হক রিলেটেড কুয়েশ্চেন

Question

وَبَرَكَاتُهُ

শাইখ,আমার কয়েকটা প্রশ্ন ছিলো।
১.আমি হোস্টেলে থাকি।এইখানে আমি একটা টেবিল আর একটা আর এফ এলের আলমারি এনেছি।টেবিলটা তুলনামূলক রিডিং টেবিল থেকে অনেক বড়।আর,অন্যরা আর এফ এলের তাক ইউস করে।রুমে নির্দিষ্ট করে কারো জায়গা ভাগ করে দেওয়া নেই।আমার প্রশ্ন হলো,টেবিল আর আলমারি রাখার জায়গা যেহেতু অন্যদের জিনিস্পাতি রাখার জায়াগা থেকে বেশি তাই এটা কি জায়েজ?এতে কি রুমমেটদের হক নষ্ট হচ্ছে?

বিঃদ্রঃ আমি রুমমেটদের থেকে অনুমতি নিই নি।আর,আমাকে বাধা দেয় নি কেউ।তবে হ্যাঁ একবার একজনের একটা কথার অর্থ ছিলো এমন যে,আগে রুম টা খোলামেলা ছিলো এখন হিজিবিজি লাগে।উনি এইটা নরমালি বলেছে নাকি রাগ/মনে কষ্ট থেকে বলেছে তা সঠিক জানা নেই।

২.উপরোক্ত ক্ষেত্রে যদি বিষয়টা নাজায়েজ হয়ে থাকে তাহলে জায়েজ করার ক্ষেত্রে আমার করণিয় কি?

৩.ক্লাস সিক্স থেকে ক্লাস টেন পর্যন্ত আমি উপবৃত্তি পেয়েছিলাম।আমার বাবা অসুস্থ।আমি নানুরবাড়ি থেকে বড় হয়েছি।নানুরবাড়ি থেকে বা আম্মু যতটুকু পারতো আমার প্রয়োজন পূরণ করতো।উপবৃত্তি কি শুধু স্টুডেন্টদের পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য দেয় নাকি সকল প্রয়োজনের ক্ষেত্রে তা আমার জানা নেই।যদি পড়াশোনার খরচের জন্য দিয়ে থাকে তাহলে আমার এই টাকা আসলে লাগতো না যেহেতু এ প্লাস পাওয়ার কারণে এমনিতেই একটা বৃত্তি পেয়েছিলাম।আর,তাছাড়া উপবৃত্তি  ফর্মটা আমার মামা ফিল আপ করেছিলো।আমার প্রবল ধারণা মামা ওইখানে অনেক ভুল ইনফরমেশন দিয়েছে যাতে আমাকে বৃত্তির উপযুক্ত বলে সরকার বিবেচনা করে।আমি আসলে বুঝতে পারছি না আমি আসলেই বৃত্তি পাওয়ার হকদার ছিলাম কিনা।এমনিতে ওই টাকা দিয়ে আমি খুব বেশি শৌখিনতা জাতীয় কিছু করি নি,প্রয়োজনেই খরচ করেছিলাম।ওই টাকা দিয়ে কেনা কিছু জিনিস পাতি এখনো আমার কাছে রয়েছে।এগুলো ব্যাবহার করা কি জায়েজ হবে?আর,নাজায়েজ হলে কি করণিয় আমার?

৩.ধরুন,অন্যের হক নষ্ট করে অর্জিত কিছু মালামাল আমার নিকটে রয়েছে।আমি যদি নিয়াত করি কয়েক মাস পর তা মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিবো/মাফ চাইবো তাহলে কি উক্ত কর্মের ফলে অর্জিত গুনাহ আমার এই নিয়াতের ফলে সাময়িক সময়ের জন্য মাফ হয়ে যাবে?অর্থাৎ,বর্তমান সময় থেকে নিয়তকৃত মাস পর্যন্ত গুনাহ থেকে মুক্তি লাভ করবো নাকি কন্টিনিউয়াসলি গুনাহ লিখা হতে থাকবে?

৪.সংসারের বাজারের জন্য আমার মামার দেওয়া টাকা থেকে আমার নানু আমাকে ৫০০ টাকা দিয়েছিলেন মামাকে না বলে।যেহেতু এটা সংসারের টাকা তাই এই টাকা খরচ কি জায়েজ হবে?

৫.যেকোনো বিষয়ের ক্ষেত্রে-ই যদি আমার মনে হয় এই বিষয়টা জায়েজ হওয়ার সম্ভাবনা ৬০% তাহলে কি তা জায়েজ ধরবো?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,

عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 

নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯) আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/3747

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

(১+২) যেহেতু রুমের মধ্যে সবার হক সমান।তাই তুলনামূলক বেশী স্থান দখল করা বৈধ হবে না।সুতরাং এ বিষয়ে রুমের সবার সাথে পরামর্শ করে নিবেন।আলোচনার মাধ্যমে সবার কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে নিবেন।

(৩) আপনার বিবরণ মতে আপনি গরীব, তাই যে কোনো প্রকারের উপবৃত্তি আপনার জন্য জায়েয। আপনি ঐ টাকার মালিক,সুতরাং তা যে কোনো কাজে ব্যায় করতে পারবেন।

(৪) আপনি যখন ঐ হারাম মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিবেন, তখন থেকেই আপনি গোনাহ মুক্ত হবেন এর পূর্বে নয়।

(৫) মামার অনুমতি ব্যতিত এই টাকা আপনার জন্য জায়েয হবে না।

(৬) জ্বী, জায়েয ধরবেন।তবে বেঁচে থাকাই উত্তম।