আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
166 views
in পবিত্রতা (Purity) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম। আমি প্রায় ১০ বছর ধরে এলার্জিজনিত সর্দি কাশি তে ভুগছি। ধুলোবালি, ধোঁয়া, পানির সংস্পর্শে এলে আমার নাক বন্ধ হয়ে যায়। নাকি দিয়ে পানি পড়া শুরু হয়। খাবার থেকে এলার্জি হয়ে যায়। আর সবকিছু থেকেই নাকেই অস্বস্তি শুরু হয়। কন্টিনিউয়াস ৮-১০ টা করে প্রতিবার হাঁচি হয়। গলা ব্যথা, নাক ব্যথা হয়ে যায়। কোল্ড এলার্জির কারণে সারাবছর নাকে সর্দি থাকে, নাক বন্ধ থাকে। ডাক্তার দেখিয়ে, ওষুধ সেবন করেও পুরোপুরি কমছে না। রাতে ঘুমাতেও সমস্যা হয়। এমতাবস্থায় নামাজ আদায়ের জন্যে অযুর পরিবর্তে তায়াম্মুম করা বৈধ হবে কি ?
by (1 point)
নাক দিয়ে ভালোভাবে শ্বাস নিতে পারিনা। ঘুমানোর সময় মুখ খোলা রেখে ঘুমাই। মাঝেমাঝে শ্বাসকষ্ট অনুভূত হয়।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যদি ঠান্ডা পানি ব্যবহারে জীবন নাশ বা অসুস্থতা বৃদ্ধির আশংকা থাকে,তাহলে গরম পানি দিয়ে গোসল করে নামায আদায় করতে পারবেন।এ ব্যাপারে কোনো প্রকার শীতিলতা নেই।হ্যা গরম পানির যদি কোনো ব্যবস্থা না থাকে অথবা গরম পানি ব্যবহার করলেও অসুস্থতা বৃদ্ধির পূর্ণ আশংকা থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় তায়াম্মুম করততে পারবেন।(আহসানুল ফাতাওয়া-২/৫৬)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/938

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ঠান্ড জনিত সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তি,যাকে কমপক্ষে দু'জন মুসলিম ডাক্তার ঠান্ডা না লাগাতে সতর্ক করেছে,তিনি প্রথমে গরম পানি দ্বারা উনার ফরয গোসল বা অজু সম্পন্ন করার চেষ্টা করবেন।যদি গরম পানি তিনি না পান বা গরম পানি ব্যবহার উনার জন দুস্কর হয়ে দাড়ায় কিংবা গরম পানির ব্যবহার ক্ষতিকর প্রমাণিত হয় ,তাহলে তিনি তখন তায়াম্মুম করতে পারবেন।

সুতরাং প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী, ঐ ব্যক্তি প্রথমে গরম পানি দ্বারা অজু করার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।যদি গরম পানির ব্যবস্থা না থাকে, তখন তিনি তায়াম্মুম করে নামায পড়তে পারবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...