আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
157 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (15 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম উস্তায

.

গতকাল আমি একটি প্রশ্ন করেছিলাম যে একজন ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইনার হিসাবে আমার মেডিটেশন বা ইয়োগা রিলেটেড কোন ওয়েবসাইট ডিজাইন করা হালাল হবে কিনা। গত প্রশ্নের লিংক - https://ifatwa.info/92419/

.

১. নিচে আমি একটি ছবি এড করেছি। আমাকে আসলে ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে হবে না। কেবলমাত্র ভিডিও প্লেয়ারের এর ইউজার এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে কাজ করতে হবে যেন ইউজার খুব সহজে ভিডিও দেখতে পারে সেই ওয়েবসাইটে, তবে সে যে ভিডিও দেখবে তাহলে ইয়োগা-মেডিটেশনের ভিডিও। তবে এখানে ইয়োগার কোন ছবি নিয়েও কাজ করতে হবে না বা কিভাবে ইয়োগা করবে সেসব নিয়েও কাজ করতে হবে না। নিচের ছবিতে যা দেখতে পারছেন কেবল এটুকু নিয়েই কাজ করতে হবে। জাস্ট ভিডিও প্লেয়ার ফিচার, এটাই ডিজাইন। আমি জাস্ট ডিজাইনটা এদিক সেদিক করব, এর বাইরে আর কিছুই না। কিভাবে ইয়োগা-মেডিটেশন করে সেসবের কিছু আমাকে করতে হবে না, ইভেন কোন ছবিও না। আমার দেয়া প্রথম ছবির থেকে কোন রূপ পরিবর্তন নেই, আমার বলা কাজের। এই কাজটা করা কি আমার জন্য জায়েজ হবে.? স্পষ্ট করে যদি জানাতেন মিন ফাদলিক।
.
.
২. আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন হল, 
ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইনের ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে (সব সময় না) আমাদেরকে পুরুষ ব্যক্তির ছবি ব্যবহার করতে হয়, কখনোই নারীর ছবি ব্যবহার করি না। এখানে আমরা কোন পুরুষের ছবি অঙ্কন করি না, কোন ছবি তুলি না। কেবল ইন্টারনেটে যে ছবিগুলো আছে সেই ছবিগুলো সার্চ করে কপি করে বসিয়ে দেই। আমার প্রশ্ন হল আমরা এরকম কপি করে পুরুষের ছবি ব্যবহার করতে পারব কিনা.? আমি নিচে একটি উদাহরণ ছবি দিয়েছি। সেখানে যে পুরুষ ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে ঠিক এরকম ছবি ইন্টারনেট থেকে নিয়ে আমরা কপি পেস্ট করে দিই। আর এই ছবিগুলো প্রিন্ট করা হবে না বা ওয়েবসাইট ব্যতীত অন্য কোথাও প্রদর্শিতও হবে না। এরকম ছবি ব্যবহার করা আমাদের জন্য জায়েজ হবে কিনা ? 

.

আমরা নিজেরা এই ছবিতে কোন ধরনের পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন, বিয়োজন, অংকন কিছুই করি না। কাজের জন্য আমাদেরকে বাধ্য হয়েই এরকম ছবি ব্যবহার করতে হয়, আবারো বলছি কেবল ব্যবহারই করি কপি পেস্ট করি ইন্টারনেট থেকে। ছবি তুলি না বা অঙ্কনও করি না, কোন রূপ পরিবর্তনও করি না। আমার অন্য কোন স্কিল নেই যে আমি অন্য কোন পেশায় চলে যাব।

/

নিচের এই ছবিটি প্রথম প্রশ্নের সাথে - আমাকে হুবাহু নিচের ছবির মতোই একটি ভিডিও প্লেয়ার ডিজাইন করতে হবে।

/

নিচের এই ছবিটি দ্বিতীয় প্রশ্নের সাথে - 

ঠিক এইরকম ছবি আমাদের ইন্টারনেট থেকে কপি করে পেস্ট করতে হয়।  আমরা তুলি বা অঙ্কন করি না। জাস্ট কপি পেস্ট

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ভিডিওতে যদি কোনো বাদ্য-বাজনার ব্যবহার না থাকে,কোনো নারীর ছবি না থাকে,নারীর কন্ঠস্বর না থাকে,পুরুষের সতর দেখা না যায়,অশ্লীল ভিডিও না হয়ে,সেক্ষেত্রে আপনার কাজটি হারাম না হলেও সতর্কতামূলক এহেন কাজ হতে বিরত থাকতে হবে। 

আর যদি উপরে কোনো একটি বিষয় ভিডিওতে পাওয়া যায়,তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার কাজা নাজায়েজ হবে।
ইনকাম হালাল হবেনা।

(০২)
ইসলামের মৌলিক বিধান হচ্ছে, জড়বস্তুর ছবি তোলা ও আঁকায় শরয়ী কোন বিধিনিষেধ নেই। আর প্রাণীর ছবি প্রয়োজন ছাড়া তোলা, সংরক্ষণ করা, প্রকাশ করা, ব্যবহার করা হারাম।  

তবে শরীয়তে ছবি বলতে কী বোঝায়, এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও বিশ্লেষণ রয়েছে। 

আরো জানুনঃ  

অনেক বিশেষজ্ঞের মতে ডিজিটাল ক্যামেরায় ছবি তোলা, কম্পিউটার ও মোবাইলে সংরক্ষিত ছবিও ‘নিষিদ্ধ ছবি’র অন্তর্ভুক্ত বিধায় এটিও হারাম। 

সহিহ হাদিসে এসেছে,
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
كُلُّ مُصَوِّرٍ فِي النَّارِ يُجْعَلُ لَهُ بِكُلِّ صُورَةٍ صَوَّرَهَا نَفْسٌ فَيُعَذِِّبُهُ فِي جَهَنَّمَ
প্রত্যেক ছবিনির্মাতা জাহান্নামে যাবে, তার নির্মিত প্রতিটি ছবি পরিবর্তে একটি করে প্রাণ সৃষ্টি করা হবে, যা তাকে জাহান্নামে শাস্তি দিতে থাকবে। (বুখারী ২২২৫, ৫৯৬৩, মুসলিম ৫৬৬২)

হাদিস শরীফে এসেছে,
قال حدثنا الاعمش عن مسلم قال كنا مع مسروق فى دار يسار بن نمير فراى فى صفته تماثيل فقال سمعت عبد الله قال سمعت النبى ﷺ يقول ان اشد الناس عذابا عند الله المصورون

আ’মাশ তিনি  মুসলিম হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি মাসরুকের  সঙ্গে ইয়াসার ইবনে নুমাইরের ঘরে ছিলাম, তিন ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলেন, অতঃপর বললেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ্  রাযি.-এর নিকট শুনেছি, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘নিশ্চয় মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তাআলা কঠিন শাস্তি দেবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে।’ (বুখারী ২/৮৮০)

আরো জানুনঃ

তবে কিছু কিছু বিশেষজ্ঞের মতে তা জায়েয। 
তাদের বক্তব্য হলো কম্পিউটার ও মোবাইল স্ক্রীনে থাকা প্রাণীর (অশ্লীল ও নারীর ছবি ছাড়া) ছবি প্রিন্ট করার আগ পর্যন্ত জায়েজ বলেছেন জামিয়া বিন্নুরিয়া পাকিস্তানের ফাতওয়া বিভাগ।

কম্পিউটার স্ক্রীনে বা মোবাইল স্ক্রীনে ছবি না রাখাটাও তাক্বওয়ার দাবী। 
 
আরো জানুনঃ 
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশেষ প্রয়োজনে অশ্লীল ও নারীর ছবি ছাড়া অন্য কোনো ছবি দিলে সেটি কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে জায়েজ।
যদিও অনেকের মতে নাজায়েজ। 
,
তাই সতর্কতামূলক এহেন কাজ থেকে বেঁচে থাকাই উচিত।     

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার এ কাজটি জায়েজ হবে,তবে শর্ত হলো যে সাইট থেকে ছবিটি কপি করছেন,তাদের পক্ষ থেকে সেই ছবি এভাবে ব্যবহারে ব্যপারে নিষেধাজ্ঞা না থাকা,বা অনুমতি থাকা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...