আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
103 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (56 points)
১/
১/এক বোনের প্রশ্ন। আমি দেড় মাসের প্রেগন্যান্ট, কাল থেকে স্রাব এর সাথে ব্লাড যাচ্ছে হালকা হালকা। ডাক্তার দেখাইছি,ডাক্তার আল্ট্রা ও করছে,বললো বাচ্চার হার্টবিট আসে নাই,অপেক্ষা করতে,বাচ্চার থলি আসছে বাচ্চা আসে নাই। এখন নামাজ পড়া যাবে কি?


২/ এক বোনের প্রশ্ন,

আমি ৬ মাসের প্রেগন্যান্ট।প্রেগনেন্সির শুরু থেকে মুখে অতিরিক্ত থুতু হয়।একাধারে থুতু ফেলতে হয়।
নামাজের মধ্যে ও তুথু ফেলতে থাকি পাশে।
থুতু না ফেললে নামাজের মধ্যই বমি চলে আসে।
নিতান্তই বাধ্য হয়ে থুতু ফেলতে থাকি। নামাজের মধ্য অসংখ্যবার ফেলতে হয়।ডাক্তার দেখাইছি ঔষুধ দেয়।কোনো উন্নতি না।।এতে কি আমার নামাজ আদেও হয়???

৩/এক আপুর প্রশ্ন-
আমার হাসবেন্ড একজন হাইস্কুল শিক্ষক।  ইসলাম প্র্যাকটিস করার চেষ্টা করে।  স্ত্রীকে পর্দায় রাখার ব্যাপারে খুব কঠোর। কিন্তু জীবিকার তাগিদে মেয়ে স্টুডেন্ট পড়াতে হয়। এমনকি হাইস্কুলেও মেয়ে কলিগ আর মেয়ে স্টুডেন্টের একটা ফ্রি মিক্সিং পরিবেশ আছে।।  আমার প্রশ্ন হলো,, এমতাবস্থায় চাকরি করা কি জায়েজ হবে? মেয়ে স্টুডেন্ট পড়িয়ে যে ইনকাম হয় তা কি হালাল হবে???
হাসবেন্ড নজরের হেফাজত করার খুব চেষ্টা করে। কিন্তু আমার কথা হলো নারী জাতি তো ফেতনা। কতক্ষণ ই বা নজরের হেফাজত করা যায় কিংবা না হেসে পারা যায়

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
https://ifatwa.info/1570/ ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
যদি চার মাস বা তার চেয়ে বেশী সময়ের পর গর্ভপাত হয় তাহলে গর্ভপাত পরবর্তী নেফাস হিসেবে গণ্য হবে।আর চার মাসের পূর্বে গর্ভপাত হলে সে রক্তকে হায়েয গণ্য করা হবে যদি তা তিনদিন বা তার চেয়ে বেশী সময় অতিবাহিত হয়। আর তিনদিনের কম বা দশদিনের বেশী সময় অতিবাহিত হলে সে রক্তকে ইস্তেহাযার রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।
আহসানুল ফাতাওয়া-২/৭১

যদি চার মাস বা তার চেয়ে বেশী সময়ের পর গর্ভপাত হয় তাহলে গর্ভপাত পরবর্তী নেফাস হিসেবে গণ্য হবে।
ঐ সময়ে নামায রোযা আদায় করবেনা।

আর যদি চার মাসের আগেই গর্ভপাত হয়, তাহলে তিন দিন বা তার চেয়ে বেশি দিন অতিবাহিত হলে হায়েজ ধরে নামাজ রোযা আদায় করবেনা।
যদি তিন দিনের কম হয়,বা দশদিনের বেশিহয়,তাহলে সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এক্ষেত্রে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا شُجَاعُ بْنُ الْوَلِيدِ أَبُو بَدْرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ أَبِي سَهْلٍ، عَنْ مُسَّةَ الأَزْدِيَّةِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ كَانَتِ النُّفَسَاءُ تَجْلِسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعِينَ يَوْمًا فَكُنَّا نَطْلِي وُجُوهَنَا بِالْوَرْسِ مِنَ الْكَلَفِ

নাসর ইবনু আলী আল জাহযামী (রহঃ) .... উম্মু সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে নেফাস বিশিষ্ট মহিলাগণ চল্লিশ দিন সালাত ও সিয়াম থেকে বিরত থাকতেন। চেহার ফ্যাকাশে হয়ে কৃষ্ণাভ হয়ে যেত বলে আমরা তখন চেহারায় হলুদ বর্ণের ওয়ারস পত্রের প্রলেপ ব্যবহার করতাম। - ইবনু মাজাহ ৬৪৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
তিরমিজি ১৩৯)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এক্ষেত্রে মূল বিষয় হলো গর্ভপাত হয়েছে কিনা?
ডাক্তারী পরীক্ষা মতে যদি গর্ভপাত না হয়, তাহলে এ অবস্থায় যে ব্লাড আসছে, তা হায়েজের অন্তর্ভুক্ত হবেনা।
এটি ইস্তেহাজার অন্তর্ভুক্ত হবে।

এমতাবস্থায় নামাজ, রোজা, তিলাওয়াত চালিয়ে যেতে হবে।

আর যদি ডাক্তারি পরিক্ষার পর প্রমাণিত হয় যে গর্ভপাত হয়েছে,তাহলে এটি হায়েজ।
সুতরাং এমতাবস্থায় নামাজ, রোজা, তিলাওয়াত বন্ধ রাখতে হবে।

(০২)
আপনার নামাজ হয়ে যাবে।
পরামর্শ থাকবে,কাছে একটি রুমাল রেখে দিতে।
যাতে নামাজের মধ্যে থুথু আসলে সেই রুমাল দিয়ে মুছে ফেলা যায়।

আরো জানুনঃ- 

(০৩)
তার চাকরি ও ইনকাম হালাল হবে।
তবে বেগানা নারীকে দেখার দরুন কবিরা গুনাহ হতে থাকবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...