আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
448 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
যেহেতু সহশিক্ষা হারাম ইসলামে সেহেতু এইভবে সহশিক্ষার ব্যবস্থা করলে তার অর্জিত আয় হারাম হবে কিনা

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সহশিক্ষা তথা নারী-পুরুষের যৌথ শিক্ষা ব্যবস্থা ইসলাম সমর্থিত নয়।বরং তা বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুকরণ।এক সময় কলেজ ভার্সিটিতে এমনি পশ্চিমা দেশেও আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল।কিন্তু পরবর্তীতে ফ্রি মাইন্ডের অজুহাত দেখিয়ে পশ্চিমা দেশে সহশিক্ষা চালু হয়,এবং তাদের অন্ধ অনুকরণে পরবর্তীতে আমাদের দেশেও সহশিক্ষা চালু হয়।
শরীয়তের দৃষ্টিতে এ শিক্ষা পদ্ধতি সম্পূর্ণ নাজায়েয এবং ইসলামের মূলনীতি পরিপন্থী।

আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন-
ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺳَﺄَﻟْﺘُﻤُﻮﻫُﻦَّ ﻣَﺘَﺎﻋًﺎ ﻓَﺎﺳْﺄَﻟُﻮﻫُﻦَّ ﻣِﻦْ ﻭَﺭَﺍﺀِ ﺣِﺠَﺎﺏٍ ﺫَﻟِﻜُﻢْ ﺃَﻃْﻬَﺮُ ﻟِﻘُﻠُﻮﺑِﻜُﻢْ ﻭَﻗُﻠُﻮﺑِﻬِﻦَّ 
অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ।
(সূরা আহযাব- ৫৩;)

বিখ্যাত তাফসীরবিদ ইমাম কুরতুবী রাহ. উক্ত আয়াতের আলোচনায় বলেন, উক্ত আয়াতে আল্লাহ তাআলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীদের কাছে কোনো প্রয়োজনে পর্দার আড়াল থেকে কিছু চাওয়া বা কোনো মাসআলা জিজ্ঞাসা করার অনুমতি দিয়েছেন। সাধারণ নারীরাও উপরোক্ত হুকুমের অন্তর্ভুক্ত। (তাফসীরে কুরতুবী ১৪/১৪৬)
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীগণ হলেন সকল মুমিনের মা। অথচ তাঁদের সাথেই লেনদেন বা কথা-বার্তা বলতে হলে পর্দার আড়াল থেকে করতে বলা হয়েছে।
তাহলে অন্যান্য সাধারণ বেগানা নারীদের ক্ষেত্রে হুকুমটি কত গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত তা তো সহজেই অনুমেয়।

নবীজী সাঃ ইরশাদ করেন:-
হযরত বুরাইদা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﺑُﺮَﻳْﺪَﺓَ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ” ﻟَﺎ ﺗُﺘْﺒِﻊِ ﺍﻟﻨَّﻈْﺮَﺓَ ﺍﻟﻨَّﻈْﺮَﺓ؛َ ﻓَﺈِﻧَّﻤَﺎ ﻟَﻚَ ﺍﻟْﺄُﻭﻟَﻰ ﻭَﻟَﻴْﺴَﺖْ ﻟَﻚَ ﺍﻟْﺂﺧِﺮَﺓُ “
রাসূল সাঃ হযরত আলী রাঃ কে বলেন,
হে আলী! [সহসা] একবার দেখার পর পুনরায় [কোন বেগানা নারীকে] দেখো না।
কারণ, তোমার জন্য প্রথমবারে অনুমতি রয়েছে [যখন তা অনিচ্ছায় হয়ে যাবে],কিন্তু দ্বিতীয়বারের অনুমতি নেই।

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থে  সহশিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষাগ্রহণ জায়েয।

যেহেতু কোচিং সেন্টার পৃথক রাখা যায়,তাই শিক্ষকের উচিৎ।নারী পুরুষের পৃথক পৃথক কোচিং সেন্টারের ব্যবস্থা রাখা।

সামর্থ্য থাকাবস্থায় ফ্রি মিক্সিং পরিবেশ তেরী করা,যোগ দেয়া সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম।
তবে পড়িয়ে যে টাকা নেওয়া হবে,ইনকাম হবে,সেটা হারাম হবে না।









(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...