আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
104 views
in সাওম (Fasting) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ
উস্তায আমার পিরিয়ড গতমাসে শেষ হয়েছিল ১৬শাবান রাত ৯/১০টার দিকে।
আমার পিরিয়ডের গ্যাপ হয় সাধারণত ২০-২৬ দিন । গত পাঁচ বছরে মাত্র একবার ১৫ দিন পরে পিরিয়ড হয়েছিল।


এবার ২০২৪ এ  ৩ রমাদান রাতে ইনারের মধ্যে হালকা ব্লাড লেগেছে দেখি। স্রাবের সাথে খুবিই হালকা ব্লাড ছিলো পানির মতো। ১৬ শাবান থেকে ২রমাদান মাঝে গ্যাপ ১৬দিন হয়।  আমি রাতে নামাজ পড়িনি রোজাও রাখিনি।

দিনের বেলা সাদা কালো স্রাব ছিলো।

২য় দিন  রাতে আগের মতো হালকা পানির মতো ব্লাড ছিলো সাথে সাদা স্রাব। দিনের বেলা ঘুম থেকে উঠে কিছুই দেখা যায়নি স্রাবের ধরণ । দুপুরের দিকে গাড় বাদামী দেখে পিরিয়ড ভাবলাম।
কিন্তু এখন ৩য় দিন;  রাত চলছে। কোন ধরনের স্রাব দেখা যাচ্ছে না। কোন তরল ও না ।
আমার সাধারণত ১ম দুইদিন ব্লাড যায় না স্রাব আসে বিভিন্ন কালারের। ব্লাড আসা শুরু হয় ২/৩য় দিন থেকে।
১/
এখন আমি যেহেতু কিছুই দেখতে পাচ্ছি না আমার কি রোজা রাখতে হবে ?
২/ আগের রোজা যে রাখিনি কি করব তার জন্য ? না কি আমি অপেক্ষা করব ?
৩/আজ রাতেও(৩য় দিন রাত) নামাজ পড়িনি। আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারছিনা। আগের রোজা রাখিনি নামাজ পড়িনি এজন্য কি আমার গুনাহ হবে ?

1 Answer

0 votes
by (62,670 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাব

https://ifatwa.info/43176/  নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,

প্রথমেই কিছু মাসয়ালা জেনে নেইঃ

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা ৩ তিন, আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।

এ ১০দিনের ভিতর লাল, হলুদ, সবুজ, লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে। যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)


হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক, সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা। (কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)


তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা। (ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

আরো জানুনঃ-

https://www.ifatwa.info/9904/


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।

এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়, বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।

এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।  


উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন। (মুয়াত্তা মালিক-১২৭)


ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,

فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً

মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে। চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭, কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮, কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)


উভয় হায়েজের মাঝে কমপক্ষে পনেরো দিন পবিত্রতা ধরতে হবে।

হায়েজ শেষ হওয়ার পরদিন থেকে পনেরো দিন গণনা করা হবে।

এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটাকে ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা ধরতে হবে।

নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!


১-২. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি আর রক্ত না দেখেন তাহলে আপনি নামাজ-রোজা শুরু করে দিবেন। আবার রক্ত দেখা দিলে ছেড়ে দিবেন। আর যদি রক্ত দেখা না দেয় এবং এই দুই দিনই হয়ে থাকে তাহলে এটা ইস্তিহাজা ছিলো। কারণ, হায়েজের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো তিন দিন তিন রাত। তাহলে আপনি পরবর্তীতে রোজা কাযা রাখার পাশাপাশি নামাজও কাযা আদায় করতে হবে।

৩. না, এতে গোনাহ হবে না ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 18 views
0 votes
1 answer 24 views
...