আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
126 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)

اسلام عليكم و رحمة الله و بركاته. 

মুহতারম, আল্লাহু ﷻ রহমতে কেমন আছেন? 

আমাদের ২০১৭ সালে ঘরের কাজে হাত দেন। তখন আমার আপন ছোট চাচা তার কিছু অংশ একজনের কাছে বিক্রি করে দেই। সেটার উছিলায় ধরে ক্ষমতার প্রভাব খাঁটিয়ে আমাদের আশেপাশে অনেক সম্পত্তি ওরা দখল করে নেন। এবং, আমার ঐ চাচা সহ আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আমার বড় ভাই ও বাবার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা ও আমার বিরুদ্ধে জামায়েত ইসলামী মামলা করে। এর কারণে আমাদের প্রায় ৩/৪ লক্ষ টাকা বিভিন্ন কারণে খরচ হই। পরবর্তী তে ঘরের কাজ সম্পূর্ণ করতে ব্যর্থ হই। কোন রকম উপরে টিন দিয়ে দেওয়া হই। কিন্তু বাথরুম ও গোসল খানা দেওয়া হই না। পরে একটু একটু করে ঘরের কাজ করা হই। এখনো অনেক কাজ বাকি আছে। 

আমি গত বছরের শাওয়াল মাসে বিবাহ করি আলহামদুলিল্লাহ। এখন এক বছর পর আহোলিয়া কে নিয়ে আসার কথা হই। এর মাঝখানে বড় ভাই একটি কোম্পানির ডিপো নিতে একটা বড় অংক শেয়ারে বিনিয়োগ করে। কিন্তু, সেগুলো প্রতারণা করে নিয়ে যায়। এখন ঘরের কাজ করার জন্য পরিবার চাচ্ছে ব্যাংক কিংবা কোন সুদই প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে। কিন্তু, আমি সেখানে বেশ কয়েকবার বাঁধা প্রদান করি এবং আত্নীয় স্বজন থেকে  কর্জে হাসানা নিতে পরামর্শ দিই। আমার আত্নীয় স্বজনদের বিপুল পরিমাণ অর্থ সম্পদ আছে। কিন্তু, ওনারা কর্জে হাসানা দিতে অসম্মতি জানান। আমার খালার একাউন্টে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা আছে। ওনারা ২৫ লক্ষ টাকা খরচ করে ঘর করতেছে। আমার ফুফাতো ভাইয়ের একাউন্টে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা আছে। এবং আমার আম্মু পৈতৃক সম্পদ বাবদ ১০ লক্ষ টাকা পাবে। কি,, তারা ও দিতে অসম্মতি জানান। সবমিলিয়ে আর্থিক চাপের মধ্যে আছে পুরো পরিবার। তবে আমার খালা আমার আম্মু কে মাঝে মাঝে হাত খরচ বাবদ ২/৩ হাজার দেন।

এখন আমার প্রশ্ন- 

•যেহেতু, আত্নীয় স্বজন কর্জে হাসানা দিচ্ছে না, সেহেতু ব্যাংক থেকে নিয়ে বা এনজিও থেকে লোন নিয়ে ঘরের কাজ করা যাবে??

•যদি ঘর করা না যায় তাহলে পরিবার যদি ঘর করে ঐ ঘরে থাকা যাবে? 

• ঐ ঘরে থাকা না গেলে আহোলিয়া নিয়ে পরিবার বাহিরে থাকতে দিচ্ছে না। এক্ষেত্রে, পিতা বদদোয়া দেন। আহোলিয়া নিয়ে বাহিরে থাকলে গুনাহ হবে?? যেহেতু সুদের টাকা তে ঘর করা।

বিঃদ্রঃ আমি দ্বীনে ফেরার পর হিফজ করি এবং একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের কুরআনিক সাইন্স ও ইসলামিক স্টাডিজ এ ভর্তি হই। কিন্তু, উক্ত সমস্যা গুলোর পড়াশোনা অফ হয়ে যায়। এখনো তীব্র ইচ্ছা আরবি ভাষা নিয়ে গবেষণা করার। কিন্তু আর্থিক সাপোর্ট নেই

جزاك الله خيرا 

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 
فَمَنِ اضۡطُرَّ غَیۡرَ بَاغٍ وَّ لَا عَادٍ فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱۱۵﴾ 

কিন্তু কেউ অবাধ্য বা সীমালংঘনকারী না হয়ে অনন্যোপায় হলে আল্লাহ্ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(সুরা নাহাল ১১৫)

 فَمَنِ اضۡطُرَّ فِیۡ مَخۡمَصَۃٍ غَیۡرَ مُتَجَانِفٍ لِّاِثۡمٍ ۙ فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۳﴾ 

অতঃপর কেউ পাপের দিকে না ঝুঁকে ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হলে তবে নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(সুরা মায়েদা ০৩)

https://www.ifatwa.info/1085 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
সুদের আদান-প্রদাণ হারাম।তবে অবস্থাবেধে হুকুমে কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে।মানুষের প্রয়োজন তিন প্রকারের হতে পারে।যথা- 

জরুরত (এমন প্রয়োজন যা না হলে নয়) : এমন এক ধরনের প্রয়োজন, যা ছাড়া জীবন হুমকির মুখে পড়ে যায়। যেমন, মরুভূমিতে ক্ষুধার্ত একজন মানুষ, যার কাছে কোনো খাবার নেই। (এই পরিস্থিতিতে মানুষটি জীবন বাঁচানোর তাগিদে হারাম বস্তুও ভক্ষণ করতে পারবে)। 

হাজত (এমন প্রয়োজন যা না হলে অত্যাধিক কষ্ট হবে) : কষ্ট বা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে যা করা হয়ে থাকে। (এখানে কষ্ট বা যন্ত্রণা বলতে জীবনের জন্যে হুমকিস্বরূপ বোঝাচ্ছে না) যেমন- একজন সাওম পালনকারী ব্যক্তি অসুস্থতার কারণে খাওয়া-দাওয়া করতে পারে। ফরজ সাওম হলেও এ ক্ষেত্রে তা ঐ ব্যক্তির জন্যে ভাঙার অনুমোদন রয়েছে।বা মেয়ের বিয়েতে টাকার প্রয়োজন। 

তাহসিন (পছন্দনীয় ও সুশোভিতকরণ) : এ ধরনের প্রয়োজনীয়তাগুলো মানুষের পোশাক-আশাক ও আচার-আচরণের পরিশুদ্ধতা ও পরিপূর্ণতার জন্যে এবং জীবনের মান উন্নয়নের জন্যে দরকারি। যেমন, একজন মানুষের শারীরিক অবস্থা ঠিক রাখার জন্যে মাছ, মাংস ও ফলমূল খাওয়া প্রয়োজন। (এই তিন প্রকার একজন দ্বীনী বোনের গবেষনা থেকে কপিকৃত)  

হুকুমঃ

প্রথম অবস্থায় সুদ গ্রহণ জায়েয।এবং তৃতীয় অবস্থায় সুদ গ্রহণ জায়েয হবে না। আর দ্বিতীয় অবস্থার ব্যাখ্যা এরূপ যে,অভাব অনটনের পরিস্থিতি এমন পর্যায়ের যে,খানাপিনা এবং চিকিৎসা ইত্যাদি মত মৌলিক প্রয়োজনাদিকে পূর্ণ করা সুদ ব্যতীত প্রায় অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে সুদ গ্রহণ করা বৈধ হবে।(জাদীদ ফেকহী মাসাঈল-৪/৫২) 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এমতাবস্থায় ব্যাংক বা এনজিও থেকে লোন নেয়া জায়েজ হবেনা।

এক্ষেত্রে পরিবার ঘর করলে সেই ঘরের লোন হালাল টাকায় পরিশোধ করলে সেই ঘরে থাকা যাবে।

লোন সংক্রান্ত আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...