জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
যদি হালাল হয়ে তাহলে সেটা করা যাবে।
(০২)
নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞ মুফতী সাহেবের ফতোয়া অনুযায়ী কাজ করলে সেক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবেনা।
(০৩)
এক্ষেত্রে তার অধিকাংশ ইনকাম হালাল হলে সেই ফোন ব্যবহার করা যাবে।
অন্যথায় ফোনটি তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে।
ফিরিয়ে দেয়া অসম্ভব হলে ফোনটি/সমপরিমাণ মূল্য ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।
(০৪)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা-নিসা-২৯)
ﻭَﻻَ ﺗُﻠْﻘُﻮﺍْ ﺑِﺄَﻳْﺪِﻳﻜُﻢْ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺘَّﻬْﻠُﻜَﺔِ ﻭَﺃَﺣْﺴِﻨُﻮَﺍْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟْﻤُﺤْﺴِﻨِﻴﻦَ
তোমরা নিজের জীবনকে ধ্বংসের সম্মুখীন করো না। আর মানুষের প্রতি অনুগ্রহ কর। আল্লাহ অনুগ্রহকারীদেরকে ভালবাসেন।(সূরা বাক্বারা-১৯৫)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
( ﻻ ﺿَﺮَﺭَ ﻭَﻻ ﺿِﺮَﺍﺭَ )
ইসলামে নিজের ক্ষতি করা ও অন্যকে ক্ষতি পৌছানোর কোনো বিধান নাই।(সুনানু ইবনি মা'জা-২৩৪১)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এক্ষেত্রে ক্ষতিকর খাদ্য দ্বারা যে খাদ্যে ক্ষতিকর দ্রব্য আছে,সেটা বুঝানো উদ্দেশ্য।
তারপরেও কোনো প্যাকেটজাত পন্যের ক্ষেত্রে বিজ্ঞ ডাক্তার গন নিশ্চিত ভাবে বলে যে এঈ ক্ষতিকর, সেক্ষেত্রে সেই প্যাকেটজাত পন্য খাওয়া যাবেনা।
রাস্তায় লোকদের সম্মুখে পুরুষদের ফুচকা খাওয়া জায়েজ, তবে এটি গায়রতের পরিপন্থি।
মহিলাদের জন্য এভাবে ফুচকা খাওয়া জায়েজ নেই।
(০৫)
এ সংক্রান্ত তথ্যের জন্য মাদ্রাসার হটলাইনে ফোন দিতে পারেন।