বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
https://ifatwa.info/23860/
নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
রোগ ব্যধির
নিজস্ব সংক্রামক কোনো যোগ্যতা ও ক্ষমতা নাই। রোগীর পাশে কেউ গেলেই যে, রোগ ব্যধি তার কাছে চলে যাবে, বিষয়টা মূলত এমন নয়,
বরং যদি আল্লাহর হুকুম হয়, তাহলে রোগ সংক্রামক
হতে পারে। যদি আল্লাহর হুকুম না হয়, তাহলে ঐ রোগ সংক্রামক হতে
পারবে না। তবে কিছু রোগের মাঝে আল্লাহ তা’আলা সংক্রমণের নিয়ম বেধে দিয়েছেন,
এই রোগ সংক্রমণ করে বসে। তাকে আল্লাহ পূর্ব থেকেই নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন।
তবে আল্লাহর ইচ্ছা হলে সংক্রমণ নাও ঘটতে পারে। অর্থাৎ সংক্রমণের এই ক্ষমতা রোগের নিজস্ব
ক্ষমতা নয়, এর পশ্চাতে আল্লাহর দেয়া ক্ষমতা এবং তার ইচ্ছার দখল
থাকে। তবে ইসলাম প্রচলিত এসব সংক্রামক রোগে আক্রান্ত লোকদের নিকট যেতে নিষেধ করেছে
বিশেষভাবে কুষ্ঠ রোগীর নিকট, এ কারণে যে, উক্ত রোগীর নিকটে গেলে আর তার আক্রান্ত হওয়ার খোদায়ী ফায়সালা হওয়ার কারণে সে
আক্রান্ত হলে তার ধারণা হতে পারে যে, উক্ত রোগীর সংস্পর্শে যাওয়ার
কারণেই সে আক্রান্ত হয়েছে, এভাবে তার আক্বীদা নষ্ট হয়ে যেতে পারে,
তা যেন হতে না পারে, এজন্যই ইসলাম এরূপ বিধান দিয়েছে।
তবে কেউ মজবুত আকীদার অধিকারী হলে, সে অনুরূপ রোগীর নিকট যেতে
পারে। এমনিভাবে সংক্রামক রোগে আক্রান্ত লোককেও সুস্থ এলাকার লোকদের নিকট যেতে নিষেধ
করেছে। যাতে তা অন্য কারো আক্বীদা নষ্টের কারণ না ঘটে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
না, উক্ত কথার দ্বারা ঈমান চলে
যাবে না। আপনি এ জাতীয় রোগের বিষয়ে কথা
বলার ক্ষেত্রে উপরোক্ত আলোচনার মতো করে বলতে পারেন।