আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
বেশকিছু  দিন  ধরে  একটা  সমস্যার মধ্যে আছি উত্তর  দিয়ে সাহায্য  করলে উপকৃত  হব ইন শা আল্লাহ  উস্তাদ।
উস্তাদ আমার বিয়ে হয়েছে প্রায়  ১১ মাস। আমার হাজবেন্ড  আলহামদুলিল্লাহ  ভাল মানুষ । আমি আমার বিবাহিত  জীবনে  সুখি  আলহামদুলিল্লাহ ।  আমার হাজবেন্ড পাচ ওয়াক্ত নামায পড়েন   পদার ব্যাপারেও  সাহায্য  করেন, দীনের ব্যাপারগুলো মোটামুটি  বুঝেন,  সাহায্য  করেন আলহামদুলিল্লাহ। আমার হাজবেন্ডর কোন হারাম সম্পক,  পরকীয়া, পরনারীর প্রতি আসক্তিও নাই আলহামদুলিল্লাহ।  উনার খালাদের সাথে সম্পক ভাল।  বিয়ের পরে দেখছি খালারা ওকে খাওয়ায়ে দেই।  হাত ধরে মাঝে মাঝে কোন গায়ে হাত দেয়,  গাল টিপে আমার জিনিসটা  খারাপ লাগছে কিন্তু  কিছু বলি নাই।  তারপর হ টাত একদিন ( বলে রাখা ভাল যে উনারা পদা করেন না ওর সামনে ওড়নাও নেন না কিছু ক্ষেত্রে  উগ্র  জামাকাপড়ও পড়েন)  আমার সামনেই উনার খালা উনার গায়ের উপর শুতে চায়।  আমার হাজবেন্ড  জায়গা থেকে সরে যায়।  সেদিন এটা দেখার পর অনেক খারাপ লাগে  ।  আমি সাথে সাথেই কিছু বলি না  পরে উনাকে বলি এগুলো আসলে কি?  উনি অনেক লজ্জা পায় ব্যাপারটাতে।  বলে যে ছোটবেলার অভ্যাসটা  তারা ছাড়তে পারে নি তারা ভাবে ছেলে এখনও ছোট  আছে। ব্যাপারটা  আমার মন মানে না।  আমার হাজবেন্ডকে নিয়ে সন্দেহ শুরু হয় মনের মধ্যে।  রেস্পেক্ট র জায়গায় ও কমতি দেখা দেয় আমি তখন তাকে প্রেসার দেয় সে যেন তাদেরকে  বলে এরকম আচরন,  গায়ে হাত এগুলো যেন তারা না দেয়।  আমার হাজবেন্ড  তার নিজের  ভুল সীকার করেন যে আগে যখন তারা এমন আচরন করত তখন সে কিছু বলে নি  as usal  মনে করছে এটা তার ভুল ছিল আর তাদেরকে এগুলো করতে না করে।  তারপর থেকেই আমি আমার শশুর বাড়িতে সবার কাছে খারাপ হয়ে যায়।  আমার সামী আমার সাথেই ছিল।আমাকে সাপোর্ট  দিছে।  আমি তখন তাদের বলি যে ছেলে বড় হয়ে গেলে তার সাথে একই বিছানাই শুয়া ইসলামে জায়েজ নাই  , ছেলে বড় হলে ছেলের সাথে মায়ের, খালার একটা শারীরিক  দুরুত বজায় রাখা উচিত, আর তার সামনে পোশাক ঠিকভাবে পড়া উচিত। কিন্তু তারা  শুধু  ছোটবেলার কথাই টানে  এখন। আমার সামী চাকরির পরীক্ষা দিতে তার খালার বাড়িতে যেতে চায় ( খালা ডিভোসী কিন্তু এখনও সে তার হাজবেন্ডের ভাড়া ক
রা বাড়িতে তার ছেলে নিয়ে   থাকে। )  যেহেতু  তার সামী নেই একা একটা মহিলা তার ছেলে নিয়ে থাকে  ( আর পুবের নিষেধ  করার পর তারা মোটামুটি  তাদের দোষ  সীকার করে নি ছোটবেলার দোহাই দিয়ে, মানুশের কাছে বলছে আমি সম্পক ছিন্ন করতে চায়,  আর আমার ব্যক্তিগত  ধারনা হইছে তারা আমি নিষেধ  করছি বিধায় এইকাজ করব কি করবা এমন মনোভাব দেখায়) আমি  আমার হাজবেন্ডকে ওখানে যেতে একপ্রকার  নিষেধ করি আমার ভাইয়ের  বাড়ি যেয়ে থেকে পরীক্ষা দিতে বলি সে তাই করে।    পরিক্ষা দিয়ে আসার পরে তার খালা তাকে  ফোন দেয় আর কেন গেলোনা তার বাড়িতে ব লতে থাকে কেন আমার ভাইয়ের বাড়িতে গেল আমি পাশে থেকে সব কথাগুলোই শুনতে পায়।  আমার খুব রাগ হয়ে যায় এমনিতেই এসব মানুষের  উপর আমার রেস্পেক্ট  হারায়ে গেছে আমি আমার হাজবেন্ড এর কাছ থেকে ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে তার পোশাক  আর চরিত্ত সম্পকে কিছু খারাপ কথা বলে ফেলি। এখন আমি এখানে ডিটেলসে সবই বলছি আমি জানি না আমার কি করা উচিত ছিলো  একজন দীনদার হিসেবে, আমার কোথায় ভুল, ?
১ / আমি কি আত্তীয়তার সম্পক ছিন্ন করছি? আমার কি অনেক গুনাহ হবে?

২/ আমি কি সন্দেহ পোশন করে ভুল করছি।

৩/ আমি কি কাউকে অপবাদ দেওয়ার  গুনাহে জড়িত কিনা?

আসলে উস্তাদ আমি জানি না কিভাবে এই পপরিস্থিতি  হ্যান্ডেল ক রা উচিত ছিল একজন দীনদার হিসেবে আর এখনই বা আমার কি করনীয়? যদিও  অনেক বিস্তারিত  বিবরন লিখছি  যদি দয়া করে আমাকে পড়ে উত্তরগুলো দেন তাহলে আমি মানসিকভাবে সস্তি পাব ইন শা আল্লাহ
জাযাকাল্লাহ  খইরন

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আমর বিন শুয়াইব তার সুত্রে বর্ণনা করেন,
ﻋَﻦْ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺷُﻌَﻴْﺐٍ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﻣُﺮُﻭﺍ ﺃَﻭْﻟَﺎﺩَﻛُﻢْ ﺑِﺎﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ ﻭَﻫُﻢْ ﺃَﺑْﻨَﺎﺀُ ﺳَﺒْﻊِ ﺳِﻨِﻴﻦَ ، ﻭَﺍﺿْﺮِﺑُﻮﻫُﻢْ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻭَﻫُﻢْ ﺃَﺑْﻨَﺎﺀُ ﻋَﺸْﺮٍ ، ﻭَﻓَﺮِّﻗُﻮﺍ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻤَﻀَﺎﺟِﻊِ ) .
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, তোমরা তোমাদের সন্তানাদিকে নামাযের আদেশ দাও যখন তারা সপ্ত বর্ষে উপনীত হয়।নামায না পড়ার ধরুণ তাদেরকে প্রহার করো যখন তারা দশম বৎসরে উপনীত হয়।এবং সাথে সাথে তাদের শয়নস্থল কে পৃথক করে দাও।(সুনানু আবি-দাউদ-৪১৮)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/757


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আপনি এক্ষেত্রে আত্তীয়তার সম্পক ছিহ্নকারী হিসেবে কিবেচিত হবেন না।কেননা আপনি দ্বীন ইসলামের কথা বুঝিয়েছেন। 
(২) এমন পরিস্থিতিতে সন্দেহ আসাটা স্বাভাবিক। তবে প্রকাশ করা বুঝতে না দেয়াটাই উচিৎ ছিলো।

(৩) আপনি এখানে কাউকে তো অপবাদ দেননি।  

আপনার উচিৎ ছিলো, নিজেকে এসব কথায় জড়িত না করা, বরং স্বামীকে দিয়ে পর্দা বিষয়ে পরিবারেরর সাথে কথা বলানো উচিৎ ছিলো। ভবিষ্যতে হেকমতের সাথে নরম ভাষায় বুঝাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...