আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
81 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমার সমস্যা গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ার আনুরোধ করছি কারন সমস্যাগুলো অনেকটা জটিল।দয়া করে সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করিয়েন।অনেক সমস্যায় আছি।

১/আমার ইদানিং অনেক সমস্যা হচ্ছে।আমি জানি আল্লাহকে কখনো চোখ দিয়ে কল্পনা, দেখা সম্ভব না।কিন্তু যখন আমি আল্লাহর কাছে চাই বা আল্লাহকে ঢাকি, তখন অবচেতন মনে আমার কল্পনায় একটি মানুষ চলে আসে যাকে আমি আল্লাহ ভেবে ফেলি বলে মনে হয়।আমি অনেক চেষ্টা করেছি এই সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়ার কিন্তু পারি নি।মনে হয় যেন ইমান ভেঙে যায় প্রতিদিন।ফলে বারবার কালেমা পাঠ করি।

১/আমি যখন নামাজ বা অযু করি তখন আল্লাহ ডাকলেই মানুষ কল্পনায় চলে আসে।যখনে খেয়াল আসে যে আমি কোনো মানুষকে আল্লাহ ভাবছি, তখনই অযু বা নামায ভেঙে ফেলি।ফলে নামায বা বিশেষ করে অযু বারবার করতে হয়।যেহেতু এটি শিরক যে কোনো মানুষকে আল্লাহ হিসেবে কল্পনা করা।আমার কি আসলেই অযু বা নামায ভেঙে যায়?আমাকে কি অযু বা নামায বারবার করতে হবে?

৩/যদি খেয়াল না থাকে যে আমি কোনো মানুষকে আল্লাহ ভাবছি,এরপর খেয়াল আসল আমার।তখন নামাযরত ছিলাম, আমার কি নামায ভাংতে হবে? ইমান থাকবে কি?

৪/আমি জানি যে ভালো খারাপ আলাহর ইচ্ছাই হয়।আজকে জানলাম যে ভালো খারাপ আল্লাহর পক্ষ হতে আসে।খারাপ শয়তানের পক্ষ হতে আসে।আমি কিছুক্ষণ দিধায় ছিলাম।তাই আমি কালেমা পাঠ করে নিই।আমার ইমান বহাল আছে কি?

৫/খারাপ আল্লাহর পক্ষ হতে আসে, এটার ব্যাখ্যা কি?

৬/মানুষের স্বাধীন ইচ্ছা বলতে কি বোঝায়?

৭/আমি যে খারাপ কাজ করলাম,এটি আমার ইচ্ছায় করলাম।আর আমি যে ভালো কাজ করলাম সেটিও আমার ইচ্ছায়।তবে ভালো খারাপ সকলকিছুই আল্লাহর ইচ্ছায় সংঘটিত হয়েছে।এই বিশ্বাস কি ঠিক আছে? ঠিক না হলে সঠিক টা কি?

৮/আমি নামাজ পড়া অবস্থায় খারাপ চিন্তা আসে অনেক।আমার অনেক হাচ্চি আসছিল।তো মনে পড়ল যে হাচ্চি আটকাতে হবে।তারপর আমি মনে মনে বললাম যে হাচ্চি আটকানো যায় না।সাথে সাথে আমি আল্লাহ ডাকলে যে মানুষ আসে কল্পনায় সে মানুষটি কল্পনায় আসে।ফলে মনে হয় যে আমি আল্লাহর সাথে বেয়াদবি করেছি যে এটা মনে  যে হাচ্চি আটকানো যায় না।আমার নামায বা ইমান কি ঠিক ছিল?

জাযাকাল্লাহ খইরান।

1 Answer

0 votes
by (574,470 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...