আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
135 views
in পবিত্রতা (Purity) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম।
গত ২ মাসে ভোর ৪ টার দিকে হায়েয টের পেয়েছে। এই মাসে রামাদানে ভোর ৪টার দিকে চেক করেনি, ৬টার সময় উযু করতে গিয়ে হায়েয টের পেয়েছে। দুটি প্রশ্নঃ

(ক) রামাদানে দিনের বেলা হায়েয এলে ইফতার পর্যন্ত রোযাদারের মত থাকার হুকুম কোন পর্যায়ের? মুস্তাহাব না ওয়াজিব? প্রতিবারই হায়েযের শুরুতে  অতিরিক্ত দূর্বলতাজনিত বিভিন্ন সমস্যা হয়, সে প্রেক্ষিতে রামাদানে এই দিন(অর্থাৎ ৬টায় টের পেয়েছে, ৪টায় চেক করেনি এমন অবস্থায়) খাওয়া কেমন হবে?

(খ) এবার যেহেতু ৬টার দিকে হায়েয টের পেয়েছে, এর আগে রাত ১টার দিকে শেষ ফ্রেশ হয়েছিল। এখন হায়েয শুরু কি ফজরের আগ থেকে ধরবে নাকি ফজরের পর? আর যদি ইস্তেহাযা হয় তাহলে ১০ দিন শেষে গোসল কখন করবে, কোন সালাত আদায় করবে? উল্লেখ্য যে, গত মাসে ইস্তেহাযা গিয়েছিল।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(ক)
রোযা অবস্থায় দিনের বেলায় তথা ফজরের থেকে নিয়ে মাগরিবের পূর্বে যে কোনো মুহূর্তে হায়েয চলে আসলে, এদ্বারা রোযা ফাসিদ হয়ে যাবে। এবং পবিত্র হওয়ার পর ঐ রোযার কাযা করতে হবে। যেই মহিলার রোযা অবস্থায় হায়েয নেফাস শুরু হবে, সেই মহিলার একাকি খেতে পারবে। এমনকি একাকি ঐ সমস্ত মহিলাদের কিছু খাওয়া উচিৎ। তারা রোযাদারের সাদৃশ্য গ্রহণ করবে না। 
"وأما في حالة تحقق الحیض و النفاس فیحرم الإمساك؛ لأن الصوم منهما حرام، والتشبه بالحرام حرام". (طحطاوی علی المراقی : ص : ۳۷۰ )

তবে যদি কোনো হায়েয বা নেফাস গ্রস্ত মহিলা দিনের কোনো অংশে পাকপবিত্র হয়ে যায়, তাহলে দিনের পরবর্তী অংশ খানা পিনা থেকে বিরত থাকা ওয়াজিব।
’’یجب علی الصحیح، و قیل: یستحب الإمساك ... وعلی حائض و نفساء طهرتا بعد طلوع الفجر‘‘. (مراقی الفلاح : ص : ۳۷۰)

(খ) যখন দেখেছে, তখন থেকেই হায়েয মনে করবে।

নামাযের ওয়াক্তের একেবারে শেষ মুহূর্তে যদি কোনো নারীর হায়েয আসে, আর ঐ নারী উক্ত নামায পড়ে না থাকে, তাহলে ঐ নামায উক্ত মহিলাকে আর পড়তে হবে না,মাফ হয়ে যাবে। 

أما الفرض ففي الصوم تقضیہ دون الصلاة وإن مضی من الوقت ما یمکنھا أداوٴھا فیہا؛لأن العبرة عندنا لآخر الوقت کما في المنبع (رد المحتار، کتاب الطھارة، باب الحیض، ۱: ۴۸۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
إذا حاضت في الوقت أو نفست سقط فرضہ بقي من الوقت ما یمکن أن تصلي فیہ أو لا ھکذا في الذخیرة (الفتاوی الھندیة، کتاب الطھارة، الباب السادس في الدماء المختصة بالنساء، الفصل الرابع في أحکام الحیض والنفاس والاستحاضة، ۱: ۳۸، ط: المطبعة الکبری الأمیریة، بولاق، مصر) ۔


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...