ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) সেহরি খাওয়ার দ্বারাই নিয়ত হয়ে গেছে।পৃথকভাবে নিয়ত না করলেও রোযা হয়ে যাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1254
(২) "রোজা রাখার নিয়তে সাহরী করছি" এদ্বারাই নিয়ত হয়ে যাবে।
(৩) যেকোন নামাজের আগে দাঁড়িয়ে মনে নিয়ত থাকলেই যথেষ্ট হবে।
(৪)নামাজের ক্ষেত্রে কোন নামাজ এর কত রাকাত পড়া হবে, এটা মাথায় রেখেই যদি তাকবীর দিয়ে নামাজে দাঁড়িয়ে যাওয়া হয়, তাহলে নামাজের নিয়ত
হয়ে যাবে।
(৫)
(৬) আপনি যেকোন সময় কুরআন তেলাওয়াত করতে পারবেন।
(৭) যে কোনো আ'মল করার পূর্বে সে সম্পর্কে সুন্নাহ পদ্ধতি জানতে হবে। এই জানাটা ফরয। সুতরাং জেনে বুঝে নিশ্চিত হয়ে আমল করবেন। প্রয়োজনে মাদরাসায় ভর্তি হবেন বা তাবলীগে সময় লাগাবেন।
(৮) পাঞ্জাবি জুব্বা সহ,শার্ট,প্যান্ট,গেঞ্জির সাথে টুপি পড়লেও টুপির সুন্নত আদায় হবে। তবে শার্ট প্যান্ট পড়লে পোষাকের সুন্নাহ আদায় হবে না।
(৯) বর্তমান শিক্ষাব্যাবস্থায় থেকেও আমল করলে সেই গ্রহণযোগ্য হবে। হ্যা, অন্তরে সর্বদা পরিপূর্ণ ইসলাম পালনের মনোভাব রাখবেন।
(ক) পড়াশোনার সময় যিকির না করাই উচিৎ। হ্যা, সকাল সন্ধ্যার যিকির করবেন।তখন পড়বেন না। অন্য সময় পড়বেন।
(১০+১১) বাসায় জামাতের সাথে পড়তে পারবেন। তারাবিহর হাফিজ সাহেব বিনিময় নিবেন না, বিনিময় নেয়া জায়েযও না। তবে মুসলমানদের উচিৎ, হাফিজ সাহেবকে বেশী করে সম্মানি দেয়া,এতেকরে কুরআনের সম্মান বাড়বে।
(১২) প্রশ্নকে একাধিকবার ইডিট করা অনুচিত।তবে গোনাহ হবে না।
(১৩) সকাল সন্ধ্যার আমল করার সময় যদি ইচ্ছে করে সময় চলে যায় তবে পরে তা করা যাবে।
(১৪)সকাল-সন্ধ্যা, ঘুমের যিকির এর সময় যদি অন্য যিকির করে তবে সমস্যা হবে না। তবে এমনটা উচিত না।
বিঃদ্র:
আপনার প্রশ্ন থেকে বুঝা যাচ্ছে, দ্বীনের ফরযিয়াত সম্পর্কে জানা আপনার জন্য অতীব জরুরী। তাই আপনি ইসলামিক অনলাইন মাদরাসায় ফরযিয়াত কোর্সে ভর্তি হয়ে যাবেন।