আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
160 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
اَلسَّلاَمْ عَلَيْـــــــــــكُمْ وَ رَحْمَةُ اللہِ وَبَرَكَاتُهُ

প্রায় ২ বছর আগে, যখন আমি আল্লাহর দয়ায় হেদায়েত প্রাপ্ত হয়েছিলাম তখনকার কথা বলছি।
রমাদানের দিন দেখি (দিনের বেলা সম্ভবত) সূর্য পূর্বদিকে আছে এবং তাকে অন্য একটি গ্রহ ঢেকে ফেলছে। সেই সময় যতদূর ঢাকছে ততদূর এলাকা অন্ধকারের মত হয়ে যাচ্ছে।  সেইসময় অনেক উত্তেজিত ও ভীত অবস্থানে নিজেকে আবিষ্কার করেছিলাম।
তার কিছু দিন পর আবার পূর্ব দিকে সূর্য দেখি। দেখে মনে হয় যেন কিছুক্ষণ আগে উদিত হয়েছে। দেখে আমার কেনো জানি খুব ভালো লাগছিলো। ঠিক আজ যেমন স্বপ্নে দেখি। আমি প্লেনে আছি। আর কেও একজন আমাকে একটা দরজার মত অংশ খুলে কিছু একটা দেখাচ্ছে, যেটা অনেক বেশি উজ্জ্বল ছিলো, চোখ দেওয়া যাচ্ছিলো না। পরে পাশে সানগ্লাসের মত কালো কাচের মাধ্যমে দেখতে পেলাম তা সূর্য।  আমার খুব ভালো লাগছিলো কেনো জানি। তার কিছুক্ষণ পরে (জায়গা চেন্জ) একজন ব্যাক্তিকে দেখি, যাকে আমি বাস্তব জীবনে চিনি৷ বাবরি চুল এবং টুপি পড়া। আগে এর আশেপাশে অনেক নন মাহরাম ছিলে যারা (যাদের সাথে বিয়ের কথা চলছিলো মনে হচ্ছিল)  কেও কেও আমার চেহারা দেখে ফেলেছিলো, আর আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছিলাম কিছুটা৷ হঠাৎ সেই সূভ্র স্বভাবের লোকটিকে দেখি, শুধু বাবরি চুল আর টুপি মনে পড়ছে। কিন্তু তারর সামনে আমি বোরখা পড়েছিলাম মার ওরনায় মাথা ঢেকে। পরে মা ওরনা টেনে নিলেও হাত দিয়ে মুখটা ঢাকার চেষ্টা করেছিলাম।
এরপর ই ঘুম থেকে উঠে দেখি ফজরের সময় খুব কম এবং আমার দেরি হয়ে গেছে নামাজ পড়তে৷
আফওয়ান বড় হওয়ার জন্য। এর কি কোনো ব্যাখ্যা আছে?
জাঝাকুমুল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।

তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
 ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 
,

হাদীস শরীফে এসেছে  

خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.

আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। 

আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭] 
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্নটি ভালো,উন্নত ভবিষ্যতের দিকে ইশারা রয়েছে।
উক্ত স্বপ্নের দরুন মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করুন।

কেহ কেহ বলেছেন, উক্ত স্বপ্নে আপনার জন্য চক্ষু শীতলকারী স্বামীর দিকেও ইশারা রয়েছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...