শরীয়তের বিধান হলোঃ অন্ধকার স্থানে নামায পড়া জায়েজ আছে। এতে কোন সমস্যা নেই।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهَا قَالَتْ: «كُنْتُ أَنَامُ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرِجْلاَيَ، فِي قِبْلَتِهِ فَإِذَا سَجَدَ غَمَزَنِي، فَقَبَضْتُ رِجْلَيَّ، فَإِذَا قَامَ بَسَطْتُهُمَا»، قَالَتْ: وَالبُيُوتُ يَوْمَئِذٍ لَيْسَ فِيهَا مَصَابِيحُ
হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল সাঃ এর সামনে ঘুমিয়ে থাকতাম। তখন আমার দু’পা থাকতো তার সামনের দিকে। যখন তিনি সেজদা দিতে চাইতেন, তখন আমাকে [আলতু] খোঁচা দিতেন, আমি তখন পা গুটিয়ে নিতাম। আবার যখন তিনি দাঁড়িয়ে পড়তেন, তখন পা বিছাতাম। আয়শা রাঃ বলেন, সে সময় আমাদের ঘরে কোন বাতি ছিল না। [বুখারী, হাদীস নং-৩৮২]
আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: এক রাতে আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বিছানায় পাচ্ছিলাম না। তখন আমি আমার হাত দ্বারা তাঁকে খুঁজতে লাগলাম। তখন আমার হাত তার পদযুগলের উপর পতিত হল। তখন তাঁর পা খাড়া ছিল আর তিনি ছিলেন সিজদারত। তিনি বলছিলেন:
أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ، وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ لَا أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ
“(হে আল্লাহ!) আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি তোমার ক্রোধ হতে তোমার সন্তুষ্টির, তোমার শাস্তি থেকে তোমার ক্ষমার আর আমি তোমার আশ্রয় গ্রহণ করছি তোমা হতে। তোমার প্রশংসা করে আমি শেষ করতে পারব না, তুমি নিজে ঐরূপ, যেরূপ তুমি নিজের প্রশংসা করেছ। ” (সুনান নাসাঈ, হা/১৬৯, সহীহ)
,
অন্ধকারের মধ্যে নামাজ পড়া সহিহ আছে। সিজদার জায়গার দিকে নজর রাখা সুন্নাত। কিন্তু তার জন্য ঐ জায়গা দেখতে পাওয়া বা দেখতে থাকা জরুরি নয়।
শামী ১:৪৭৭পৃঃ