আস্সালামুআলাইকুম হুজুর,দয়াকরে খুবই দ্রুত উত্তর দিন,আপনার কাছে অনুরোধ রইলো,খুবই জরুরি
আমার মা আমি যখন ছোট তখন থেকেই বেপর্দা,,কল এ /সামনা সামনি অনেক পুরুষের সাথে কথা বলতো,,(বাবার সাথে তালাকের পর) হারাম সম্পর্কে জড়িত ছিলো,,আমি ছোটবেলা থেকেই বুঝতে শিখার পর থেকে সালাত আদায় করতাম, তবে কঠোর ভাবে পর্দা করতাম না ,শুধু ঢিলে ঢালা বড় জামা,হিজাব পড়তাম ১৮ বছর হবার পর থেকে বোরকা পড়ি এবং পর্দা করি,মাহরাম মেনে চলার চেষ্টা করি ,,মাঝখানে মায়ের সাথে ছিলাম না বাবার কাছে ৫ বছর ছিলাম এবং নানুবাড়িতে ছিলাম ,,এরপরে মায়ের দ্বিতীয় সংসারে আসার পর ,,মা আমার উপর অল্পতেই খেপে যেত অনেক মানুষিক নির্যাতন করতো ,,একটু কিছু হলেই ফাঁসি লাগাতে যেত, আমাকে অভিশাপ দিতো ,আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিত ,সব সময় আমাকে ভুল বুঝতো,নিজের দ্বিতীয় স্বামীর সাথে মিলে আমাকে নিয়ে ফাজলামি করতো ,,কিন্তু আমিতো সন্তান তাই ভালোও বাসতো,,তবে ১ বছর যাবৎ তার স্বামী তার সাথে অনেক বেইমানি করার পর মা আমাকে আগের থেকে অনেক ভালো বাসেন,,আদর করেন(আমার নানী বলেন যে এখন তোর চাকরি হবে আর কয়মাসের মধ্যেই এজন্য এখন তোর সাথে ভালো বেবহার,১ ম্যাশ হলো আমার জব হয়েছে ),,মা নামাজ পড়েনা,,চলাফেরা হিন্দুদের মতো ,,ইসলামিক কোনো কিছুই মানেনা,,আজকে আমি নামাজ পড়ার সময় মা সামনে দিয়ে হেটে চলে যায়,,খুব বেশি প্রয়োজনও ছিলোনা আমার সামনে দিয়ে যাবার,,আবার আমাদের আরেকটা দরজা আছে ,উনি চাইলেই ঐটা দরজা দিয়ে যেতে পারতো ,,কিন্তু তিনি জানা সত্ত্বেও নামাজের সামনে দিয়ে যেতে একটুও দ্বিধা করেনি ,,আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছিলো কষ্টে,,তারপর আমি আমার মায়ের রুমে গিয়ে তাঁর স্বামীর সামনে বলি যে তুমি আমার নামাজের সেজদার সামনে দিয়ে গিয়েছো এর জন্য ৪০ বছররের তোমার সব ইবাদত নষ্ট হয়ে গেলো,,তখন তার সময় হেসে হেসে আমাকে বলে তুমিতো অনেক পুণ্যবান ,,তুমি দুআ করে মাফ চেয়ে নাও আল্লাহর কাছে হয়ে গেলো ,আমি তখন মাকে বলেছি সব থেকে ভালো হতো আমি যদি তোমার কাছ থেকে তেজ্য হয়ে যেতে পারতাম তাহলে,,আমি জীবনের প্রথম মায়ের উপরে এতবড়ো কথা বলেছি,,এমনিতে উনি আমাকে ভুল বুঝে আজি বাজে ভাষায় গালি গালাজ করলেও কোনোদিন উত্তর দেওয়ার সাহস আমার হয়নি ,,কারণ তিন্নি অত্যন্ত রাগী,ফাঁসি লাগাতে চলে যাবে,,মা তখন আমাকে বলেন "তেজ্য করে দিবো আর কয়টাদিন ধৈর্য্য ধর,,আমি জাহান্নামে যাবো সমস্যা নাই ,আর দুনিয়াতেও জাহান্নামে জ্বলবো,তবে আজকে তুই যেটা কথা বল্লি এর জন্য তোর সারাজীবনের ইবাদত ধ্বংস হয়ে গেলো মনে রাখিস" ,,এভাবে উনি অভিশাপ দেন আমাকে,,উনি আমাকে আগে সহ্য করতে পারতোনা ,,কথায় কথায় ভুল ধরতো,,রাস্তার মধ্যেও ধমকায় চিল্লা চিল্লি করে আজে বাজে ভাষায় গালি দেন,,কিন্তু উনার নেশা গ্রস্ত স্বামী উনাকে অনেক বেইমানি করেন ,,অনেক কষ্ট দেন,,এখন মা আর উনার স্বামীর প্রতি অতোটা বিসসাস করেন না ,,এখন মা আমাকে বেশি ভালোবাসেন,,আমার অনেক যত্ন করেন মায়ের সাথে থেকে থেকে আমি বেদ্বীন হয়ে পড়ি মাঝে মাঝে সে ফোনে CID দেখে ,,সেটা আমার খুব দেখতে ইচ্ছে করে ,,তখন আমিও দেখে ফেলি,,আবার আমি টিভি বের করে ফেলতে বলা সত্ত্বেও টিভিতে গান ,নাটক ,সিনেমা ,এগুলো চলে ,,আমার কানে সব আওয়াজ আসে এআমার তখন খুব দেখতে ইচ্ছে করে,,আল্লাহ মাফ করুক ,,তবুও বলছি হুজুর আমার মায়ের সাথে অনেক আগে থেকেই থাকতাম যখন,,এতটা মানুষিকভাবে আমাকে ভয়ে ভয়ে থাকতে হতো ,,আর মানুষিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিলো যে মনে হতো ,,এর থেকে মৃত্যুই ভালো,,উনার সাথে যেন না থাকতে হয় এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড়ো আশা ,চাওয়ায় পরিণত হয়েছিল,,হুজুর মা আমাকে ছোট থেকে যত অভিশাপ দিয়ে এসেছে এবং আজকে যেই অভিশাপ টা দিয়েছে "আজকে তুই যেটা কথা বলি এর জন্য তোর সারাজীবনের ইবাদত ধ্বংস হয়ে গেলো মনে রাখিস" আল্লাহ কি সব কবুল করি নিয়েছেন!? জেনে শুনেও কি আল্লাহ কবুল করবেন ?,,