আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
117 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম শাইখ,
কেমন আছেন ? আমার বাবা মারা গেছেন ২০২১ সালের ২৯শে মার্চ তারিখে | বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় বারিধারা ডি ও এইচ এস এ চারতলার কাজ শুরু করেছিলেন | বাবার মৃত্যুর এক বছর পর চারতলা ২ ইউনিট এর কাজ শেষ হয় | এখন এক ইউনিট এ আমার বোন দুলাভাই সহ থাকেন | আমি, আমার স্ত্রী এবং আমার মা ২ তলায় থাকি, বাকি নিচ তলা, তিন তলা এবং চার তালার এক ইউনিট ভাড়া দেয়া রয়েছে | বাসা ভাড়া তোলা এবং আর্থিক ব্যাবস্থাপনা সব আমার মা একাই করে থাকেন | আমার মা আমার বাবার মাসিক পেনশন পেয়ে থাকেন |
আমার বাবা জীবিত অবস্থায় আমার মা কে একটি ফ্ল্যাট হেবা করে যান এবং তার মৃত্যুর পর সম্পদ যেন কুরআন সুন্নাহ এবং শরিয়াহ অনুযায়ী বন্টন করা হয় সেই ব্যাপারে আমাকে সতর্ক ও ওসিয়ত করে যান | বাবা জীবিত অবস্থায় শারীরিক অসুখের কারণে অনেক সময় আমার মা সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক লেনদেন দেখাশোনা করতেন এবং এখনো উনার কাছেই সব টাকা পয়সা থাকে | আমার ও আমার স্ত্রী এবং বাচ্চার ভরণপোষণের টাকা আমার মা আলমারি তে রাখেন, শেখান থেকে নিয়ে আমি খরচ করি, কিন্তু আমার বোন সেই আর্থিক সুবিধা পান না ! বাবার মৃত্যুর পর গত কয়েক বছর যাবৎ আমার মা কে বেশ কয়েকবার উত্তরাধিকার সম্পদ বন্টনের কথা বললেও নসিহত করলেও তিনি সেই ব্যাপারে শিথিলতা  প্রদর্শন করেন |

এখন আমি চাচ্ছি, শরিয়া সম্মতভাবে আমাদের মধ্যে উত্তরাধিকার সম্পদ  বণ্টন করতে, আমাদের একটা গাড়ি ও রয়েছে | এক্ষেত্রে, নগদ টাকা, শেয়ার, বাড়ি ভাড়া সবকিছুই কি হিসাবে আসবে? সাংসারিক বিভিন্ন খরচ আমি এবং আমার মা বাড়ি ভাড়ার জমানো টাকা এবং সঞ্চিত নগদ অর্থ থেকে করেছি ! এক্ষেত্রে আমার বোন যেহেতু দুলাভাই এর সাথে থাকেন, তার ভরণ পোষণ হাত খরচ দুলাভাই দিয়েছেন | তিনি আমাদের মতো এই আর্থিক সুবিধা পাননি | এখন কি আব্বা মারা যাবার পর থেকে এই ৩ বছর, বাবার রেখে যাওয়া অবশিষ্ট সম্পদ থেকে আমরা যা খরচ করেছি সেটা যোগ করে উত্তরাধিকার সম্পদ ওয়ারিশদের মধ্যে ভাগ করতে হবে ? নাকি সেটা সাংসারিক খরচ হিসেবে বাদ যাবে ? আমার বোন কে হিসাব করে কি অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করতে হবে ? এখন শরিয়া অনুযায়ী সম্পদ বন্টনে যদি আমার মা অথবা বোন আগ্রহী না থাকেন অথবা যদি সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন সেক্ষেত্রে আমার করণীয় কি ? আমার কি গুনাহ হবে ?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

আল্লাহ তা’আলা বলেন,
 
 يُوصِيكُمُ اللّهُ فِي أَوْلاَدِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الأُنثَيَيْنِ فَإِن كُنَّ نِسَاء فَوْقَ اثْنَتَيْنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَكَ وَإِن كَانَتْ وَاحِدَةً فَلَهَا النِّصْفُ وَلأَبَوَيْهِ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَكَ إِن كَانَ لَهُ وَلَدٌ فَإِن لَّمْ يَكُن لَّهُ وَلَدٌ وَوَرِثَهُ أَبَوَاهُ فَلأُمِّهِ الثُّلُثُ فَإِن كَانَ لَهُ إِخْوَةٌ فَلأُمِّهِ السُّدُسُ مِن بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِي بِهَا أَوْ دَيْنٍ آبَآؤُكُمْ وَأَبناؤُكُمْ لاَ تَدْرُونَ أَيُّهُمْ أَقْرَبُ لَكُمْ نَفْعاً فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلِيما حَكِيمًا
 
আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেনঃ একজন পুরুষের অংশ দু?জন নারীর অংশের সমান। অতঃপর যদি শুধু নারীই হয় দু' এর অধিক, তবে তাদের জন্যে ঐ মালের তিন ভাগের দুই ভাগ যা ত্যাগ করে মরে এবং যদি একজনই হয়, তবে তার জন্যে অর্ধেক। মৃতের পিতা-মাতার মধ্য থেকে প্রত্যেকের জন্যে ত্যাজ্য সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ, যদি মৃতের পুত্র থাকে। যদি পুত্র না থাকে এবং পিতা-মাতাই ওয়ারিস হয়, তবে মাতা পাবে তিন ভাগের এক ভাগ। অতঃপর যদি মৃতের কয়েকজন ভাই থাকে, তবে তার মাতা পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ ওছিয়্যতের পর, যা করে মরেছে কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও পুত্রের মধ্যে কে তোমাদের জন্যে অধিক উপকারী তোমরা জান না। এটা আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত অংশ নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, রহস্যবিদ। (সূরা নিসা-১১)       
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনার বাবা যেদিন মারা যান,সেই সময় তার মালিকানায় থাকা বাসা বাড়ি,টাকা পয়সা, শেয়ার, গাড়ি,বাড়ি ভাড়া যাহা আছে,সব কিছু শরীয়াহ নীতিমালার আলোকে বন্টন করে দিতে হবে।

এক্ষেত্রে তার সমূদয় সম্পত্তি ২৪ ভাগ হবে।
তাহা হতে আট ভাগের একভাগ হিসেবে ৩ অংশ আপনার মা পাবে।
আপনি একমাত্র ছেলে হিসেবে ১৪ অংশ পাবেন।
আপনার একমাত্র বোন ৭ অংশ পাবে।

এখন শরিয়াহ অনুযায়ী সম্পদ বন্টনে যদি আপনার মা অথবা বোন আগ্রহী না থাকেন অথবা যদি সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার করণীয় হল তাদেরকে বুঝানো অব্যাহত রাখা।

তাদেরকে বুঝানো অব্যাহত রাখলে সম্পদ বন্টন হতে দেড়ি হওয়ায় আপনার গুনাহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...