আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
139 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (27 points)
এক মেয়ের স্বামী সেই মেয়েকে,  লম্বা সময় হইলো নিজে থেকে বাবার বাড়ি রেখে গিয়েছে,তারপর থেকে স্বামী শুধু তার পরিবারের জন্য ওয়াইফকে বাবার বাড়িতে ফেলে রেখেছে, খরচ দেয় না, কোনো খোঁজ খবর নেয় না,অসুস্থ জেনেও কোনো চিকিৎসা করায়না,
স্বামী হিসেবে একটা দায়িত্ব ও পালন করেনা।  ওয়াইফ নিজে মেসেজ দিলে উত্তর দেয়া না।
এর আগেও বহুবার সে এমন কাজ করেছে, বিয়ের পর সে তেমন কোনো দায়িত্ব ই পালন করে না ওয়াইফের প্রতি

১.এমন পরিস্থিতিতে ওয়াইফ এর কি করণীয়?

২.ইসলামে তো এই কথা আছে জানি যে তিনদিন কথা বন্ধ রাখা যায়, তিনদিনের বেশি কথা বন্ধ রাখা জায়েজ না।
স্বামী যেহেতু লম্বা সময় নিজে কোনো ধরনের যোগাযোগ করে না, ওয়াইফ নিজে যোগাযোগ করলে সেটাতেও সাড়া না দেয় না।
এই ক্ষেত্রে ওয়াইফ যদি প্রতিদিন ফোনকল বা মেসেজ না দিয়ে দুই থেকে তিনদিন পরপর স্বামীকে ফোন বা মেসেজ দেয় সেইটা কি জায়েজ হবে?

৩.ওয়াইফের শারীরিক মানসিক চাহিদা সহ স্বামীর দ্বারা একজন মেয়ের যেসব অভাব পূরণ করা সম্ভব,  এই মেয়ের স্বামী কোনোটাই করে না বলে মেয়েটা অনেক বেশি ফিতনায় পড়ার ভয়ে থাকে, অনেক বেশি।
এই ক্ষেত্রে  এমন দুআ করা যাবে কি যে এইখানে সংসার না করাটাই যদি কল্যাণকর হয়  আল্লাহ যেনো এই স্বামীকে তার মন থেকে মুছে দেন আর খুব তাড়াতাড়ি ই হালালভাবে এমন এক স্বামীর ব্যবস্হা করেন যে এই মেয়ের সকল দায়িত্ব নিবে, সকল চাহিদা পূরণ করবে?

৪.হাজবেন্ড নিজে থেকেই লম্বা সময় তার পরিবারের জন্য ওয়াইফকে কোনো খরচ দেয় না, খোঁজ নেয় না, শারীরিক চাহিদা মেটায় না, এতে কি ওয়াইফ দুআ করতে  পারে যে " আল্লাহ তুমি ওর বিচার করো আর এইখানে ডিভোর্স হওয়াই যদি ভালো হয় তাহলে ওকে আমার মন থেকে মুছে দাও"

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
স্বামী স্ত্রী পরস্পর পরস্পরের উপর সহবাসের হক বা অধিকার রয়েছে। 
ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ বলেন,
ﻭﻳﺠﺐ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺰﻭﺝ ﻭﻁﺀ ﺍﻣﺮﺃﺗﻪ ﺑﻘﺪﺭ ﻛﻔﺎﻳﺘﻬﺎ ﻣﺎ ﻟﻢ ﻳﻨﻬﻚ ﺑﺪﻧﻪ ﺃﻭ ﻳﺸﻐﻠﻪ ﻋﻦ ﻣﻌﻴﺸﺘﻪ ، .. ﻓﺈﻥ ﺗﻨﺎﺯﻋﺎ ﻓﻴﻨﺒﻐﻲ ﺃﻥ ﻳﻔﺮﺿﻪ ﺍﻟﺤﺎﻛﻢ ﻛﺎﻟﻨﻔﻘﺔ ﻭﻛﻮﻃﺌﻪ ﺇﺫﺍ ﺯﺍﺩ " 
স্ত্রীর সন্তুষ্টি পর্যন্ত স্বামীর উপর স্ত্রীকে সহবাস করা ওয়াজিব(অর্থাৎ স্ত্রীর চাওয়া মাত্র স্বামীকে সহবাস করতে হবে)।যতক্ষণ না স্বামীর শরীর দুর্বল হচ্ছে বা স্বামীকে তার জীবিকানির্বাহ পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। সহবাসের পরিমাণ নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি হলে এক্ষেত্রে উচিৎ খোরপোষ ইত্যাদির মত সহবাসের পরিমাণকে বিচারক ঠিক করে দেবেন।(দৈনিক না সাপ্তাহিক? এইভাবে ঠিক করে দিবেন)(ফাতাওয়ায়ে ইবনে তাইমিয়্যাহ-২৪৬)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/990

স্বামী তার স্ত্রীর ভরণপোষণ আদায় না করলে এবং স্ত্রীকে সঙ্গ না দিলে,স্ত্রী যদি কাযী সাহেবের নিকট বিচার দায়ের করে,তাহলে কাযী সাহেব উক্ত বিবাহকে ভঙ্গ করে দেয়ার অধিকার রাখেন।(জাদীদ ফেকহী মাসাঈল-৩/১০০)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/14190

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আপনার বর্ণিত পরিস্থিতিতে স্ত্রীর জন্য করণীয় হল, স্ত্রী প্রথমে স্বামীর সাথে, স্বামীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবে।প্রয়োজনে সামাজিকভাবে বা কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে সহজে সমাধানের চেষ্টা করবে। সর্বশেষ কোনো সমাধান না আসলে, তালাক চাইতে পারবে।

(২) জ্বী, স্ত্রী প্রতিদিনই বা দুই তিনদিন পর ফোনকল বা মেসেজ দিতে পারবে।

(৩) জ্বী,এমন দুআ করা যাবে, যে "এইখানে সংসার না করাটা যদি কল্যাণকর না হয়, তাহলে আল্লাহ যেনো এই স্বামীকে মন থেকে মুছে দেন আর খুব তাড়াতাড়ি  হালালভাবে এমন কোনো স্বামীর ব্যবস্থা করেন যে, এই মেয়ের সকল দায়িত্ব নিবে, সকল চাহিদা পূরণ করবে"

(৪) " আল্লাহ তুমি ওর বিচার করো আর এইখানে ডিভোর্স হওয়াই যদি ভালো হয় তাহলে ওকে আমার মন থেকে মুছে দাও" এমন দু'আও করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...