আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
102 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
মুহতারাম আমার প্রশ্ন হলো

আমার আগের প্রশ্নের উত্তর।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

যেগুলো ফরয ওয়াজিব বা সুন্নতে মু'আক্কাদা বিধান রয়েছে, সেগুলো আপনাকে করতেই হবে। আর যেগুলো হারাম বা মাকরুহ বিধান, সেগুলোকে অবশ্যই পরিত্যাগ করতে হবে। তবে যেগুলো মুবাহ তথা করাও যাবে আবার পরিত্যাগও করা যাবে, সেগুলোর বিষয়ে মূলত উক্ত হাদীসে আলোকপাত করা হয়েছে। আপনার মন যেটাকে গ্রহণ করবে, সেটাকেই আপনি অগ্রাধিকার দিবেন। অর্থাৎ উপরোক্ত হাদীস সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

১যদি হালাল হয়ে তাহলে কি সেটা করা যাবে নাকি মুবাহ এর মত মন অশান্ত হওয়ার বিষয়ে দেখতে হবে?

২শায়খ যে কাজগুলো মুবাহ সেগুলো যদি আমি মুফতি সাহেবের ফতুয়া অনুযায়ী করি মনের বিষয়ে অনুযায়ী না করি যেমন আমার মন যদি অশান্ত হয় তাহলে কি আমার পাপ হবে?

৩শায়খ আমরা জানি হালাল এর আধিক্য থাকলে হালাল - হারাম মিশ্রিত হাদীয়া গ্রহণ করা যাবে। আমার কোনো বন্ধু বা পরিচিত কেউ যদি তার হালাল - হারাম মিশ্রিত ইনকাম দ্বারা একটা ফোন কিনে সেই ফোন ব্যাবহার করা আমার জন্য জায়েজ হবে?

৪শায়খ চিনি, পেকেটজাত পণ্য তো ক্ষতিকর। আমি কিছু ফতুয়া দেখেছি  ক্ষতিকর খাবার খাওয়া মাকরূহে তাহরীমী এখানে কি বলতে এই ক্ষতিকর খাদ্য বোঝানো হয়েছে নাকি মাদক দ্রব্যের কথা ? রাস্তার ফুসকা খাওয়া জায়েজ? এটি কি মুবাহ?

(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------

৫ আমি কি ইতিকাফে ifatwa এর মুফতি সাহেবের মাঝে একজনের সাথে থাকতে পারবো জ্ঞানার্জনের জন্য?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
যদি হালাল হয়ে তাহলে সেটা করা যাবে।

(০২)
নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞ মুফতী সাহেবের ফতোয়া অনুযায়ী কাজ করলে সেক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবেনা।

(০৩)
এক্ষেত্রে তার অধিকাংশ ইনকাম হালাল হলে সেই ফোন ব্যবহার করা যাবে।
অন্যথায় ফোনটি তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে।
ফিরিয়ে দেয়া অসম্ভব হলে ফোনটি/সমপরিমাণ মূল্য ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।

(০৪)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা-নিসা-২৯)

ﻭَﻻَ ﺗُﻠْﻘُﻮﺍْ ﺑِﺄَﻳْﺪِﻳﻜُﻢْ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺘَّﻬْﻠُﻜَﺔِ ﻭَﺃَﺣْﺴِﻨُﻮَﺍْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟْﻤُﺤْﺴِﻨِﻴﻦَ
তোমরা নিজের জীবনকে ধ্বংসের সম্মুখীন করো না। আর মানুষের প্রতি অনুগ্রহ কর। আল্লাহ অনুগ্রহকারীদেরকে ভালবাসেন।(সূরা বাক্বারা-১৯৫)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
 ( ﻻ ﺿَﺮَﺭَ ﻭَﻻ ﺿِﺮَﺍﺭَ )
ইসলামে নিজের ক্ষতি করা ও অন্যকে ক্ষতি পৌছানোর কোনো বিধান নাই।(সুনানু ইবনি মা'জা-২৩৪১)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এক্ষেত্রে ক্ষতিকর খাদ্য দ্বারা যে খাদ্যে ক্ষতিকর দ্রব্য আছে,সেটা বুঝানো উদ্দেশ্য। 
তারপরেও কোনো প্যাকেটজাত পন্যের ক্ষেত্রে বিজ্ঞ ডাক্তার গন নিশ্চিত ভাবে বলে যে এঈ ক্ষতিকর, সেক্ষেত্রে সেই প্যাকেটজাত পন্য খাওয়া যাবেনা।

রাস্তায় লোকদের সম্মুখে পুরুষদের ফুচকা খাওয়া জায়েজ, তবে এটি গায়রতের পরিপন্থি।

মহিলাদের জন্য এভাবে ফুচকা খাওয়া জায়েজ নেই।

(০৫)
এ সংক্রান্ত তথ্যের জন্য মাদ্রাসার হটলাইনে ফোন দিতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...