আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ।
না বুঝে  অতীতে অজ্ঞাতসারে  অনেকের হক নস্ট করেছি.. কার কি পরিমাণ নস্ট করেছি  তাও জানা নাই, তবে কিছু কিছু হকের আন্দাজ আছে... .এখন আল্লাহ বুঝ দিয়েছেন... ঐসব বান্দার হক পূরণ করতে চাচ্ছি... হকের মূল্য কত হতে পারে আন্দাজ অনুসারে আনুমানিক একটা হিসাব করে নস্ট হওয়া হকের একটি তালিকাও তৈরি করেছি।
মুশকিল হলো...ঐ হক নস্ট করা ব্যক্তিদের অনেকের খোজ জানি না। যোগাযোগের কোনো উপায় নাই।

অনেকের সাথে শত্রুভাবাপন্ন সম্পর্ক।। যোগাযোগ করলে তারাই আবার আমাকে কস্ট দিবে, মানুষের নিকট অপদস্থ করবে.. এমন করুণ অবস্থা। এমতাবস্থায় ঐসকল হকদারদের নামে তাদের প্রাপ্যটুকু যদি বিনা সোওয়াবে হক পূরণের নিয়তে মসজিদ বা কোনো গরিবকে সদকা করে দেই তাহলে কি হক পূরণ হবে???  আমি কি বান্দার হক থেকে  মাফ পাবো?? দয়া করে জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবাজনকল্যাণ মূলক কাজে ব্যবহার করবেন(জাদীদ ফেকহি মাসাঈল-৪/৫২) কিংবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
 من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪) 

في الشامية: والحاصل: أنه إن علم أرباب الأموال وجب رده عليهم، وإلا فإن علم عين الحرام لايحل له ويتصدق به بنية صاحبه''. (5/99،مَطْلَبٌ فِيمَنْ وَرِثَ مَالًا حَرَامًا، ط: سعید)   فقط واللہ اعلم -
যদি কারো কাছে হারাম কোনো মাল থাকে, যদি ঐ মালের মালিক জানা থাকে, তাহলে মালিকের নিকট উক্ত মাল পৌছিয়ে দেয়া ওয়াজিব। কিন্তু যদি হারাম মালের মালিক জানা না থাকে, তাহলে ঐ মালকে সওয়াবের নিয়ত ব্যতিত মালিকের পক্ষ থেকে সদকাহ করা ওয়াজিব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1900


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যাদের হক নষ্ট করেছেন, তাদের নিকট ঐ হক বা মূল্য হাদিয়া হিসেবে পাঠিয়ে দিবেন। যদি পাঠিয়ে দেয়া অসম্ভব হয়, বা তারা গ্রহণ না করে, তাহলে তখন আপনার জন্য বিধান হল, আপনি ঐ মালকে তাদের পক্ষ থেকে সদকাহ করে দিবেন। এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...