জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋَﻦْ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬَﺎ ﺯَﻭْﺝِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲَّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﻌْﺘَﻜِﻒُ ﺍﻟْﻌَﺸْﺮَ ﺍﻷَﻭَﺍﺧِﺮَ ﻣِﻦْ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﺣَﺘَّﻰ ﺗَﻮَﻓَّﺎﻩُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ، ﺛُﻢَّ ﺍﻋْﺘَﻜَﻒَ ﺃَﺯْﻭَﺍﺟُﻪُ ﻣِﻦْ ﺑَﻌْﺪِﻩِ
রাসূলুল্লাহ সাঃ ইহকাল ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত রমজানের শেষ দশে এ'তেক্বাফ করতেন।অতঃপর উনার বিবিগণ এ'তেক্বাফ করেন।
সহীহ বোখারী-২০২৬
সহীহ মুসলিম-১১৭২
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে-
وَالْمَرْأَةُ تَعْتَكِفُ فِي مَسْجِدِ بَيْتِهَا إذَا اعْتَكَفَتْ فِي مَسْجِدِ بَيْتِهَا فَتِلْكَ الْبُقْعَةُ فِي حَقِّهَا كَمَسْجِدِ الْجَمَاعَةِ فِي حَقِّ الرَّجُلِ لَا تَخْرُجُ مِنْهُ إلَّا لِحَاجَةِ الْإِنْسَانِ كَذَا فِي شَرْحِ الْمَبْسُوطِ لِلْإِمَامِ السَّرَخْسِي
মহিলা চাইলে রমজানের শেষ দশে এ'তেকাফে বসতে পারবে।যখন সে তার ঘরের মসজিদে এ'তেকাফে বসে যাবে,তখন এই জায়গা তার জন্য মসজিদের সমতুল্য হয়ে যাবে,যেভাবে পুরুষদের জন্য জামে মসজিদ রয়েছে।সে প্রাকৃতিক প্রয়োজন ব্যতীত ঐ জায়গা থেকে আর বের হতে পারবে না।
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২১১)
আল্লামা কা'সানি রাহ বলেন,
وَلَوْ حَاضَتْ الْمَرْأَةُ فِي حَالِ الِاعْتِكَافِ فَسَدَ اعْتِكَافِهَا
যদি এ'তেকাফ অবস্থায় মহিলার হায়েয চলে আসে তাহলে তার এ'তেকাফ ফাসিদ হয়ে যাবে।বাদায়ে সানায়ে-২/১১৬
মহিলারা ঘরের মসজিদে বা একটি জায়গাকে নির্দিষ্ট করে এ'তেক্বাফে বসবে।তবে সাবধান! পরবর্তীতে আর স্থান পরিবর্তন করা যাবে না।মহিলাদের জন্য শর্ত হল,হায়েয নেফাস থেকে পবিত্র থাকা।এ'তেক্বাফের মধ্যখানে যদি হায়েয চলে আসে, তাহলে এ'তেক্বাফ ফাসিদ হয়ে যাবে।কেননা তখন তো উনি আর রোযা রাখতে পারবেন না। পরবর্তীতে কমপক্ষে একদিন রোযা সহ এ'তেক্বাফকে কাযা করে নেবেন।সম্ভব হলে অবশিষ্ট সকল দিনের এ'তেক্বাফকে রোযাসহ কাযা করে নিতেও পারেন।
স্বাভাবত মানুষের যে সমস্ত প্রয়োজন থাকে সেসব প্রয়োজনের স্বার্থে তিনি এ'তেক্বাফ থেকে বের হতে পারবেন।প্রস্রাব পায়খানা,ওজু ফরয গোসল ইত্যাদির জন্য।তবে শীতিলতা অর্জনের নিমিত্তে উনি গোসলে যেতে পারবেন না।
খানা পাকানোর জন্য উনি পাকঘরে যেতে পারবেন না।তবে প্রয়োজনে তিনি এ'তেক্বাফ স্থলে খানাকে রান্না করে নিতে পারবেন।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-১০/২৫১)
,
বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০২)
ইবাদত করা যায়,থাকা যায়,ঘুমানো যায়,এমন যেকোনো জায়গায় ইতেকাফের জন্য নির্দিষ্ট করতে পারেন।
তবে সেটি কোনো ঘরের কোনায় হলে ভালো হয়।
রুমে যদি এটাচড বাথরুম থাকে তাহলেও সাধারণ গোসল করা যাবেনা।
ইতেকাফ অবস্থায় সাধারণ গোসল করা এটি শরীয়তের দৃষ্টিতে আবশ্যকীয় প্রয়োজনের মাঝে শামিল নয়। তাই এই গোসলের জন্য ইতেকাফের স্থান থেকে বের হওয়া যাবে না। যদি কেউ বের হয়, তাহলে তার ইতিকাফ ভেঙ্গে যাবে।
হ্যাঁ, মুফতীয়ানে কেরাম একটি সূরত বলেছেন, সেটি হল এই যে, গোসল খানায় আগে থেকে কাউকে দিয়ে পানি ভরে রাখবে, তারপর ইস্তিঞ্জার জন্য বের হবে, ইস্তিঞ্জা শেষ করে অজু করার সময় দ্রুত গায়ে কিছু পানি ঢেলে চলে আসবে। এতে করে ইতিকাফ ভাঙ্গবে না। তবে গোসল করতে গিয়ে দেরী করবে না।
(০৩)
হ্যাঁ, পড়া যাবে।
(০৪)
ইতেকাফের স্থানে থেকে অন্যদের সাথে যত ইচ্ছা কথা বলা যাবে।
এক্ষেত্রে অহেতুক কথা বার্তা বলা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে।
সর্বদায় নামাজ, যিকির,কুরআন তিলাওয়াত তাসবিহ আদায় ইত্যাদি ইবাদতে মগ্ন থাকার চেষ্টা করতে হবে।
(০৫)
প্রবেশের সময় মনে মনে নিয়ত করবেন যে আমি সুন্নাত ইতেকাফের নিয়ত করিলাম।
(০৬)
কাপড় ধৌত করা যাবে না। তবে যদি ইতিকাফ স্থলে এনে ধৌত করেন, তাহলে ইতিকাফ ফাসিদ হবে না।
তবে ইস্তেঞ্জার জন্য বাথরুমে গিয়ে ২ নং প্রশ্নের জবাবের পদ্ধতিতে দ্রুত কাপড় ধোয়া হলে ইতেকাফ ফাসেদ হবেনা।
আরো জানুনঃ-