আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
489 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (14 points)
recategorized by
গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য আমার পরিচিত দুইজন তাদের বিয়েতে দুজনকে সাক্ষী রেখে একজন মাদ্রাসার ছেলেকে দিয়ে বিয়ের খুতবা পরিয়ে বিয়ে করে নেয়,,, তারা সম্পর্ক করার আগে জানত না সম্পর্ক করা হারাম কাজ কারণ তখন তাদের কোন দ্বীনের জ্ঞান ছিল না,,, যখন তাদের দ্বীনের  জ্ঞান আসে তখনই তারা বিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিয়ে করে নেই,,,,এখন তাদের অনেক কঠিন সমস্যায় পড়তে হয়েছে,,, ছেলে এখন সেটেল হতে পারেনি আর মেয়ের বিয়ের বয়স হয়ে গেছে তাই তার পরিবারের ছেলে দেখছে কিন্তু ছেলের ফ্যামিলিতে একটি সমস্যায় পড়তে হয়েছে তা হলো ছেলে ফ্যামিলির বলেছে ছেলের পছন্দের কোন মেয়েকে তারা বিয়ে করাবে না,,,এখন  তারা দুজন দুজনকে ছাড়তে পারছে না কারণ তারা বিবাহিত আর তাদের পক্ষে সম্ভব নয় দুজন দুজনকে ছেড়ে থাকা,,, তারা নিজেরা বিয়ে করার সময় প্রাপ্তবয়স্ক ছিল,,, তারা চিন্তা করছে তারা যদি অন্য কাউকে বিয়ে করে তাদের জীবনটাও নষ্ট হবে,,,,, তাদের এই কঠিন পরিস্থিতিতে তারা কি করতে পারে? তারা হতাশ হয়ে এটা চিন্তা করছিল বাবা মাকে তাবিজ করে রাজি করাবে। এটা কি ঠিক হবে তাদের জন্য তারা বলছে আমরা তো কারো ক্ষতি করছি না,,, সম্পূর্ণ আলোচনার সাপেক্ষে ভালো একটি সিদ্ধান্ত দিয়ে উপকৃত করবেন
by
আমি তাদের বলেছি আল্লাহর উপর ভরসা করে অপেক্ষা করতে থাকো তোমার বিবাহিত তুমি তোমাদেরকে আল্লাহ কখনো আলাদা করবে না আর  মেয়েটাকে আমি অপেক্ষা করতে বলেছি,,,, আমার এই কথা বলাটা কি ঠিক হয়েছে আর মেয়েটা বিয়ে না করে অপেক্ষা করাটা কি ঠিক হবে

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো যদি দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক সমঝদার সাক্ষ্যির সামনে প্রাপ্ত বয়স্ক পাত্র ও পাত্রি যদি প্রস্তাব দেয় এবং অপরপক্ষ তা গ্রহণ করে নেয়, তাহলে ইসলামী শরীয়াহ মুতাবিক বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যায়। অভিভাবকের সম্মতি থাকুক বা না থাকুক। অভিভাবক জানুক বা না জানুক।

 তবে যদি গায়রে কুফুতে বিবাহ করে, তথা এমন পাত্রীকে বিবাহ করে, যার কারণে ছেলে বা মেয়ের পারিবারিক সম্মান বিনষ্ট হয়, তাহলে পিতা সে বিয়ে আদালতের মাধ্যমে ভেঙ্গে দিতে পারে। যদি কুফুতে বিবাহ করে, তাহলে পিতা এ অধিকারও পাবে না।
,
রাসুল সাঃ কুফু মিলাইতে বলেছেনঃ

وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!

(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)

কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/4541/

আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত এক হাদীসের মধ্যে রাসূল (সাঃ) বলেছেন :

: (( ﺃَﻳُّﻤَﺎ ﺍﻣْﺮَﺃَﺓٍ ﻧَﻜَﺤَﺖْ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﺇِﺫْﻥِ ﻭَﻟِﻴِّﻬَﺎ، ﻓَﻨِﻜَﺎﺣُﻬَﺎ ﺑَﺎﻃِﻞٌ، ﻓَﻨِﻜَﺎﺣُﻬَﺎ ﺑَﺎﻃِﻞٌ، ﻓَﻨِﻜَﺎﺣُﻬَﺎ ﺑَﺎﻃِﻞٌ، ﻓَﺈِﻥْ ﺩَﺧَﻞَ ﺑِﻬَﺎ ﻓَﻠَﻬَﺎ ﺍﻟْﻤَﻬْﺮُ ﺑِﻤَﺎ ﺍﺳْﺘَﺤَﻞَّ ﻣِﻦْ ﻓَﺮْﺟِﻬَﺎ، ﻓَﺈِﻥْ ﺍﺷْﺘَﺠَﺮُﻭﺍ ﻓَﺎﻟﺴُّﻠْﻄَﺎﻥُ ﻭَﻟِﻲُ ﻣَﻦْ ﻟَﺎ ﻭَﻟِﻲَّ ﻟَﻪُ ))

''যে কোন নারী তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই বিয়ে করবে তার বিয়ে বাতিল, তার বিয়ে বাতিল, তার বিয়ে বাতিল। (এরূপ বিয়ে ঘটে গেলে আর বাতিল বিয়ের) স্বামী যদি তার সাথে মিলিত হয়ে যায় তাহলে সে তার (নারীর) গুপ্তাঙ্গ থেকে যা ভোগ করেছে এর বিনিময়ে মহিলা মাহ্র পাবে। তারা (অভিভাবকরা) যদি এ ব্যাপারে ঝগড়ায় লিপ্ত হয় তাহলে সুলতানই (শাসকই) তার অভিভাবক গণ্য হবে যার কোন অভিভাবক নেই।'' [হাদীসটি আবূ দাঊদ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ্ তে বর্ণিত রয়েছে।

এই হাদীসে বাতিল বলে উদ্দেশ্য নেয়া হয়েছে, যদি মেয়ে গায়রে কুফুতে বিয়ে করে, তাহলে তার বিয়ে অভিভাবক এসে বাতিল করে দিতে পারে। সে হিসেবে তার বিয়েকে বাতিল বলা হয়েছে।

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন, 
মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক নয়।

মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। অনেকে উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।
,
★তাই প্রশ্নে উল্লেখিত বিবাহ করা করা ঠিক  হয়নি।
তারপরেও যেহেতু তারা প্রাপ্তবয়স্ক এবং শরয়ী নীতিমালা মেনেই বিবাহ করেছে,তাই তাদের বিবাহ হয়ে গিয়েছে।
তাদের ঘরসংসার জায়েজ।
,
তবে তারা যদি কুফু ছাড়াই বিবাহ করে থাকে,তাহলে আদালতের মাধ্যমে তাদের পরিবার এই বিবাহ সম্পর্ক  ছিন্ন করার অধিকার রাখে।
এটি জায়েজ আছে।

,
★তাই আমরা বলবো যে যদি আপনারা কুফু মেনেই বিবাহ করেন,আপনাদের উভয়ের পরিবারের অর্থনৈতিক,দ্বীনদারি ইত্যাদি অবস্থা যদি সামঞ্জস্য থাকে,তাহলে   বৈধ কালাম তথা কুরআন-হাদীস ও সালাফে সালেহীনদের বর্ণিত দু'আ দুরুদ দ্বারা তাবিজ করা বৈধ রয়েছে।

 বৈধ কালামের মাধ্যমে তাবিজ করার রুখসত রয়েছে।তবে অবৈধ উদ্দেশ্যে করা যাবে না।

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
তারা কুফু মেনে বিয়ে করেছে,,,এখন তারা কিভাবে বৈধ কালামের মাধ্যমে তাবিজ করতে পারে তা জানালে বেশি উপকৃত হতাম

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...