ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
https://ifatwa.info/90322/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
উশর
প্রসঙ্গ: জমিন থেকে যা কিছু উৎপাদিত হয়। চায় একসের হোক, ইমাম আবু-হানিফা রাহ এর মতানুসারে
তাতে উশুর অর্থ্যাৎ দশ ভাগের এক ভাগ ফরয হবে। অর্থাৎ দশ ভাগের একভাগ আল্লাহর
রাস্তায় দেওয়া ফরয। বৎসরে যতবার-ই ফসল উৎপাদিত
তাতে উশুর আসবে। যদি প্রাকৃতিক পানি দিয়ে চাষ করা হয়, তাহলে এ হুকুম।
কিন্তু
যদি মেশিনেরর পানি দিয়ে জমি চাষ করা হয় তাহলে নিসফে উশর অর্থ্যাৎ বিশ ভাগের এক ভাগ
ফরয হবে।
ﻭَﺁﺗُﻮﺍْ ﺣَﻘَّﻪُ
ﻳَﻮْﻡَ ﺣَﺼَﺎﺩِﻩ
এবং
হক্ব আদায় কর ফসল কর্তনের সময়। সূরা, আন'আম-১৪১।
হযরত
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ (
1483 ) ﻋﻦ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤﺎ ﻋَﻦْ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻗَﺎﻝَ : ( ﻓِﻴﻤَﺎ ﺳَﻘَﺖْ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀُ ﻭَﺍﻟْﻌُﻴُﻮﻥُ ﺃَﻭْ ﻛَﺎﻥَ ﻋَﺜَﺮِﻳًّﺎ
ﺍﻟْﻌُﺸْﺮُ ، ﻭَﻣَﺎ ﺳُﻘِﻲَ ﺑِﺎﻟﻨَّﻀْﺢِ ﻧِﺼْﻒُ ﺍﻟْﻌُﺸْﺮ
নবীজী
সাঃ বলেনঃ
যে
জমি আকাশের পানি অথবা ঝরনার পানি দ্বারা উৎপাদিত হয় অথবা পানির লেয়ার যুক্ত জমিনে মাঠির
নিচের পানি দ্বারা উৎপাদিত হয়। তাতে উশর (১০%) ওয়াজিব হবে। এবং যে জমি সিঞ্চিত পানি
দ্বারা উৎপাদিত হবে,
তাতে
নিসফ উশর (২০%) ওয়াজিব হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/6219
ওশর
ফরয হওয়ার শর্তসমূহ:
ওশর
যাকাতের মত একটি আর্থিক ইবাদত, যা ফরয হওয়ার জন্য বিশেষ কিছু শর্ত রয়েছে। নিম্নে সেগুলো
উল্লেখ করা হলো।
ইমাম
আলাউদ্দীন কাসানী রাহ. ওশর ফরয হওয়ার জন্য জমি ও জমির মালিক উভয়ের সম্পর্কিত শর্তগুলো
এভাবে উল্লেখ করেছেন-
أما شرط
الأهلية فنوعان. أحدهما: الإسلام... والثاني: العلم بكونه مفروضا.
وأما شرائط
المحلية فأنواع. منها أن: تكون الأرض عشرية، فإن كانت خراجية يجب فيها الخرا ولا
ج،
يجب في
الخارج منها العشر. ومنها من أي شرائط المحلية: وجود الخارج أن حتى الأرض لم لو
تخرج لم شيئا يجب العشر.
ومنها أن:
يكون الخارج من الأرض مما يقصد بزراعته نماء الأرض وتستغل الأرض به عادة. ع فلا شر
في الحطب والحشيش.
জমির
মালিক সংক্রান্ত শর্ত দু’টি হলো-
১.
মুসলমান হওয়া। (কেননা ওশর এক ধরনের ইবাদত। আর কাফের ইবাদতের যোগ্য নয়।)
২.
ওশর ফরয হওয়া সম্পর্কে জানা থাকা। অর্থাৎ ওশর আদায়কারীর এ কথা জানা থাকা যে, তার শস্যের উপর ওশর আদায়
করা ওয়াজিব।
আর
জমি সংক্রান্ত শর্তগুলো হলো-
১.
জমি ওশরী হতে হবে। খারাজী জমির উপর ওশর ওয়াজিব হয় না।
২.
ফসল উৎপাদন হওয়া। সুতরাং যদি কোনো কারণে ফসল উৎপাদন না হয়, তাহলে ওশর ওয়াজিব হবে না।
৩.
উৎপাদিত সম্পদ এমন হতে হবে,
যা
জমির ফসল হিসেবে চাষ করা হয়। সুতরাং জমিতে যেসব আগাছা, ঘাস, খড় ইত্যাদি জন্মে তাতে ওশর
ওয়াজিব হয় না। (বাদায়েউস সানায়ে: ২/১৭১-১৭৮, মাকতাবায়ে যাকারিয়া, দেওবন্দ)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১-২.
না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উশর দিতে হবে না। কারণ, শাক-সবজিতে উশর দিতে হয় না।
৩.
জ্বী হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে পানি গোবরে লেগে তা ছুটে এসে শরীরে লাগলে তা নাপাক
হয়ে যাবে। কারণ, নাপাকি থেকে ছুটে আসা পানিও নাপাক। তাই টবে পানি দেওয়ার সময় একটু সাবধানে
দেওয়া চায়।