জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রশ্নে উল্লেখিত হায়াতুস সাহাবা ৫ নংং খন্ডের ৮৫ নং পৃষ্ঠার হাদীসটি
তিরমিজি শরীফের ২৪৫৭ নং হাদীসে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنِ الطُّفَيْلِ بْنِ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا ذَهَبَ ثُلُثَا اللَّيْلِ قَامَ فَقَالَ " يَا أَيُّهَا النَّاسُ اذْكُرُوا اللَّهَ اذْكُرُوا اللَّهَ جَاءَتِ الرَّاجِفَةُ تَتْبَعُهَا الرَّادِفَةُ جَاءَ الْمَوْتُ بِمَا فِيهِ جَاءَ الْمَوْتُ بِمَا فِيهِ " . قَالَ أُبَىٌّ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُكْثِرُ الصَّلاَةَ عَلَيْكَ فَكَمْ أَجْعَلُ لَكَ مِنْ صَلاَتِي فَقَالَ " مَا شِئْتَ " . قَالَ قُلْتُ الرُّبُعَ . قَالَ " مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ " . قُلْتُ النِّصْفَ . قَالَ " مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ " . قَالَ قُلْتُ فَالثُّلُثَيْنِ . قَالَ " مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ " . قُلْتُ أَجْعَلُ لَكَ صَلاَتِي كُلَّهَا . قَالَ " إِذًا تُكْفَى هَمَّكَ وَيُغْفَرُ لَكَ ذَنْبُكَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
উবাই ইবনু কাব (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাতের দুই-তৃতীয়াংশ চলে যাওয়ার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুম থেকে জেগে দাড়িয়ে বলতেনঃ হে মানবগণ! তোমরা আল্লাহ্ তা'আলাকে স্মরণ কর, তোমরা আল্লাহ্ তা'আলাকে স্মরণ কর। কম্পন সৃষ্টিকারী প্রথম শিঙ্গাধ্বনি এসে পড়েছে এবং এর পরপর আসবে পরবর্তী শিঙ্গাধ্বনি। মৃত্যু তার ভয়াবহতা নিয়ে উপস্থিত হয়েছে, মৃত্যু তার ভয়াবহতা নিয়ে উপস্থিত হয়েছে।
উবাই (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। আমি তো খুব অধিক হারে আপনার প্রতি দরূদ পাঠ করি। আপনার প্রতি দরূদ পাঠের জন্য আমি আমার সময়ের কতটুকু খরচ করবো? তিনি বললেন, তুমি যতক্ষণ ইচ্ছা কর। আমি বললাম, এক-চতুর্থাংশ সময়? তিনি বললেন, তুমি যতটুকু ইচ্ছা কর, তবে এর চেয়ে অধিক পরিমাণে পাঠ করতে পারলে এতে তোমারই মঙ্গল হবে। আমি বললাম, তাহলে আমি কি অর্ধেক সময় দরূদ পাঠ করবো? তিনি বললেন, তুমি যতক্ষণ চাও, যদি এর চেয়েও বাড়াতে পারো সেটা তোমার জন্যই কল্যাণকর।
আমি বললাম, তাহলে দুই-তৃতীয়াংশ সময় দরূদ পাঠ করবো? তিনি বললেন, তুমি যতক্ষণ ইচ্ছা কর, তবে এর চেয়েও বাড়াতে পারলে তোমারই ভাল। আমি বললাম, তাহলে আমার পুরো সময়টাই আপনার উপর দরূদ পাঠে কাটিয়ে দিব? তিনি বললেনঃ তাহলে তোমার চিন্তা ও কষ্টের জন্য তা যথেষ্ট হবে এবং তোমার পাপসমূহ ক্ষমা করা হবে।
(হুকুমঃ হাসান)
( তিরমিজি ২৪৫৭ সহীহাহ (৯৫৪), ফাযলুস সালাত আলান্নাবী (১৩, ১৪)।)
আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ।
,
অন্য এক হাদীসে এসেছেঃ
أوْلَی النَّاسِ بِي يَومَ القَيَامَةَ أَکْثَرُهُمْ عَلَيَّ صَلَاةً.
(ترمذی، الجامع الصّحيح، أبواب الوتر، باب ماجاء في فضل الصّلاة علی النّبي صلی الله عليه وآله وسلم، 1 : 495، رقم : 484)
সারমর্মঃ রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন কিয়ামতের দিন ঐ ব্যাক্তি আমার সবচেয়ে নিকটে হবে,যে আমার উপর বেশি বেশি দরুদ শরীফ পাঠ করেছে।
صلّوا عليّ فإنّ الصّلاة عليّ زکاةٌ لّکم.
ابن أبي شيبة، المصنف، 2 : 253، رقم : 8704)
সারমর্মঃ রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন তোমরা আমার উপর দরুদ শরীফ পাঠ করো,কেননা এটি তোমাদের জন্য পবিত্রতা।
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ صَلّى عَلَيَّ وَاحِدَةً صَلَّى اللّهُ عَلَيْهِ عَشْرًا. رَوَاهُ مُسْلِمٌ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করে আল্লাহ তা‘আলা তার প্রতি দশবার রহমাত বর্ষণ করেন।
সহীহ : মুসলিম ৪০৮, আবূ দাঊদ ১৫৩০, নাসায়ী ১২৯৬, তিরমিযী ৪৮৫, আহমাদ ৮৮৫৪, দারেমী ২৮১৪, সহীহ আত্ তারগীব ১৬৫৬।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত "" আপনি যদি সব সময় দরুদ শরীফ পাঠ করেন,তাহলে অন্যান্য যিকির সমুহের হক আদায় হবে।
কিন্তু যেসমস্ত কাজে বিশেষ দোয়া আছে,সেই কাজ সমুহে উক্ত দোয়ার পাশাপাশি দরুদ শরীফ পড়বেন।
যেমন মসজিদে ডান পা দিয়ে প্রবেশের সময় দোয়া, এতে দোয়া পড়ার পাশাপাশি দরুদ শরীফ পাঠ করবেন।