জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
স্বামীর কাছে পাওনা মোহরানা নিসাব পরিমাণ হলেও তা স্ত্রীর হস্তগত হওয়ার আগ পর্যন্ত তাতে যাকাত ফরয হয় না। হস্তগত হওয়ার পর যদি আগে থেকেই ঐ মহিলার কাছে যাকাতযোগ্য সম্পদ নিসাব পরিমাণ না থাকে তাহলে এখন থেকে বছর গণনা শুরু হবে এবং বছর পূর্ণ হওয়ার পর যাকাত আদায় করতে হবে।
★আর যদি স্ত্রী মোহরানা পাওয়ার আগ থেকেই নিসাব পরিমাণ অর্থ বা সম্পদের মালিক থেকে থাকে তাহলে এই সদ্যপ্রাপ্ত মোহরানা অন্যান্য টাকা-পয়সা বা সম্পদের সাথে যোগ হবে এবং সেই সব পুরানো সম্পদের বছর পূর্ণ হওয়ার পর সমুদয় সম্পদের যাকাত দিতে হবে।
শরীয়তের বিধান হলো অন্যকে যে টাকা কর্জ হিসেবে দেওয়া হয়েছে বা ব্যবসায়ী কোনো পণ্য বাকিতে বিক্রয় করেছে এই পাওনা টাকা পৃথকভাবে বা অন্য যাকাতযোগ্য সম্পদের সাথে মিলিতভাবে নিসাব পূর্ণ করলে তারও যাকাত দিতে হবে। -মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক হাদীস ৭১১১-৭১১৩,৭১২১,৭১২৩,৭১২৮; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ৬/৪৮৪-৪৮৬।
,
পাওনা উসূল হওয়ার পর ওই টাকার যাকাত আদায় করা ফরয হয়। তার আগে আদায় করা জরুরি নয়, তবে আদায় করলে যাকাত আদায় হয়ে যাবে।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা হাদীস ১০৩৪৭, ১০৩৫৬।
,
উপরোক্ত ক্ষেত্রে পাওনা উসূল হতে যদি কয়েক বছর সময় অতিবাহিত হয়ে যায় তাহলে উসুল হওয়ার পর বিগত সকল বছরের যাকাত আদায় করা ফরয হয়। -মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক হাদীস ৭১১৬,৭১২৯,৭১৩১; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা হাদীস ১০৩৪৬,১০৩৫৬)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
মোহরানার সেই ৭ লক্ষ টাকা যেহেতু আপনি এখনো পাননি,তাই এ টাকার যাকাত আপনাকে এখন দিতে হবেনা।
তবে প্রশ্নের বিবরন মতে আপনি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক।
সুতরাং আপনার উপর যাকাত ফরজ।
আপনার মালিকানায় থাকা ৫.৫ ভরি স্বর্ণের বর্তমান বাজার মূল্য হিসেব করে তার চল্লিশ ভাগের এক ভাগ যাকাত দিতে হবে।
আর যেই দেড় লক্ষ টাকা আপনার স্বামীকে ধার দিয়েছেন,সেই টাকার যাকাত আপাতত দিতে হবেনা।
তবে টাকাটি উসুল হওয়ার পর এর যাকাত দিতে হবে। এক্ষেত্রে উসুল হতে যে কয় বছর লাগবে,প্রত্যেক বছরের যাকাত আপনাকে দিতে হবে।