই বাবার চাকরির জন্য গ্রাম থেকে ঢাকা আসি। অলৌকিক ভাবে আমার স্বামী ও চাকরি সুত্রে আমাদের নিকটবর্তি হয়। (আলহামদুলিল্লাহ) । প্রায় প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার করে আমার কাছে আসতে পারে। কিন্তু তার মাকে যখন সে প্রতি সপ্তাহে বলে যে সে এখানে আসে, তখন তার মা একটু মন খারাপ করে। যার কারনে সে মাঝেমাঝে আমার কাছে এসেও বলে যে আসে নি। রমাজান মাসেও এমন হয়েছে।
তো এই মিথ্যা বলার জন্য কি গুনাহ হবে? এতে কি তার মার সাথে প্রতারনা হয়?
এটা নিয়ে সে কিছুটা দুশ্চিন্তায় আছে যে, মিথ্যা বলা টা ছারতে পারছেন না এই রমাজান মাসেও।
আবার অন্য একদিন বিকাল ৫ টার মধ্যে কর্মস্থলে যাওয়ার কথা ছিলো । কিন্তু আমি  ইফতারির পর  যাওয়ার কথা বলায়, সে তার কর্মস্থলে জানায় যে, সে তার বাবা মার সাথে আছে, ইফতারির পর যাবে। ( আমার বাবা - মা ছিলো) ( সে আর্মিতে জব করায় বিয়ের কথা প্রকাশ করে নি)  এতেও কি গুনাহ হবে শায়েখ?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হাদীসও উলামায়ে কেরামদের সুচিন্তিত মতামতের মাধ্যমে আমরা নিম্নোক্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারব।
সত্য বলে নিজ মাকসাদকে অর্জন করা ও ক্ষতি থেকে বাচা যতক্ষণ পর্যন্ত সম্ভব হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত  মিথ্যা বলার কোনো অবকাশ শরীয়তে নেই বরং মিথ্যা বলা হারাম ও জগন্যতম গর্হিত কাজ। কিন্তু চুরান্ত পর্যায়ের অপারগ হয়ে গেলে তাওরিয়াহ বলার রুখসত রয়েছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/644

الدر المختار: (427/6، ط: سعید)
الْكَذِبُ مُبَاحٌ لِإِحْيَاءِ حَقِّهِ وَدَفْعِ الظُّلْمِ عَنْ نَفْسِهِ وَالْمُرَادُ التَّعْرِيضُ لِأَنَّ عَيْنَ الْكَذِبِ حَرَامٌ قَالَ: وَهُوَ الْحَقُّ قَالَ تَعَالَى - {قُتِلَ الْخَرَّاصُونَ} [الذاريات: ١٠]- الْكُلُّ مِنْ الْمُجْتَبَى وَفِي الْوَهْبَانِيَّةِ قَالَ:وَلِلصُّلْحِ جَازَ الْكِذْبُ أَوْ دَفْعُ ظَالِمٍ ... وَأَهْلِ التَّرَضِّي وَالْقِتَالِ لِيَظْفَرُوا۔

مجمع الانھر: (کتاب الکراھیة، 552/2، ط: دار احیاء التراث العربی)
وَالْكَذِبُ حَرَامٌ إلَّا فِي الْحَرْبِ لِلْخُدْعَةِ وَفِي الصُّلْحِ بَيْنَ اثْنَيْنِ وَفِي إرْضَاءِ الْأَهْلِ وَفِي دَفْعِ الظَّالِمِ عَنْ الظُّلْم

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি মিথ্যা না বলার সর্বোচ্ছ চেষ্টা করবেন। মা বা অফিসের কারো সাথে মিথ্যা বলা আপনার জন্য জায়েয হবে না। চুড়ান্ত পর্যায়ের অপারগ হয়ে গেলে তাওরিয়াহ করবেন। অর্থাৎ আপনি এমনভাবে কথা বলবেন যে, আপনি উদ্দেশ্য নিয়েছেন একটাকে আর তারা বুঝবে অন্যটাকে। সুতরাং এভাবেই বিষয়টাকে সমাধান করার চেষ্টা করবেন।আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...