আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
149 views
in পবিত্রতা (Purity) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম

আমার গত বার হায়েজ হয়েছিলো শাবানের ১৩ তারিখ দিবাগত রাতে ( মাগরিব এর অযু করতে গিয়ে দেখেছি ,তার আগেই  রক্ত এসেছে কি না সেটা জানি না )আমার জানামতে তাহলে হায়েজ শুরু হয়েছিলো শাবানের ১৪ তারিখ রাতে । শুরুর দিনটা মনে থাকলেও শেষের দিনটা মনে করতে পারছি না ।

এবার আবার হায়েজ(ব্লিডিং শুরু হয়েছে, হায়েজ কি না জানি না) হয়েছে রমজানের ৬ তারিখ দিবাগত রাতে অর্থাৎ ৭ রমজান এশারের সময় ।

তবে আমার মনে আছে ১৪ তারিখ হায়েজ শুরুর পর আমি ২০ তারিখে ফরজ গোসল যোহর /আছরের সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু গতবার ফরজ গোসল ২ বার দিয়েছিলাম । ১ম বার গোসল দিয়ে যোহর /আসর ,মাগরিব আদায় করার পর আবার এশারের সময় কালচে ধূসর রংয়ের স্রাব দেখতে পেয়েছিলাম ; ফজরেও ছিলো তাই আর ফজর পড়ি নি ; যোহরে/ আসরে ২য় বার আবার  ফরজ গোসল দিয়ে নামাজ পড়া শুরু করেছি ।

এখন ২০ তারিখের গোসল টা ১ম বারের গোসল নাকি ২য় বারের টা ছিলো এটা স্পষ্ট মনে নাই ।

 ২০ই  শাবান  যোহর থেকে পবিত্র দিন ধরলে ৬ই রমজান দুপুরে আমার ১৫ তম দিন পূরন হয় ।   কিন্তু ২১ তারিখ থেকে ধরলে ৭ রমজান দুপুরে ১৫ তম দিন পূরন হয় ।

এখন আমার প্রশ্ন  হলো

১) ৭ রমজান এশার পর  থেকে যে ব্লিডিং শুরু হয়েছে সেটাকে হায়েজ ধরবো নাকি ইস্তেহাযা ? উল্লেখ্য আমার হায়েজ ৬ষ্ঠ/৭ম/৮ম দিনে ভালো হয় নির্দিষ্ট কোনো অভ্যাস নেই ।

২) গতবার মাগরিব আযানের কিছু পরে (১০ মিনিট হতে পারে )অযু করতে গিয়ে দেখি হায়েজ হয়েছে। সেই দিনের মাগরিব নামায কি কাযা করবো?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، - يَعْنِي ابْنَ أَبِي صَالِحٍ - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، حَدَّثَتْنِي فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ أَنَّهَا أَمَرَتْ أَسْمَاءَ - أَوْ أَسْمَاءُ حَدَّثَتْنِي أَنَّهَا أَمَرَتْهَا فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ - أَنْ تَسْأَلَ، رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَهَا أَنْ تَقْعُدَ الأَيَّامَ الَّتِي كَانَتْ تَقْعُدُ ثُمَّ تَغْتَسِلُ - صحيح 

উরওয়াহ ইবনু যুবাইর (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতিমাহ বিনতু আবূ হুবাইশ (রাঃ) আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি আসমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন অথবা আসমা-ই আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন, তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ফাতিমাহ বিনতু আবূ হুবাইশ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করার জন্য। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নির্দেশ দিলেন যে, (পূর্বের হিসেব মতো) হায়িযের দিনগুলোতে অপেক্ষা করবে, তারপর নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হলে গোসল করবে।
(আবু দাউদ ২৮১ নাসায়ী ২০১)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)

মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474
https://ifatwa.info/9904/
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
৭ রমজান ইশার পর থেকে যে ব্লিডিং শুরু হয়েছে,এটা যদি নুন্যতম ৩ দিন ৩ রাত পর্যন্ত আসে,তাহলে সেটাকে হায়েজ ধরবেন।
নামাজ রোযা বন্ধ রাখবে।

তিন দিন তিন রাতের আগেই বন্ধ হয়ে গেলে এবং ১০ দিনের মধ্যে আর না আসলে এটি ইস্তেহাজা।
এ সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে। 

আরো জানুনঃ 

(০২)
সেই দিনের মাগরিব নামায এর কাযা আদায় করতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 143 views
0 votes
1 answer 65 views
...