আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
91 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
আমার নামাজে ওয়াসওয়াসার কারণে অনেক সময় নামাজ ভেংগে আবার শুরু করি,কিন্তু সিজদাহ এর ক্ষেত্রে একটু ভিন্ন এমনি এমনিই শয়তান ওয়াসওয়াসা দেয়, দুই সিজদাহ করার পর তাশাহুদ পড়ার সময় সন্দেহ সৃষ্টি করে দেয়,এটা আমার প্রতিটা নামাজে হয়,প্রতিটা রাকাতে (সন্দেহ থেকে) অথচ আমি ৯৯.৯৯%  সিওর মানে শতভাব সিওর যে আমি সিজদাহ করেছি দুইটিই। কারণ দুই সিজদাহ এর মধ্যে প্রথম সিজদাহ সুবহানা রব্বিইয়াল 'আলা তিনবার পড়ে আল্লহুম্মারযুকনি... এটা পড়ায়ামার মুখস্থ পুরো। মানে করবই। আর এটা করলে ২য় সিজদাহ ও দিয়েছি এটা শতভাগ সিওর থাকি।

১) এরকম টা যুহরে ফরজ নামাজে হয়েছে, কিন্তু প্রবল ধারণা আমি ২টা সিজদাহ ই দিয়েছি। এখন কি নামাজটি দোহরানো লাগবে?

২) আগামী নামাজ গুলোতেও এমন হলে কি সাহু সিজদাহ দেবো?৷ আর দিলে আরেকটা সিজদাহ দিয়ে যে দুইটা একদিকে সালাম ফিরিয়ে দুইটা সিজদাহ দেওয়ার লাগে এটা কি দুই দিকে সিজদাহ দেওয়ার পর করব? নাকি একদিকে সালাম ফিরিয়ে সাহু সিজদাহ দিলে নামাজ হবে না? আর আরেকটি ফরজ সিজদাহ কখন করিয়ে নেব?

৩)১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর পেতে পেতে যদি নামাজের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায়,আমি যে নামাজের জন্য বিলম্ব করলাম।দোহরানোর লাগলে প্রশ্নের উত্তর পেয়েই দোহরাব, তাহলে কি আমার গুনাহ হবে?

৪) নামাজে সূরা মিলিয়েছি কিনা সন্দেহ হলে(ওয়াসওয়াসা)  আমি নামাজ শেষ করে মানে দুইদিকে সালাম ফিরিয়েই সাহু সিজদাহ দিয়ে দিয়ে নামাজ হয়ে যাবে কি?

1 Answer

0 votes
by (567,240 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

নামাযে রা'কাত বা সেজদা সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হলে,যে ঐ ব্যক্তির কি এটা প্রথম হয়েছে না মাঝেমধ্যে এমন হয়।যদি প্রথমবার বা কদাচিৎ হয়ে তাহলে উনি আবার প্রথম থেকে শুরু করে নতুনভাবে পড়ে নিবেন।
(মুছান্নাফে ইবনে আবি শাইবা ২/২৮)

যে ব্যক্তির প্রায় সময় সন্দেহ হয় এবং সন্দেহ তার অভ্যাসে পরিণত হয়, ওই ব্যক্তি যেদিকে তার মন বেশি যায় (প্রবল ধারণা হয়), সেটার ওপর আমল করবে। যদি সব বিষয়ে ধারণা সমান হয়, তাহলে অপেক্ষাকৃত কম সংখ্যার ওপর আমল করবে এবং প্রত্যেক রাকাতকে নামাজের শেষ মনে করে বসবে, শেষে সিজদায়ে সাহু করবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ دَاوُدَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا شَكَّ أَحَدُكُمْ فِي صَلاَتِهِ فَلَمْ يَدْرِ كَمْ صَلَّى ثَلاَثًا أَمْ أَرْبَعًا فَلْيَطْرَحِ الشَّكَّ وَلْيَبْنِ عَلَى مَا اسْتَيْقَنَ ثُمَّ يَسْجُدُ سَجْدَتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ فَإِنْ كَانَ صَلَّى خَمْسًا شَفَعْنَ لَهُ صَلاَتَهُ وَإِنْ كَانَ صَلَّى إِتْمَامًا لأَرْبَعٍ كَانَتَا تَرْغِيمًا لِلشَّيْطَانِ " .

মুহাম্মাদ ইবনু আহমাদ ইবনু আবূ খালাফ (রহঃ) ..... আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন রাকাআত আদায় করা হলো না চার রাকাআত আদায় করা হলো- সালাতের মধ্যে তোমাদের কারো এরূপ সন্দেহ হলে সে যে কয় রাক’আত আদায় করেছে বলে নিশ্চিত হবে (তিন রাকাআত) সে কয় রাকাআতকে ভিত্তি ধরে অবশিষ্ট করণীয় করবে। এরপর সালাম ফিরানোর পূর্বে দুটি সিজদা করবে। (এখন) সে যদি পাঁচ রাকাআত আদায় করে থাকে তাহলে এ দু' সিজদা দ্বারা তার সালাতের জোড়া পূর্ণ হয়ে যাবে। আর যদি তার সালাত চার রাকাআত হয়ে থাকে তাহলে (এই) সিজদা দুটি শয়তানের মুখে মাটি নিক্ষেপের শামিল হবে। (মুসলিম ১১৫৯.ইসলামী ফাউন্ডেশন ১১৫২, ইসলামীক সেন্টার ১১৬১)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
নামাজটি দোহরানো লাগবেনা।

(০২)
এ সংক্রান্ত মূলনীতি উপরে উল্লেখ রয়েছে।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে গুনাহ হবেনা।

(০৪)
নামাজ হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...