আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
113 views
in পবিত্রতা (Purity) by (7 points)
আস সালামু আলাইকুম, সম্মানিত ওস্তাজ।

আল্লাহ আপনাদের ও আমাদের নেক আমলসমূহ কবুল করুন এবং গুনাহসমূহ মাফ করুন।

একটি বিষয়ের সহীহ সমাধান জানা খুব জরুরত বিধায় এখানে নক দিয়ে কষ্ট দিচ্ছি।
আমার আহলিয়ার গত ২ মাস আগে মিসক্যারেজ হয়ে যায়। ১১ দিন ব্লিডিং হয়ে বন্ধ হয়। স্বভাবমতো এখন তার হায়েজ শুরু হওয়ার সময়। গত ২৩ তারিখ সাহরী খাওয়া শেষে তিনি এক দলা রক্ত দেখতে পান। কিন্তু ঋতুস্রাব কিনা তা শিউর হওয়ার জন্য তিনি অপেক্ষা করেন এবং রোজা ভাঙ্গেন না। সারাদিনে আর ব্লিডিং না হওয়াতে নামাজ ও রোজা চালিয়ে যান
কিন্তু ২৪, ২৫, ২৬ তারিখে পরপর ৩ দিনই যোহরের সময়ে এক দলা করে রক্তপাত হয় আবার রাতে খুবই সামান্য পরিমানে রক্তস্রাব দেখতে পান। এর সাথে নারীদের যেমন স্বভাবসুলভ কোমড়ে ব্যথা ও জরায়ুতে/পেটে ব্যথা হয় ঋতুচক্র চলাকালিন সময়ে,  তাও বিদ্যমান রয়েছে। মিসক্যারেজ হওয়ার পরে অধিক রক্তপাত হওয়ার ফলে তার শরীর ভীষণ দুর্বল।

তিনি রোজা, নামাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য তার ঋতুস্রাব ৭-১০ দিন থাকে।
এখন এক্ষেত্রে তিনি কি রোজা নামাজ চালিয়ে যাবেন যেহেতু দিনে কেবল ২ বার করে অল্প পরিমানে রক্ত দেখা যায় সারাদিনে আর দেখা যায় না। নাকি হায়েজ ধরে অপেক্ষা করবেন?
সেক্ষেত্রে কতদিন অপেক্ষা করতে হবে জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো ইন শা আল্লাহ।

অগ্রিম জাজাকাল্লহু খইর।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬)তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7474

(وَمِنْهَا) النِّصَابُ أَقَلُّ الْحَيْضِ ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ وَثَلَاثُ لَيَالٍ فِي ظَاهِرِ الرِّوَايَةِ. هَكَذَا فِي التَّبْيِينِ وَأَكْثَرُهُ عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَلَيَالِيهَا. كَذَا فِي الْخُلَاصَةِ.
হায়েযের সর্বনিম্ন মেয়াদ ৩ দিন ৩ রাত। তিন দিনের কম রক্তস্রাব হলে সেটা হায়েয হিসেবে গণ্য হবে না। হায়েযের সর্বোচ্ছ মেয়াদ ১০ দিন১০ রাত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হায়েয হওয়ার জন্য লাগাতার রক্তস্রাব হওয়া শর্ত নয়। বরং দিনে রাতে যে কোনো সময় এক দুই ফোটা রক্ত চলে আসলে সেটাকে হায়েয হিসেবে ধরে নেয়া হবে।যেহেতু ২৪, ২৫, ২৬ তারিখে পরপর ৩ দিনই যোহরের সময়ে এক দলা করে রক্তপাত হয়েছে, তাই এটাকে হায়েয হিসেবেই ধরে নেয়া হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 169 views
0 votes
1 answer 111 views
...