আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
130 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।
আমরা এক বাসায় ভাড়া থাকতাম সেখানে বাসা ভাড়া সহ খাওয়ার জন্য বাবা ৯ হাজার/ ১০ হাজার টাকা দিতো। কিন্তু আমাদের এত টাকা লাগতো না। তাই এখান থেকে কিছু টাকা মা কে দিতাম পরিবারে লাগানোর জন্য। বাসা ভাড়া বেশি হওয়ায় অন্য বাসায় আসছি। ুএখানে ৬/৭ হাজার টাকা লাগে। কিন্তু বাবাকে বলি নি বাসা চেঞ্জ করেছি। উনি আগের মতোই ৯ হাজার টাকা দেন।
আমি বাড়তি টাকা বাসায় পাঠায় দেই। বাবার কাছ থেকে এভাবে বেশি টাকা নিয়ে সেটা বাসায় পাঠানো এটা কি ঠিক হচ্ছে??  বাড়িতে যে টাকা পাঠাই এটা সম্পর্কে বাবা কিছুই জানে না।
এটা কি বাবা কে ধোকা দেয়া হচ্ছে??

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনি যেহেতু আপনার বাবাকে বলেননি যে ৯ হাজার/ ১০ হাজার টাকা দিতেই হবে।
আমাদের  ৯ হাজার/ ১০ হাজার খরচ হয়,এমন কথা বলেননি।

তারপরেও আপনার বাবা নিজ হতে ইচ্ছাকরে আপনাকে ৯ হাজার/ ১০ হাজার টাকা দেয়।

সুতরাং এ টাকার মালিক আপনি।
এই টাকা হতে বেঁচে যাওয়া টাকা যদি আপনি আপনার মাকে দেন,তাহলে এটি নাজায়েজ হবেনা।

তবে বাবার পক্ষ থেকে মাকে টাকা প্রদান করা হতে নিষেধাজ্ঞা থাকলে মাকে দেয়া যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
তবে আমাদের কত টাকা লাগবে না লাগবে এটা মা বাবাকে বলে। বলে যে ওদের ৯ হাজার টাকা লাগবে। 
সেটা শুনে বাবা ঐ টাকাই পাঠায়। 
আমি সন্তান হয়ে বিষয়টা জেনেও চুপ থাকি এক্ষেত্রে কি আমার গুনাহ হচ্ছে? 

এক্ষেত্রে মা এর গুনাহ হচ্ছে??  মা আসলে চায় যে আমাদের মাধ্যমে কিছু টাকা সেফ করে পরিবারের কাজে লাগাতে। কারন বাবা বেহিসাবি খরচ করে। 


by (574,050 points)
এক্ষেত্রে বাড়তি টাকা বাবাকে ফিরিয়ে দিতে হবে। 
এভাবে মাকে দেয়া জায়েজ হচ্ছেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...