ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যে কোনো কাজের জন্য জমাকৃত টাকায় যাকাত ফরয হবে যদি তার নেসাব পরিমাণ হয় এবং এক বৎসর মালিকানায় থাকে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1261
যদি কারো নিকট ৭.৫ ভড়ি স্বর্ণের চেয়ে কম থাকে, এবং বৎসরের শুরুতে ও শেষে রূপা বা প্রয়োজন অতিরিক্ত কিছু টাকা হাতে থাকে,(১০০ বা ২০০ হোক) এবং সব মিলিয়ে ৫২ ভড়ি রূপার সমপরিমাণ হয়ে যায়, তাহলে তার উপর যাকাত ফরয হবে।
বৎসরের শুরুতে কিছু টাকা ছিল,কিন্ত শেষে নাই, বা বৎসের মধ্যখানে ছিল,কিন্তু তারপর আর নাই,এমন হলে তখন কিন্তু স্বর্ণের সাথে মিলিত হবে না এবং যাকাতও ওয়াজিব হবে না। তাছাড়া টাকাটা প্রয়োজন অতিরিক্ত হতে হবে।অর্থাৎ এমন টাকা যা সংসারে বা নিজ প্রয়োজনে খরচ হবে না। বরং এগুলো অতিরিক্ত জমানো টাকা। খরচ হয়ে গেলে বা অচিরেই খরচ হয়ে যাবে, এমন হলে, সেই টাকা কিন্তু প্রয়োজন অতিরিক্ত বলে গণ্য হবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/82438
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে আপনার নিকট যেহেতু নগদ টাকা বৎসরের শুরু এবং শেষে নাই, তাই আপনার উপর যাকাত ফরয হবে না।