পবিত্রতা সংক্রান্ত জিজ্ঞাসা করতে চাই

Question

আসসালামু আলাইকুম। উয়াস উয়াসায় আক্রান্ত ব্যাক্তিদেরকে উলামায়ে কেরাম পরামর্শ দেন, সন্দেহকে পাত্তা না দিতে।এক বোন অনেক মাস যাবত উয়াসায় ভুগছেন। পবিত্র না অপবিত্র এই চিন্তা সালাতও কাযা দিচ্ছেন। আমি কি উনাকে এই পরামর্শ দিতে পারি যে যতক্ষণ না পর্যন্ত সে শতভাগ নিশ্চিত হবেন ততক্ষণ পর্যন্ত নিজেকে এবং অন্য কিছুকে পবিত্র ধরে নিবেন। উনার অবস্থা এমন ভয়াবহ যে, মোবাইলে কুরআন পড়বেন বলে অপবিত্রতার আশঙ্কায় মোবাইল ধুয়ে মোবাইল নষ্ট করে ফেলেছেন। উনি খুবই ধার্মিক ছিলেন। আস্তে আস্তে তিনি সালাত ,কুরআন থেকে দুরে সরে যাচ্ছেন।উনাকে এহেন অবস্থা দেখলে মায়া লাগছে।উনার জন্য কিছু পরামর্শ দিবেন দয়া করে? আর উনার বাড়ির লোকজন পাক পবিত্র থাকেন না তো তারা কিছুতে হাত দিলো কিনা, তাঁদের দ্বারা কিছু অপবিত্র হয়ে গেল কিনা এসব নিয়ে চিন্তিত থাকেন তিনি। যেমন বাথরুমের টিপকলে নিশ্চিত তার পরিবারের লোকজন হাত দেন, তাদের হাত অপবিত্র থাকার প্রবল সম্ভাবনা থাকে নাকি। এখন তিনি কি করবেন?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

ইয়াকিন বিশ্বাস ব্যতিত কোনো হুকুম প্রমাণিত হয়না।

যেমন ইতিপূর্বে একটি মূলনীতি আমরা উল্লেখ করেছি যে,

আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,

اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ

ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ

ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ} 

ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]

মুসলিম শরীফের সনদে বর্ণিত হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত হাদীস তার  উজ্জল দৃষ্টান্ত।

হাদীসটি এই,

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কারো তার পায়ুপথে কিছু বের হওয়ার সন্দেহ হয়।এবং উক্ত বের হওয়া না হওয়া নিয়ে সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।তাহলে সে যেন মসজিদ থেকে (অজু করার নিমিত্তে) বের না হয়,যতক্ষণ না সে বায়ুর আওয়াজ শুনছে বা এর দুর্গন্ধ তার নাকে আসছে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর;১/৪৭)............ এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/293

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

যতক্ষণ না কেউ ১০০ পার্সেন্ট নিশ্চিত হবে যে, তার কাপড় বা শরীরে নাপাক হয়েছে, ততক্ষণ তার কাপড় বা শরীর নাপাক হবে। সুতরাং যখন সে নিশ্চিত হবে, কেবল তখনই তার কাপড় বা শরীর ধৌত করতে হবে।