আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
107 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)
আচ্ছালামুআলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। প্রিয় হযরত কিছুদিন ধরে ফেসবুকে একটি বিষয় দেখছি যে-

" What is love.?

কতটা শক্তিশালী হলে হযরত আলী (রা:) ৯০০ কেজি ওজনের একটি দরজা তুলেছিলেন।

কিন্তু যখন তার স্ত্রী ফাতেমা (রা) ইন্তেকাল করলেন তখন আলি (রা:) বললেন ও সাহাবীরা আমাকে ফাতেমার খাটিয়া বহন করতে সাহায্য করুন..!"

এই বিষয়টা কতটা সত্য হযরতের কাছে দলিল সহ জানতে চাচ্ছি। যদি বিষয়টা সত্যি হয় আমিও প্রচার করবো , আর যদি মিথ্যা হয় তো আল্লাহর নবীর সাহাবীর বিষয়ে মিথ্যা প্রচার থেকে মানুষকে বিরত থাকতে বলবো।
গোলামের জন্য দোয়া চাই। আপনাদের আল্লাহ পাক নেক হায়াত দান করুন। আচ্ছালামুআলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (573,570 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

باب غَزْوَةُ خَيْبَرَ
4210 – حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي سَهْلُ بْنُ سَعْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَوْمَ خَيْبَرَ: «لَأُعْطِيَنَّ هَذِهِ الرَّايَةَ غَدًا رَجُلًا يَفْتَحُ اللَّهُ عَلَى يَدَيْهِ، يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ» ، قَالَ: فَبَاتَ النَّاسُ يَدُوكُونَ لَيْلَتَهُمْ أَيُّهُمْ يُعْطَاهَا، فَلَمَّا أَصْبَحَ النَّاسُ غَدَوْا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُلُّهُمْ يَرْجُو أَنْ يُعْطَاهَا، فَقَالَ: «أَيْنَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ» . فَقِيلَ: هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ يَشْتَكِي عَيْنَيْهِ، قَالَ: «فَأَرْسَلُوا إِلَيْهِ» . فَأُتِيَ بِهِ فَبَصَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي عَيْنَيْهِ وَدَعَا لَهُ، فَبَرَأَ حَتَّى كَأَنْ لَمْ يَكُنْ بِهِ وَجَعٌ، فَأَعْطَاهُ الرَّايَةَ، فَقَالَ عَلِيٌّ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أُقَاتِلُهُمْ حَتَّى يَكُونُوا مِثْلَنَا؟ فَقَالَ: «انْفُذْ عَلَى رِسْلِكَ حَتَّى تَنْزِلَ بِسَاحَتِهِمْ، ثُمَّ ادْعُهُمْ إِلَى الإِسْلاَمِ، وَأَخْبِرْهُمْ بِمَا يَجِبُ عَلَيْهِمْ مِنْ حَقِّ اللَّهِ فِيهِ، فَوَاللَّهِ لَأَنْ يَهْدِيَ اللَّهُ بِكَ رَجُلًا وَاحِدًا، خَيْرٌ لَكَ مِنْ أَنْ يَكُونَ لَكَ حُمْرُ النَّعَمِ»

কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) .... সাহল ইবনে সা‘দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, খায়বারের যুদ্ধে একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আগামীকাল সকালে আমি এমন এক ব্যক্তির হাতে ঝান্ডা অর্পণ করব যার হাতে আল্লাহ খায়বারে বিজয় দান করবেন এবং যাকে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল ভালবাসেন আর সেও আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলকে ভালোবাসে। সাহল (রাযিঃ) বলেন, (ঘোষণাটি শুনে) মুসলমানগণ এ জল্পনা–কল্পনার মধ্যেই রাত কাটালো যে, তাদের মধ্যে কাকে অর্পন করা হবে এই ঝান্ডা। সকাল হল, সবাই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)– এর কাছে আসলেন, আর প্রত্যেকেই মনে মনে এ ঝান্ডা লাভ করার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) কোথায়? সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি তো চক্ষুরোগে আক্রান্ত অবস্থায় আছেন। তিনি বললেন, তাকে লোক পাঠিয়ে সংবাদ দাও। সে মতে তাঁকে আনা হল।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর উভয় চোখে থুথু লাগিয়ে তাঁর জন্য দু'আ করলেন। ফলে তাঁর চোখ এরূপ সুস্থ হয়ে উঠলো যে, যেন কখনো চোখে কোনো রোগই ছিল না। এরপর তিনি তাঁর হাতে ঝান্ডা অর্পণ করলেন। তখন আলী (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তারা আমাদের মত (মুসলমান) না হওয়া পর্যন্ত আমি তাদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাব। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি বর্তমান অবস্থায়ই তাদের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে উপনিত হও, এরপর তাদেরকে ইসলাম গ্রহণের প্রতি আহবান করো (যদি তারা ইসলাম গ্রহণ করে তাহলে) ইসলামী বিধানে ওদের উপর যেসব হক বর্তায় সেসব সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত করে দাও। কারণ আল্লাহর কসম! তোমার দাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ যদি মাত্র একজন মানুষকেও হেদায়েত দেন তা হলে তা তোমার জন্য লোহিত বর্ণের (মূল্যবান) উটের মালিক হওয়া অপেক্ষা অনেক উত্তম।

এ হাদীছে খায়বার যুদ্ধে হযরত আলী রাযি.-এর বীরত্ব ও কৃতিত্বের প্রতি ইঙ্গিত আছে।

(আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
আরবি
হাদীস নং: ৩৮৯৫ আন্তর্জাতিক নং: ৪২১০)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
হযরত আলী রাঃ এর সাহসিকতা,বাহাদুরি বহু হাদীস দ্বারা প্রমানীত।
এটি ঐতিহাসিক সত্য একটি বিষয়। 

তবে তিনি তার স্ত্রীর খাটিয়া তুলতে পারেননি,অন্যদের সাহায্য চেয়েছেন,এটি কোনো হাদীসে পাইনি।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ২য় বিষয় প্রচার না করার পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...