আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
84 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (7 points)

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

বেশিরভাগ মসজিদে বা বাসা-বাড়িতে তারাবীহ নামাজ পড়ার সময় বাতি কমিয়ে দেওয়া হয়, একেবারে পুরোপুরি বন্ধ নয়, হালকা আলো থাকে, এই রকম একটা পরিবেশ তৈরী করা হয়।

আমি জানতে চাচ্ছি, এমনটা করা কি সুন্নত ?

যদি সুন্নত হয়, তাহলে এইটার পিছনে হিকমত কি হতে পারে ?

যদি সুন্নত না হয়, তবে এই ব্যাপারটা ঠিক কখন ও কি কারণে, কারা চালু করলো ?

বাতি কমিয়ে দিলে তো উল্টো ঘুম ঘুম ভাব চলে আসে।

একটু ব্যাখ্যা করবেন।

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান হলোঃ  অন্ধকার স্থানে নামায পড়া জায়েজ আছে। এতে কোন সমস্যা নেই।
,     
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهَا قَالَتْ: «كُنْتُ أَنَامُ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرِجْلاَيَ، فِي قِبْلَتِهِ فَإِذَا سَجَدَ غَمَزَنِي، فَقَبَضْتُ رِجْلَيَّ، فَإِذَا قَامَ بَسَطْتُهُمَا»، قَالَتْ: وَالبُيُوتُ يَوْمَئِذٍ لَيْسَ فِيهَا مَصَابِيحُ

হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল সাঃ এর সামনে ঘুমিয়ে থাকতাম। তখন আমার দু’পা থাকতো তার সামনের দিকে। যখন তিনি সেজদা দিতে চাইতেন, তখন আমাকে [আলতু] খোঁচা দিতেন, আমি তখন পা গুটিয়ে নিতাম। আবার যখন তিনি দাঁড়িয়ে পড়তেন, তখন পা বিছাতাম। আয়শা রাঃ বলেন, সে সময় আমাদের ঘরে কোন বাতি ছিল না। [বুখারী, হাদীস নং-৩৮২]

আয়েশা রাঃ  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: এক রাতে আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বিছানায় পাচ্ছিলাম না। তখন আমি আমার হাত দ্বারা তাঁকে খুঁজতে লাগলাম। তখন আমার হাত তার পদযুগলের উপর পতিত হল। তখন তাঁর পা খাড়া ছিল আর তিনি ছিলেন সিজদারত। তিনি বলছিলেন:

أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ، وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ لَا أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ

“(হে আল্লাহ!) আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি তোমার ক্রোধ হতে তোমার সন্তুষ্টির, তোমার শাস্তি থেকে তোমার ক্ষমার আর আমি তোমার আশ্রয় গ্রহণ করছি তোমা হতে। তোমার প্রশংসা করে আমি শেষ করতে পারব না, তুমি নিজে ঐরূপ, যেরূপ তুমি নিজের প্রশংসা করেছ। ” (সুনান নাসাঈ, হা/১৬৯, সহীহ)
,
অন্ধকারের মধ্যে নামাজ পড়া সহিহ আছে। সিজদার জায়গার দিকে নজর রাখা সুন্নাত। কিন্তু তার জন্য ঐ জায়গা দেখতে পাওয়া বা দেখতে থাকা জরুরি নয়।
শামী ১:৪৭৭পৃঃ
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
তারাবিহ নামাজে বাতি গুলো নিভিয়ে যেভাবে হালকা আলোতে অনেক মসজিদে নামাজ পড়া হয়,এটি জায়েজ পদ্ধতি। 
এতে নামাজের কোনো সমস্যা নেই।

তবে এটিকে সুন্নাত বলা যাবেনা।

মূলত নামাজে বেশি আলো রাখলে কাহারো খুশু খুজু হয়,আবার বাতি কমিয়ে দিলে কাহারো খুশু হয়।
ব্যাক্তি বিশেষ একেকজনের বিষয় একেকরকম। 

সুতরাং খুশু খুজুর লক্ষ্যেই মূলত অনেক মসজিদে আলো কমিয়ে রাখা হয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...