ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহসানির রাহিম।
জবাবঃ-
সুপ্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
কাফিরের জন্য আখেরাতে মাগফিরাতের দু'আ করা, কুরআন সুন্নাহর দৃষ্টিতে স্পষ্টত হারাম ও নাজায়েয।
তবে তাদের জন্য হেদায়তের দু'আ করা জায়েয।
এবং হারবী কাফির(সেই দেশের নাগরিক যারা মুসলমানদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত)এর ক্ষেত্রে দুনিয়াবি ফায়েদার জন্যও দু'আ করা নাজায়েয।
যিম্মি কাফির (ট্যাক্স দিয়ে মুসলিম দেশে বসবাসকারি)এর ক্ষেত্রে দুনিয়াবি ফায়েদার জন্য দু'আ করার বিধান কি না?
সে সম্পর্কে উলামায়ে কেরামদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে-
যেমন,ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
إذا قال للذمي أطال الله بقاءك إن كان نيته أن الله تعالى يطيل بقاءه ليسلم أو يؤدي الجزية عن ذل وصغار فلا بأس به وإن لو ينو شيئا يكره كذا في المحيط.
যদি কেউ কোনো অমুসলিম যিম্মি কে উদ্দেশ্য করে বলে যে, অাল্লাহ তোমার হায়াত কে দারাজ করুক। যদি তার নিয়ত থাকে,যে সে লম্বা হায়াত পেলে চিন্তা ফিকিরের সুযোগ পাবে,যেজন্য তার ইসলাম গ্রহণের সুযোগ হতে পারে,অথবা অপমানিত, লাঞ্ছিত অবস্থায় ইসলামি সরকার-কে ট্যাক্স আদায় করবে,তাহলে এমন দু'আ করতে কোনো সমস্যা নাই।তবে কোনো প্রকার নিয়্যাত ছাড়া এমন দু'আ করা মাকরুহ।(মুহিত)
ولو دعا للذمي بطول العمر قيل لا يجوز لأن فيه التمادي على الكفر وقيل يجوز لأن في طول عمره نفعا للمسلمين بأداء الجزية فيكون دعاء لهم وعلى هذا الاختلاف الدعاء له بالعافية كذا في التبيين.
অমুসলিম যিম্মির জন্য হায়াত দরাজের দু'আ করা সম্পর্কে কেউ কেউ বলেন, এটা জায়েয হবে না।কেননা এক্ষেত্রে কুফরিকে স্থায়িত্ব দেয়ার দু'আ করা হচ্ছে।অন্যদিকে কেউ কেউ জায়েয বলেন, কেননা তার লম্বা হায়াতের মধ্যে মুসলমানদের জন্য ফায়দা রয়েছে।সুতরাং এটা তার জন্য দু'আ না হয়ে অবশেষে বদ-দু'আ হবে।সুস্থতার দু'আও এই মতভেদের উপর রয়েছে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪৮)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি অমুসলিম কোনো মেয়ের নাম ধরে অবশ্যই হেদায়তের দু'আ করতে পারবেন।তবে আখেরাতের জন্য, মাগফিরাতের জন্য দু'আ করতে পারবেন না।