আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
126 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামুয়ালাইকুম

১. এক পর্যায় এ আমি স্পর্শ করে ফেলি উত্তেজিত হয়ে  হস্তমৈথূন করতে থাকি , অক সময় আমার লিঙ্গটা কে মহিলার হাত দ্বারা স্পর্শ করানোর চেষ্টা করি একটু স্পর্শ হয়। সেই মুহূর্তে আমার হাত মহিলার যোনির দিক চলে জাই স্পর্শ হয়। যেহেতু আমি সেই সময় উত্তেজিত হয়ে হস্তমৈথূন করছিলাম তাই আমার বীর্য্য পাত হয়ে জাই।  ( মহিলার মুখের কথা মহিলার কোনো উত্তেজনা ছিলনা)

এক্ষেত্রে কি হুরমত হবে?

২. মহিলার গোপন অঙ্গ দেখেছি , দেখার পর ছবি তুলেছি এবং সেটা দেখে হস্তমৈথূন করেছি। কিন্তু গোপন অঙ্গের ভেতরের অংশ দেখিনি।
আরো একবার গোপন অঙ্গ দেখেছি ভেতরের অংশ দেখিনি।

হুরমত হবে?

৩. একবার স্পর্শ করেছিলাম আমার লিংগ খাড়া হয়েছিল কিনা সন্দেহ আছে। আর স্পর্শের কারণেই যে খাড়া হয়েছিল সেটা ও নিশ্চিন্ত না । লিংগ খাড়া হয়নি । হলেও সন্দেহ আছে।
হুরমত হবে?

কিছু ওষধ খাচ্ছিলাম জার সাইড ইফেক্ট এর কারণে হয়ত লিংগ খাড়া হয়নি । এর জন্য কি হুরমত হবে?

৪. ২ মাস পর এই সমস্ত ঘটনা কে মনে করে হস্ত মৈথুন করা হয়েছে এর জন্য কি হুরমত হবে??

৫. এই সব ঘটনা তে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে কখনো এই ভুল করিনি অনেক দিন হয়ে গেল। একদিন মহিলা বসে আছে হটাৎ তার গোপন অঙ্গ দেখা জাই ভেতরের অংশ দেখা জাই। কিন্তু আমি একটু ও উত্তেজিত হয়নি। এক ফোঁটাও না । বরং আমি কাপড় ঠিক করতে বলি।
কিছু দিন বা তার কয়েক ঘণ্টা পর সেই ঘটনা মনে পড়ায় হস্তমৈথূন করি এর জন্য কি হুরমত হবে?

1 Answer

0 votes
by (559,530 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...