ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(ক)
রোযা অবস্থায় দিনের বেলায় তথা ফজরের থেকে নিয়ে মাগরিবের পূর্বে যে কোনো মুহূর্তে হায়েয চলে আসলে, এদ্বারা রোযা ফাসিদ হয়ে যাবে। এবং পবিত্র হওয়ার পর ঐ রোযার কাযা করতে হবে। যেই মহিলার রোযা অবস্থায় হায়েয নেফাস শুরু হবে, সেই মহিলার একাকি খেতে পারবে। এমনকি একাকি ঐ সমস্ত মহিলাদের কিছু খাওয়া উচিৎ। তারা রোযাদারের সাদৃশ্য গ্রহণ করবে না।
"وأما في حالة تحقق الحیض و النفاس فیحرم الإمساك؛ لأن الصوم منهما حرام، والتشبه بالحرام حرام". (طحطاوی علی المراقی : ص : ۳۷۰ )
তবে যদি কোনো হায়েয বা নেফাস গ্রস্ত মহিলা দিনের কোনো অংশে পাকপবিত্র হয়ে যায়, তাহলে দিনের পরবর্তী অংশ খানা পিনা থেকে বিরত থাকা ওয়াজিব।
’’یجب علی الصحیح، و قیل: یستحب الإمساك ... وعلی حائض و نفساء طهرتا بعد طلوع الفجر‘‘. (مراقی الفلاح : ص : ۳۷۰)
(খ) যখন দেখেছে, তখন থেকেই হায়েয মনে করবে।
নামাযের ওয়াক্তের একেবারে শেষ মুহূর্তে যদি কোনো নারীর হায়েয আসে, আর ঐ নারী উক্ত নামায পড়ে না থাকে, তাহলে ঐ নামায উক্ত মহিলাকে আর পড়তে হবে না,মাফ হয়ে যাবে।
أما الفرض ففي الصوم تقضیہ دون الصلاة وإن مضی من الوقت ما یمکنھا أداوٴھا فیہا؛لأن العبرة عندنا لآخر الوقت کما في المنبع (رد المحتار، کتاب الطھارة، باب الحیض، ۱: ۴۸۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
إذا حاضت في الوقت أو نفست سقط فرضہ بقي من الوقت ما یمکن أن تصلي فیہ أو لا ھکذا في الذخیرة (الفتاوی الھندیة، کتاب الطھارة، الباب السادس في الدماء المختصة بالنساء، الفصل الرابع في أحکام الحیض والنفاس والاستحاضة، ۱: ۳۸، ط: المطبعة الکبری الأمیریة، بولاق، مصر) ۔