ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
وليس لها أن تعتكف في غير موضع صلاتها من بيتها وإن لم يكن فيه مسجد لا يجوز لها الاعتكاف فيه ولا تخرج من بيتها إذا اعتكف فيه قال - رحمه الله - (ولا يخرج منه إلا لحاجة شرعية كالجمعة أو طبيعية كالبول والغائط) لما روينا من الأثر عن عائشة - رضي الله عنها - ولما روي عنها أنها قالت «كان النبي - صلى الله عليه وسلم - لا يدخل البيت إلا لحاجة الإنسان إذا كان معتكفا» متفق عليه تريد البول والغائط هكذا فسره الزهري
ঘরের মসজিদ ব্যতীত অন্যত্র এ'তেক্বাফ করা নারীদের জন্য জায়েয নয়।যদি ঘরে কোনো মসজিদ না থাকে তথা নামাযের জন্য নির্দিষ্ট কোনো জায়গা না থাকে।তাহলে উক্ত ঘরে এ'তেক্বাফ করা জায়েয হবে না। যখন মহিলা কোনো কামরায় এ'তেকাফ শুরু করে দিবে তখন সে মহিলা আর ঐ কামরা থেকে বাহিরে যেতে পারবে না।তবে শরয়ী প্রয়োজনে যেমনঃ জুম্মার সালাত(এটা তখনকার বিধান যখন ফিৎনা ছিলনা), এবং প্রকৃতিগত প্রয়োজন যেমন প্রস্রাব পায়খানা ইত্যাদির জন্য ঐ কামরা থেকে বাহিরে যাওয়া যাবে।
যেমন হয়রত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এ'তেক্বাফ অবস্থায় জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত মসজিদ থেকে ঘরে আসতেন না।জরুরী প্রয়োজন বলতে প্রস্রাব-পায়খানা উদ্দেশ্য। (তাবয়ীনুল হাক্বাঈক্ব-১/৩৫০) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1322
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) ওয়াজিব ব্যতিত ভিন্ন কোনো ইতিকাফ করার পর ভঙ্গ করলে, কোনো গোনাহ হবে না। সুতরাং সুন্নত ইতিকাফ ভঙ্গ হয়ে গেলে কোনো গোনাহ হবে না। তবে একদিনের ইতিকাফকে রোযা সহ কাযা করা অত্যাবশ্যকীয় হবে। কেননা সুন্নত শুরু করার পর তা পূরা করা ওয়াজিব। যদি কেউ এই একদিনের ইতিকাফকে কাযা না করে তাহেল তার গোনাহ হবে। এবং এটা কবিরা গোনাহ হবে। তবে বিনা কারণে ইচ্ছাকৃত ভঙ্গ করা উচিৎ না। ( আহকামে ইতিকাফ-তাকি উসমানি-৫৯)
(২) রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করা সুন্নত। না করলে কোনো গোনাহ হবে না।
ইতিকাফের ফযিলত সম্পর্কে ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত রয়েছে,
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فِي الْمُعْتَكِفِ هُوَ يَعْكِفُ الذُّنُوبَ وَيُجْرَى لَهُ مِنْ الْحَسَنَاتِ كَعَامِلِ الْحَسَنَاتِ كُلِّهَا -
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ই’তিকাফকারী সম্পর্কে বলেনঃ সে নিজেকে গুনাহ থেকে বিরত রাখে এবং নেককারদের সকল নেকী তার জন্য লেখা হয়।(ইবনু মা'জা-১/১৭৮১)
(৩)
মেয়েদের ওপর পুরুষদের ন্যায় ইতিকাফ রমজানের শেষ দশে সুন্নত। কেউ শেষ ১০ দিন না পারলে, তখন সে মুস্তাহাব হিসেবে যতক্ষণ ইচ্ছা ইতিকাফ করতে পারবে।
(৫) আপনি নফল ইতিকাফ করতে পারবেন।