আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
139 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (15 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।

.
হুজুর আমি একজন ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইনার। আমার কাজ মূলত বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপস, ড্যাশবোর্ড ডিজাইন করা। আমি ইউজারের জার্নি কে সহজ করার চেষ্টা করি আমার কাজের মাধ্যমে। আইডিয়া জেনারেট করি, ডিজাইন করি, তবে প্রোগ্রামিং কোড করিনা। আমাকে নানা সময় নানা ধরনের ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে হয়। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন হালাল-হারাম মেনে কাজ করতে পারি। ছেলেদের ক্ষেত্রে হারাম জন্য কখনো মেয়েদের ছবি ও ব্যবহার করিনা। আমি সর্বদা চেষ্টা করি আমার কাজে যেন আল্লাহ কখনোই অসন্তুষ্ট না হন। আমি হারাম কিছু ইনকাম করে দোয়া এবং ইবাদত কবুলের সুযোগ হারানোর মতো বোকামি করতে চাই না। আখেরাত হারাতে চাইনা। আমার প্রশ্ন হল,

.
১/ মেডিটেশন, ইয়োগা রিলেটেড কিছু ডিজাইন করতে পারব কিনা.? আমি ডিজাইনের মূল উদ্দেশ্য যেন ইউজারের জার্নি সহজ হয়। সে যেন সহজেই এই অ্যাপসটা বা ওয়েবসাইট টা ব্যবহার করতে পারে। মেডিটেশন ইয়োগা এসব নিয়ে কাজ করা হালাল হবে কিনা.?
.
২/ ব্যাংক, ইনস্যুরেন্স, ক্রিপ্ট কারেন্সি, NFT, মিউজিক, গেমস -  ইত্যাদি ব্যতীত আর কি কি সেক্টর আছে যেগুলো হারাম.? যেন আমি এই ধরনের সেক্টরগুলোর কাজ থেকে বিরত থাকি।
.
দলিলের আলোকে উত্তর দিলে আমার জন্য খুবই সহজ হবে, মিন ফাদলিক। আসলে আমার এক্সাক্ট উত্তর প্রয়োজন, হ্যাঁ অথবা না। আপনার ফতোয়ার উপরে আমি সিদ্ধান্ত নিব।
closed

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
মেডিটেশনের দৃষ্টিভঙ্গি গুলো ইসলামের দৃষ্টিতে মারাত্মক অপরাধ। 
মেডিটেশনের দৃষ্টিভঙ্গি অনেক ক্ষেত্রেই কুফরী,শিরকী।

বিস্তারিত জানুনঃ 

তবে তাদের ন্যায় আকীদা পোষন না করে আকীদা বিশুদ্ধ রেখে এভাবে ব্যয়াম করার অনুমতি রয়েছে।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মেডিটেশন, ইয়োগা রিলেটেড ডিজাইনের ক্ষেত্রে যদি প্রানীর ছবি না থাকে,সেক্ষেত্রে সেই ডিজাইন হারাম না হলেও সতর্কতামূলক এহেন কাজ হতে বিরত থাকতে হবে। 

(০২)
এক্ষেত্রে শরীয়তের মূলনীতি হলো নারীর বিজ্ঞাপন যুক্ত ওয়েবসাইট তৈরী করা,সূদ ভিত্তিক বা হারাম কোনো কোম্পানির ওয়েবসাইট তৈরী করা,তা থেকে উপার্জন করা জায়েজ নেই।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ    

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

আরো জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (15 points)
জাযাকাল্লাহ খাইর উস্তায

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...