জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
নফল রোযা শুরু করার পর তাহা ভেঙ্গে ফেললে কাজা আবশ্যক হয়ে যায়।
,
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
ولا تُبْطِلُوا أَعْمَالَكُمْ} [محمد: 33]
তোমরা তোমাদের আমলকে বাতিল করিওনা।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَوْفُوا بِالْعُقُودِ} [المائدة: 1]
হে ইমানদারগন তোমরা তোমাদের ওয়াদা,চুক্তি সঠিকভাবে সম্পাদন করো,পূরন করো।
,
قال الحصکفی : (والشارع فی نفل لا یقطع مطلقا) ویتمہ رکعتین (وکذا سنة الظہر) ( الدر المختار مع رد المحتار : ۵۳/۲، باب ادراک الفریضة ، ط: دار الفکر، بیروت )
সারমর্মঃ-
নফল নামাজ শুরু করলে সেটা পূর্ণ করবে,,,।
يجب القضاء على من قطع النفل – عند الحنفية – سواء أفسده باختياره أو بغير اختياره بأن شرع في صلاة النفل بالتيمم ناسياً الماء في رحله ثم وجده كأن تذكره خلال الصلاة، أو شرع في صوم النفل فصب الماء في حلقه في النوم وجب عليه القضاء وإن لم يوجد منه الإفساد
সারমর্মঃ-
আবু হানিফা রহঃ এর মাযহাবের বিস্তারিত হলো নফল ইবাদত শুরু করার পর ইচ্ছাপূর্বক হোক আর অনিচ্ছায় তাহা নষ্ট করার দ্বারা সেটা আবার আদায় করা ওয়াজিব হয়ে যায়।
এটি নামাজ রোযা সব ক্ষেত্রেই,,,,,
বিস্তারিত জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি ঠিক করছিলেন যে "খালা যদি আমার সামনেই কিছু খেতে বলে,তাহলে বলব রোযা আছি,মনে মনে রোযার নিয়ত করে ফেলব"
পরবর্তীতে আপনার খালা আপনাকে খেতে বলেনি,তাই উক্ত কথাটিও তাকে বলতে হয়নি।
সুতরাং এমতাবস্থায় উক্ত রোযা আদায় করা আবশ্যক হবেনা।
মনে মনে বলা উপরোক্ত কথার দরুন এটি রোযার নিয়ত হিসেবে গন্য হবেনা।
(০২)
খাবার গ্রহনের আগে সদকাহ নয়।
নিয়ম হলো খাবার গ্রহন করার পর সেই খাবারই ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া সদকাহ করে দেয়া।
যদি তাহা সম্ভব না হয়,সেক্ষেত্রে সমপরিমাণ টাকা সদকাহ করে দেয়া।
তারপর সেই খাবার ভক্ষন করা।
অথবা সেই খাবার আগেই ভক্ষন করলে সমপরিমাণ টাকা সদকাহ করে দেয়া আবশ্যক।
★প্রশ্নের বিবরন মতে খাবার সমপরিমাণ টাকা সদকাহ করে দেয়ার পর উক্ত খাবার খাওয়া আপনার জন্য হালাল হবে।
তবে এক্ষেত্রে খাবারের সমপরিমাণ মূল্য সদকার টাকা হতে আরো বেশি হলে সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকাও সদকাহ করে দিতে হবে।