আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
98 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম। একজনের ছেলে সন্তান হয়েছে৷ তার কিছু আত্নীয় স্বজন তার সন্তানকে দেখতে এসে কিছু টাকা হাদিয়া দিয়েছে৷ ঐ টাকা দিয়ে কি তার সন্তানের আকীকার পশু কিনতে পারবে? যদিও ঐ ভাইয়ের নিজের কাছে এখন আকিকা দেয়ার মতো টাকা নেই।

1 Answer

+1 vote
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم 

হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে,

أَنَّ رَجُلاً أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّ لِيْ مَالاً وَوَلَدًا وَإِنَّ وَالِدِيْ يَحْتَاجُ مَالِيْ قَالَ أَنْتَ وَمَالُكَ لِوَالِدِكَ إِنَّ أَوْلَادَكُمْ مِنْ أَطْيَبِ كَسْبِكُمْ، فَكُلُوْا مِنْ كَسْبِ أَوْلَادِكُمْ،

“এক লোক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল, আমার সম্পদ ও সন্তান আছে। আমার পিতা আমার সম্পদের মুখাপেক্ষী।
তিনি বললেন, “তুমি ও তোমার সম্পদ উভয়ই তোমার পিতার। তোমাদের সন্তান তোমাদের জন্য সর্বোত্তম উপার্জন। সুতরাং তোমরা তোমাদের সন্তানের উপার্জন থেকে খাও।” [আবু দাউদ হা/৩৫৩০; ইবনে মাজাহ, হা/২২৯২, সনদ সহিহ]

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
নাবালেগ বাচ্চাকে যে হাদিয়া/উপহার আত্মীয় স্বজনদের পক্ষ থেকে দেয়া হয়,তার দ্বারা নির্দিষ্ট করে তাকে হাদিয়া দেয়া উদ্দেশ্য হয়না,বরং মা বাবাকেই দেয়া উদ্দেশ্য হয়।
সুতরাং সেটির মালিক সন্তান নয়,বরং মা বাবাই তার মালিক।
সে যা চাই,তারা সেটা করতে পারবে।
অবশ্য যদি কেহ নির্দিষ্ট ভাবে সন্তানকেই কিছু দেয়,তাহলে সন্তানই এর মালিক হবে।
(বেহেশতি যেওর ৫/৪৭)

(০১) যেই জিনিস নাবালেগ এর মালিকানায় দেয়া হবে,সেটিকে সেই বাচ্চার কাজেই লাগানো উচিত। পিতা মাতা সেটি ব্যবহার করতে পারবেনা।
পাত্র ইত্যাদি যাহা বাসা বাড়ির কাজে ব্যবহার করা যায়,সেটিকে বাসা বাড়ির কাজে ব্যবহার করা যাবে।

(০২) যেই হাদিয়া সময় চলে যাওয়ার কারনে খারাপ হয়ে যায়,এবং সেটি ঐ সময়ে সন্তান ব্যবহার করতে পারেনা।
তাহলে সেটিকে বিক্রয় করে বাচ্চাকে মালিক বানিয়ে দিতে হবে।

(০৩) পিতা মাতাও সেই বস্তুর মূল্য আদায় করে মালিক হতে পারবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত হাদিয়ার টাকা যদি শিশুর মা বাবাকেই দেয়া উদ্দেশ্য হয়,তাহলে সেই টাকা দিয়ে আকীকা করতে কোনো সমস্যা নেই।

কিন্তু যদি সেই টাকা নির্দিষ্ট ভাবে সন্তানকেই দেয়,সেক্ষেত্রে সন্তানের বাবা সেই টাকা হতে আকীকা দিতে পারবেনা।
কেননা আকীকা দেয়া এটি সন্তানের বাবার জন্য করনীয়, তাই এর খরচও সন্তানের বাবাকেই করতে হবে।
সুতরাং সন্তানের টাকা হতে আকীকা দিলে পরবর্তীতে সমপরিমাণ টাকা সন্তানকে ফিরিয়ে দিতে হবে।

روى البخاري ومسلم أن النبي ـ صلى الله عليه"رجل اشتری لنفسه من مال ولده الصغیر أو استهلک مال ولده الصغیر، أو اغتصب حتی وجب علیه الضمان". (قاضي خان، الوصایا، فصل في تصرفات الوصي في مال الیتیم وتصرفات الوالد في مال ولده الصغیر،  ۳/ ۳۹۲)
সারমর্মঃ-
কোনো ব্যাক্তি যদি তার ছোট শিশুর সম্পদ হতে নিজের জন্য কিছু ক্রয় করে,ছোট শিশুর সম্পদ হারিয়ে ফেলে,এক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেয়া আবশ্যক হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...