জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنِ الْبُخَارِيِّ تَعْلِيقًا قَالَ: يَقْرَأُ الْحَسَنُ عَلَى الطِّفْلِ فَاتِحَةَ الْكِتَابِ وَيَقُولُ: اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ لَنَا سلفا وفرطا وذخرا وَأَجرا
ইমাম বুখারী (রহঃ) তা’লীক্ব পদ্ধতিতে (অর্থাৎ সহীহুল বুখারীর তরজমাতুল বাবে সানাদ ছাড়া, এ হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন), হাসান (রহঃ) বাচ্চার জানাযার সালাতে (প্রথম তাকবীরের পর) সূরাহ্ আল ফা-তিহাহ্ পড়তেন। (আর তৃতীয় তাকবীরে) এ দু’আ পড়তেন, ’’আল্ল-হুম্মাজ্ ’আলহু লানা- সালাফান ওয়া ফারাত্বান ওয়া যুখরান ওয়া আজরান’’ (অর্থাৎ হে আল্লাহ! এ ছেলেটিকে (কিয়ামতের (কিয়ামতের) দিন) আমাদের অগ্রবর্তী ব্যবস্থাপক, রক্ষিত ভান্ডার ও সাওয়াবের কারণ বানাও)।
(মিশকাতুল মাসাবিহ ১৬৯০)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার মৃত সন্তানের জন্য উপরোক্ত দোয়া পাঠ করতে পারেন।
আপনার মৃত সন্তান তো নিষ্পাপ,সুতরাং তার জন্য ঈসালে ছওয়াবের আবশ্যকীয়তা নেই।
তারপরেও জান্নাতে তার মর্যাদা উঁচু করার নিয়তে ঈসালে ছওয়াব করতে পারেন।
ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে যেসব কাজ করা যায়ঃ
১
মৃতের নামে সদকা করা।
২
কুরবানী করা।
৩
মৃতের জন্য কুরআন তিলাওয়াত করা।
৪
মৃতের জন্য দুআ করা।
৫
ইস্তিগফার করা।
৬
হজ্ব করা।
ইত্যাদি পূণ্যের কাজ করে মৃত ব্যক্তির জন্য ঈসালে সওয়াব করা যায়। যা কুরআন ও হাদীসের মাধ্যমে সুষ্পষ্টরূপে প্রমাণিত।
আরো জানুনঃ
শরীয়তের বিধান হলো কুরআন কারীম তেলাওয়াত করে বা ছদকাহ করে ঈসালে ছওয়াব করা যাবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১/৩৭৫)
বিস্তারিত জানুনঃ