আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
112 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
আমার ভ্রু যুগল দেখতে অদ্ভুত লাগে, আমি কি শুধু ভ্রু যুগোল অংশ কাটতে পারব? মানে নাকের বরাবর যেখানে ভ্রু ২টি মিলিত হয়েছে শুধু সে অংশটুকু। এক ভিডিওতে এক আলেমের অঙ্গভঙ্গি করে দেখিয়ে বলেছিলেন এ অংশ কাটা যাবে কারন এটা মেইন ভ্রু না। আমি জানতে চাচ্ছি  এ ব্যাপারে ইন শা আল্লাহ
।  আর ভ্রু মোটা চোখের দিকেও একটু এসে পড়ে অতিরিক্ত অংশ কাটা যাবে? উল্লেখ্য চিরুনি দিয়ে সাইজ করলে আবার কিছুক্ষণ সাইজ থাকে কিন্তু সবসময় থাকে না। আর ঘন না মোটা।
২।  আলগা পাপড়ি লাগানো হারাম কারন তা প্রতারণার সামিল কিন্তু এমন পাপড়ি যদি ব্যবহার করা হয় যেটা দেখে বুঝাই যাচ্ছে এটা আলগা তাহলে তো প্রতারণা নয়। শুধু সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করছে তাহলেও কি জায়েজ হবে? কারন সবাই বুঝতিছে

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
ভ্রু উপরে ফেলা, ভ্রু চেছে ফেলা বা ভ্রুকে নতুন সেপ দেওয়া, ছড়ানো ভ্রু থেকে আসেপাশের লোম গুলো চেছে বা তুলে ফেলা এগুলোর কোনোটিই জায়েজ নেই।

হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত ,তিনি বলেনঃ-

ﻭﻋﻦ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑﻦ ﻣﺴﻌﻮﺩ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗَﺎﻝَ : ﻟَﻌَﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟْﻮَﺍﺷِﻤَﺎﺕِ ﻭَﺍﻟْﻤُﻮﺗَﺸِﻤَﺎﺕِ ﻭَﺍﻟْﻤُﺘَﻨَﻤِّﺼَﺎﺕِ ﻭَﺍﻟْﻤُﺘَﻔَﻠِّﺠَﺎﺕِ ﻟِﻠْﺤُﺴْﻦِ ، ﺍﻟْﻤُﻐَﻴِّﺮَﺍﺕِ ﺧَﻠْﻖَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﺒَﻠَﻎَ ﺫَﻟِﻚَ ﺍﻣْﺮَﺃَﺓً ﻣِﻦْ ﺑَﻨِﻲ ﺃَﺳَﺪٍ ﻳُﻘَﺎﻝُ ﻟَﻬَﺎ ﺃُﻡُّ ﻳَﻌْﻘُﻮﺏَ ، ﻓَﺠَﺎﺀَﺕْ ﻓَﻘَﺎﻟَﺖْ : ﺇِﻧَّﻪُ ﺑَﻠَﻐَﻨِﻲ ﻋَﻨْﻚَ ﺃَﻧَّﻚَ ﻟَﻌَﻨْﺖَ ﻛَﻴْﺖَ ﻭَﻛَﻴْﺖَ ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : ﻭَﻣَﺎ ﻟِﻲ ﺃَﻟْﻌَﻦُ ﻣَﻦْ ﻟَﻌَﻦَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ

ভাবার্থঃ- “আল্লাহর অভিশাপ হোক সেই সব নারীদের উপর, যারা অন্যর দেহাঙ্গে উল্কি (ট্যাটু) অংকন করে,এবং নিজ দেহাঙ্গে অন্যর মাধ্যমে উল্কি (ট্যাটু) করে,এবং ভ্রু-কে চেঁছে সরু (প্লাক) করে,ও সৌন্দর্য প্রদর্শনের মানসে দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে,অর্থাৎ এসমস্তের মাধ্যমে আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তন আনে।(তারা অভিশপ্ত) বনি আসাদ গোত্রীয় উম্মে ইয়াক্বুব নামী জনৈক মহিলা এ ব্যাপারে তার (ইবনে মাসউদের বর্ণনার) প্রতিবাদ করলে তিনি বলেন,‘আমি কি তাকে অভিসম্পাত করব না, যাকে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) অভিসম্পাত করেছেন।এবং অন্য বর্ণনায় এসেছে........(এবং তা আল্লাহর কিতাবে আছে? আল্লাহ বলেছেন, "রাসুল যে বিধান তোমাদেরকে দিয়েছেন তা গ্রহন কর, আর যা থেকে নিষেধ করেছেন, তা থেকে বিরত থাকো।(-সূরা হাশরঃ৭)[সহীহ বুখারী ৪৮৮৬ নং এবং ৪৬০৪ নং হাদীস]

কোনো কোনো বর্ণনায় এসেছে উক্ত মহিলা ইবনে আব্বাস রাযিঃকে অভিযোগ করল, এগুলা তো আপনার স্ত্রীও করেন। প্রতিউত্তরে ইবনে আব্বাস রাযি বললেন, ঠিক আছে তাহলে আপনি গিয়ে দেখে আসতে পারেন,ঐ মহিলা ইবনে আব্বাস রাযি এর ঘরে গিয়ে উনার স্ত্রীর কাছে তা পায়নি, তখন ইবনে আব্বাস রাযি বললেনঃএমন হলে আমি তার সাথে ঘর-সংসার-ই করতাম না।

আরো জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/466

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে এ অংশের ভ্রু কাটা জায়েজ হবেনা।

(০২)
এক্ষেত্রেও তাহা ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...