জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
জর্দা সহ পান কে নেশা বলা যাবে না।বরং এটা লোকদের আদত বা অভ্যাস। কুরআন হাদীসে উল্লেখিত হারাম ব্যতিত বাদবাকী পণ্য সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
فَكُلُوا مِمَّا غَنِمْتُمْ حَلَالًا طَيِّبًا ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ [٨:٦٩]
সুতরাং তোমরা খাও গনীমত হিসাবে তোমরা যে পরিচ্ছন্ন ও হালাল বস্তু অর্জন করেছ তা থেকে। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, মেহেরবান। [সূরা আনফাল-৬৯]
كُلُوا وَاشْرَبُوا مِن رِّزْقِ اللَّهِ وَلَا تَعْثَوْا فِي الْأَرْضِ مُفْسِدِينَ [٢:٦٠]
আল্লাহর দেয়া রিযিক খাও, পান কর আর দুনিয়ার বুকে দাঙ্গা-হাঙ্গামা করে বেড়িও না। [সূরা বাকারা-৬০]
জর্দা যেহেতু সমাজে মাদক হিসেবে স্বীকৃত নয়, এবং এটি খাওয়ার দ্বারা কোন প্রকার নেশাও হয় না।তাই এটা নাজায়েয বলা যাবে না।হ্যা, অযথা টাকার অপচয় বা দৃষ্টিকটু হওয়ার দরুণ পরিত্যাগ করাই শ্রেয়।
শারিরিক ক্ষতিকর জিনিষ খাওয়া হারাম।দুর্গন্ধযুক্ত জিনিষ আহার করা মাকরুহে তানযিহি।হাদীসে বর্ণিত নিষিদ্ধ সুকর বা নেশার অর্থ হচ্ছে এমন জিনিষ যা খেলে ব্রেইন আউট বা স্মৃতী শক্তিতে পরিবর্তন ঘটে।শারিরিক ক্ষতি হবে না সেই পরিমাণ পান চুন-জর্দা সহ খাওয়ার অনুমতি রয়েছে।তবে সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করা কতইনা উত্তম।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-১৮/৩৮০-৪০৮)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
জর্দা খাওয়া বিধান নিয়ে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।
কেহ কেহ স্পষ্ট মাকরুহ বলেছেন।
কেহ কেহ শারিরিক ক্ষতি হবে না সেই পরিমাণ জর্দা খাওয়া বৈধ বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
সুতরাং সতর্কতামূলক জর্দা না খাওয়ার পরামর্শ থাকবে।
(০২)
নাকের লোম কাটা বা উপরিয়ে ফেলার অনুমতি শরীয়তে রয়েছে।
তবে এটিকে আবশ্যক করে দেয়নি।
"قال بعض: ويؤخذ مما تقدم مشروعية تنظيف داخل الأنف وأخذ شعره إذا طال؛ لأن الأذى كالمخاط يعلق به اهـ وروى الشهاب القليوبي في كتاب البدور المنورة في معرفة رتبة الأحاديث المشتهرة: "لاتنتفوا شعر الأنف؛ فأنه يورث الجذام ولكن قصّوه قصًّا"، وقال: ضعيف، وقيل: حسن، وروي: "أنه يورث الأكلة". وهي بتثليث الهمزة: "الحكة"، ونباته أمان من الجذام". (حاشیة الطحطاوي علی مراقي الفلاح 1/526) فقط
সারমর্মঃ-
কেহ কেহ বলেছেন যে নাকের ভিতরের লোম বড় হয়ে গেলে তাহা কেটে ফেলবে। তবে কেহ কেহ বলেছেন যে তোমরা নাকের লোম উপড়িয়ে ফেলোনা,কেননা এতে কুষ্ঠ রোগ হতে পারে,তবে তোমরা তাহা কেটে ফেলো।
কেহ কেহ বলেছেন যে নাকের লোম থাকা এটা কুষ্ঠ রোগ হতে নিরাপত্তা স্বরুপ।
(০৩)
হ্যাঁ এক্ষেত্রে এক বছর পূর্ণ হলে ঐ ব্যাক্তির উপর যাকাত ফরজ হবে।
এক্ষেত্রে উক্ত দুই তোলা স্বর্ণের বর্তমান বাজার মূল্য আর দুই লক্ষ টাকা যোগ করতে হবে।
অতঃপর তাহা হতে চল্লিশ ভাগের এক ভাগ যাকাত দিতে হবে।