ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ঋণের ক্ষেত্রে লক্ষণীয় আরো একটি দিক রয়েছে।আর তা হলো যে, ঋণ দুই প্রকার।
(এক) সাধারণ ঋণ।যা মানুষ ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কিংবা অস্বাভাবিক অবস্থায় নিতে বাধ্য হয়।
(দুই) বিশাল বিশাল শিল্পকারখানা গড়ে তোলার কিংবা যে কোনো বড় ধরণের ব্যবসায়িক প্রকল্প খোলার উদ্দেশ্যে যে ঋণ নেয়া হয়ে থাকে।দৃষ্টান্ত স্বরূপ- ফ্যাক্টরী স্থাপন,মেশিনারিজ আমদানী কিংবা ব্যবসায়িক পণ্য ইমপোর্ট করার উদ্দেশ্যে ঋণ নেয়া হয়।
ধরা যাক একজন শিল্পপতির দু'টি ফ্যাক্টরী চালু রয়েছে।কিন্তু সে ব্যাংক ঋণ নিয়ে তৃতীয় আরো একটি ফ্যাক্টরী চালু করল।
দ্বিতীয় প্রকারের এই ঋণকে যদি সামগ্রিক সম্পদের হিসাব থেকে বাদ হয়,তাহলে এ জাতীয় শিল্পপতিদের তো এক পয়সাও যাকাত ওয়াজিব হবে না; বরং উল্টো তারাই যাকাত প্রাপকের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।কেননা তাদের কাছে যাকাতযোগ্য যে পরিমাণ সম্পদ রয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশী ঋণ সে ব্যাংক থেকে নিয়ে রেখেছে।দৃশ্যত: এখন সে দরিদ্র এবং মিসকিন মনে হচ্ছে।সুতরাং এ জাতীয় ঋণ বাদ দেয়ার ক্ষেত্রে শরীয়ত পার্থক্য নির্ণয় করে দিয়েছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1456
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বিক্রয়যোগ্য যত মাল আছে তার বিক্রয়মুল্য হিসাব করে যত পাওনা আছে সেগুলো বাদ দিয়ে আপনার নিজের যত টাকা থাকবে, সেগুলোর যাকাতই আপনার উপর ফরয হবে। আপনার ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক লোনের যাকাতের মাস'আলা প্রযোজ্য হবে না। কেননা, আপনার নিকট ঐ টাকা ৬ মাসের উপর থাকছে না।