বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ফরজ ইলম অর্জন করা যেহেতু ফরয।তাই তার স্থান সর্বাগ্রে।
বাবা মাকে সাহায্য করা যেহেতু ওয়াজিব।তাই তার স্থান দ্বিতীয় সাড়িতে হবে।
এরপর পরবর্তী বিষয়গুলো একই শ্রেণীভুক্ত। সবকিটই নফল ইবাদত।সুতরাং এইগুলোর মর্যাদা সমান।তাই যেকোনো একটিকে আ'মলে নিয়ে আসা যেতে পারে।
তবে নফল ইলমকে নিম্নোক্ত বিষয় সমূহের মধ্যে সর্বাগ্রে রাখা যেতে পারে। নফল ইলম অর্জন,
নফল সালাত,কুরআন তেলাওয়াত,বিভিন্ন জিকির (সুবহানাল্লাহ,আলহামদুলিল্লাহ,লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ইত্যাদি)
(২)
জ্বী,অবিবাহিত ব্যক্তি বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন রোজা রাখতে পারবে।তবে দাউদ আঃ এর রোযা রাখাই উত্তম।তথা একদিন পর পর রোযা রাখা।
(৩)
3782 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
ইবনে আবেদীন শামী রাহ,জ্ঞান শিক্ষা ফরয সম্পর্কিত একটি মূলনীতি তুলে ধরেন।যাকে আমাদের সামনে আসলে,ভবিষ্যৎ অনেক অস্পষ্টতা দূরবিত হয়ে যাবে ইনশা'আল্লাহ।
তিনি বলেনঃ
وَكُلُّ مَنْ اشْتَغَلَ بِشَيْءٍ يُفْرَضُ عَلَيْهِ عِلْمُهُ وَحُكْمُهُ لِيَمْتَنِعَ عَنْ الْحَرَامِ فِيهِ اهـ
যে বক্তি কোনো জিনিষ বা কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট হবে নিজেকে সংশ্লিষ্ট করজে, তার উপর উক্ত বিষয় সম্পর্কে ইলম অর্জন করা ফরয।যাতে করে উক্ত বিষয় ও বিষয় সংশ্লিষ্ট সমস্ত হারাম থেকে সে অনায়াসে বেছে থাকতে পারে। (রদ্দুল মুহতার-১/৪২)..................বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-১৮৯৩
আপনি জানতে চাচ্ছেন যে, কতোটুকু জ্ঞান অর্জন করাটা ফরয?কী কী জিনিষ এই ফরজ ইলমের অন্তর্ভুক্ত? এবং কোন কোন বিষয়?
এর উত্তর হচ্ছে,আল্লাহর ফরয হুকুমকে ঠিক ঠিক ভাবে অনুসরণ করতে এবং নিষিদ্ধ বিষয় থেকে বাঁচতে যত বিষয় সম্পর্কে যতটুকু ইলমের প্রয়োজন ততটুকু ইলম শিক্ষা ফরয।যেমন,নামায আল্লাহর ফরয বিধান,নামায পড়ার জন্য পবিত্রতা অর্জন শর্ত।তাই পবিত্রতার ইলম অর্জন ফরয।ঠিকতেমনি কেরাত ফরয, তাই কেরাত শিক্ষা ফরয।ঈমান আনয়নের জন্য শিরক মুক্ত হয়ে মনেপ্রাণেএকমাত্র আল্লাহকে বিশ্বাস করা ও তার বিধি-বিধান কে মান্য ফরয।তাই এ সম্পর্কীয় ইলম অর্জন ফরয।এবং রোযা আল্লাহর ফরয বিধান।রোযা রাখতে হলে তার করণীয় ও বর্জনীয় বিষয় সম্পর্কে যথেষ্ পরিমাণ ইলম অর্জন ফরয।অর্থাৎ যতটুকু ইলম হলে রোযাকে নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখা যায়,ততটুকু পরিমাণ ইলম অর্জন ফরয।ইত্যাদি ইত্যাদি।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আকিদা,তাওহীদ,আখিরাত,সিরাত,কুরআনের তাফসির
এই বিষয় সমূহের মধ্যে প্রথমোক্ত তিনটি মূলত আকিদারই শাখা।সুতরাং এই তিনটি সম্পর্কে মৌলিক ধারণা নেয়া ফরয।বিস্তারিত ধারণা ফরয হবে না।তথা আকিদা বিয়ের যতটুক জ্ঞান ঈমান এবং কুফুর এর মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করে দিতে সক্ষম হয়,ততটুকু জ্ঞানার্জন ফরয।পরবর্তী বিষয় সমূহের জ্ঞানার্জন না করলেও যেহেতু মানুষ ঈমানদার থাকবে,তাই এ সমস্ত বিষয়ের জ্ঞানার্জন ফরয হবে না।