আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
81 views
in পবিত্রতা (Purity) by (18 points)
আমার ২৩তারিখ রাতে হায়েজ হওয়ার কথা ছিল।আমার হায়েজের প্রথমদিকে ব্লাড যায় না অন্য কালারের স্রাব যায়।কিন্তু রাতে স্রাব দেখে বুঝতেই পারছিলাম না এইটা সাদা নাকি অন্য কালার।আগেও এমন হয়েছে যে আমি বুঝতে পারতাম না, পরে যখন বেশি স্রাব যায় তখন বুঝতে পারতাম যে এইটা অন্য কালার।

তাই এরপর আরো কয়েকবার চেক করি।টিস্যু দিয়েই চেক করেছি।বেশি স্রাব ই বের হয়েছিল তাও বুঝতে পারিনাই।আগে বুঝে যেতাম বেশি স্রাব বের হলেও কিন্তু এইবার বুঝতে পারতেছিলাম না।

একবার বড় আপুকে দিয়ে চেক করিয়েছি আপু বলেছে এইটা সাদাস্রাব ই।(আপু অবশ্য আমার মতো তীক্ষ্ণ করে দেখেনি)কিন্তু আমার কেমন সন্দেহ হচ্ছিল।এইটা নিয়ে আমার খুব ওয়াসওয়াসা হয়।আমি এই অবস্থা ধরতেই পারিনা।এছাড়া খুব তীক্ষ্ণ ভাবে দেখি রাতে আলোতে যখন স্রাবসহ টিস্যুটাকে এদিক সেদিক নাড়ছিলাম তখন আবার সাদা মনে হচ্ছিল।আবার কনফিউশানে পড়ে যাচ্ছিলাম।বারবার দুয়া করছিলাম আল্লাহ যাতে আমাকে সঠিক পথ দেখান।পরে মনে হলো এইটা সাদাস্রাব ই।আবার মনে হচ্ছিলো আলোর বা কিছু কারণে এইটা এমন দেখা যাচ্ছিলো।আর আমি সম্ভবত কালার ধরতে পারছিলাম না  বা আমার চোখের ভুল।

আমি যদি বাথরুমে চেক না করে অন্য রুমের বাতি দিয়ে চেক করতাম তাহলে হয়তো সাদাই লাগতো।কিন্তু বাথরুমের লাইটটা খুব প্রখর।খুব বেশি আলো দেয়।আমি বুঝতেছিনা এইসব কারণে আমি হয়তো স্রাবের কালার ধরতে পারতেছিলাম না।তবে বলে রাখি প্রায় সাদা ছিল।কখনো কখনো অন্য কালার লাগছিলো।আমি ভিডিও করেছি সেখানে ক্যামেরাতে সাদা লাগছিলো আমি যেমনটা দেখতে পাচ্ছিলাম ওমন রিফ্লেক্ট করছিল না।আর কোনোপ্রকার গন্ধ ও ছিল না স্রাবে।

 আমি দুয়া পড়ে বাথরুমে গেলাম চেক করার জন্য যাতে আল্লাহ সঠিক পথ দেখান।তখন ফজর ওয়াক্ত ছিল প্রায় নিশ্চিত হলাম এইটা সাদা স্রাব ই।এরপর ইস্তিঞ্জা করছিলাম পরে আবার স্রাব বের হলো টিস্যু দিয়ে চেক করে দেখি যে সবুজ হলদে স্রাব যাচ্ছে।কিন্তু এর কয়েক মিনিট পূর্বে যে স্রাব দেখেছিলাম সেটাকে প্রায় নিশ্চিতভাবে সাদাই লেগেছিল।আল্লাহু আলাম।এখন মনে প্রায় আভাস পাচ্ছি হয়তো আল্লাহর তরফ থেকেই।এতোক্ষণ সাদাস্রাব ই গেছে কিন্তু ফজর ওয়াক্তে হলুদ স্রাব গেছে।(আফওয়ান এভাবে ভেঙে লিখার জন্য)


আমার প্রশ্ন এখন কোন টাইম থেকে হায়েজ ধরব?২৩তারিখ রাত থেকে নাকি ফজর ওয়াক্ত থেকে?

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,

أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 
,
আরো জানুনঃ

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি ২৩ তারিখ রাত থেকে নয়,বরং ফজরের ওয়াক্ত থেকে হায়েজ ধরবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 122 views
...